মাটিতে দু পা দিয়ে হাটা মনুষ্য প্রজাতি বিলুপ্ত প্রায়। বিবর্তন আর জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর চুড়ান্ত বিকাশে পক্ষী মানব এবং মৎস্য মানব নামে দুটি ধারায় বিভক্ত। পক্ষী মানবরা ডানা মেলে আকাশে ওড়ে আর মৎস্য মানবরা সাগরে বা বড় নদীর নীচে বসবাস করে। আর বিবর্তনের ধারা এড়িয়ে (কোন এক অব্যাখ্যাত কারনে) দুপেয়ে মানব যে গুলো আছে সে গুলো অভয়ারান্যে বসবাস করে। পক্ষীমানব আর মৎস্য মানবদের বাৎসরিক শিকার প্রতিযোগিতায় এরা শিকার হিসাবে ব্যাবহৃত হয়। সারা বিশ্বের সেরা সেরা পক্ষীমানব এবং মৎসমানব এই শিকারে অংশ নেয়।
২৪৪৯ খ্রীষ্টাব্দ
ন্যানো ইঞ্জিনিয়ারিং এর চুড়ান্ত বিকাশে এই পৃথিবীতে অভাব, অনটন, রোগ, শোক, পরিবেশ দুষন চিরতরে হারিয়ে গেছে। ন্যানো গেজ নামক যন্ত্রের বদৌলতে পরমানু গঠন চেঞ্জ করে যে কোন ওষুধ, খাবার, মুহুর্তে তৈরী করা যায়। সমস্ত পৃথিবী জুড়ে অবিরল শান্তির ধারা। ন্যানো গেজ যন্ত্রের কোন খারাপ বাই প্রোডাক্ট নাই বিধায় পরিবেশ দুষন নামক শব্দটি সব অভিধান থেকে উঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
২৩১৭ খ্রীষ্টাব্দ
ট্রাভেলার যন্ত্রটি আবিস্কার হবার পর পৃথিবী থেকে রাষ্ট্র নামক ভৌগলিক সীমারেখা তিরোহিত। এই যন্ত্রের মাধ্যে যে কোন মানুষ বা বস্তু আলোর ক্ষুদ্রতম একক ট্রেয়নে বিভক্ত হয়ে আলোর গতিতে যে কোন স্থানে যেতে পারে। সামান্য সমস্যা এখনো আছে যে স্থানে বস্তু বা মানুষ আগের রূপে ফেরত যাবে সেখানে একটা নির্দিষ্ট ব্যাসার্ধের মধ্য রিসিভার নামক যন্ত্রটি থাকতে হবে (অনেক টা বিংশ শতাব্দীর মোবাইল টাওয়ারের মত)। সারা পৃথিবীতে বিভিন্ন স্থানে রিসিভার বসিয়ে আন্তঃগ্রহ ভ্রমন নিশ্চিত হলেও আন্তঃ নক্ষত্র ভ্রমন এখনো সম্ভব হয় নি তবে সুপার ট্যাট নামক স্পেস শীপ পাঠিয়ে যে সব নক্ষত্রে রিসিভার বসানো হয়েছে সেগুলোতে যেতে কোন বাধা নেই।
২১২৩ খ্রীষ্টাব্দ
মোবাইল, টিভি, কম্প্যুটার নামক গ্যাজেট গুলো পরিত্যাক্ত। হলোবেস নামক যন্ত্রটি যেটি আকারে ২০০ বছর পূর্বের হাত ঘড়ির মত এইসব যন্ত্রের কাজ এক সাথে করতে পারঙ্গম। যার সাথে কথা বলতে চান আঙ্গুলের ইশারায় তার ভার্চুয়াল হলোগ্রাফিক ছবি বাতাসে ভেসে উঠবে। চাইলেই শূন্যে সদ্য অতীত হওয়া কম্প্যুটার এর স্ত্রীন ভেসে উঠবে। মস্তিস্কের চিন্তায় সাড়া দিয়ে সেখানে কম্প্যুটার নামক যন্ত্রের সমস্ত ফাংশন সহ থ্রিডি প্রিন্টারে যে কোন বস্তু বাস্তবে চলে আসবে। আটোবাইল (গাড়ীর বর্তমান পরিবর্তিত রূপ) থেকে শুরু করে যে কোন বস্তু এই হলোবেস থেকে পাওয়া সম্ভব। তবে হলোবেসের বর্তমান আউট পুটে সামান্য কিছু লিমিটেশান আছে যেমন এখনো হলোবেস এ কোন মানব অঙ্গ বা জৈবিক খাবার তৈরী করা যায় না তবে অল্প কিছুদিনের মাঝেই এ সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।
সবাই ভালো থাকুন সেই সব সময় পর্যন্ত
(একটি সায়েন্স ফিকশান গল্প লেখার অপচেষ্টা মাত্র)।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৩২