১৯৪৭ সালের গ্রীস্মকালের কোন এক দিন এক অল্প বয়স্ক বেদুঈন তার হারিয়ে যাওয়া ছাগল খুজতে গিয়ে মৃত সাগরের (Dead sea) পাশে উচু খাড়া পাহাড়ে ওপর একটা গুহা দেখতে পায়। তরুন মনে ঔৎসুক্য জাগ্রত হলে সে পাহাড়ের গুহায় প্রবেশ করে এবং সাতটি মাটির পাত্র আবিস্কার করে যেগুলোর মুখ সীসার সীল গালা করা। গুপ্তধন আবিস্কারের নেশায় সে একে একে পাত্রগুলোর মুখ খোলে এবং হতাশ হয়ে দেখে এর মাঝে ছাগলের চামড়ার তৈরী এক ধরনের কাগজ যাকে “পুস্ত” বলে।
Dead Sea Scroll Jar
পরদিন সকালে সে তার গোত্রে খবর দিলে বেদুঈন সর্দার তার দলবল সহ ওই গুহায় হানা দেয় এবং প্রায় ৯০০ স্ক্রৌল উদ্ধার করে। যে ধরনের গুপ্তধন উদ্ধারের নেশায় তারা সেখানে হানা দিয়েছিল তা না পেয়ে তারা অনেকটা হতাশ হয়ে যায় তবে তারা জানত না তারা শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ আলোড়ন সৃষ্টিকারী প্রত্নতাত্ত্বিক আবিস্কারটি করে ফেলছে। বিখ্যাত প্রত্নতত্ত্ববিধ উইলিয়াম এফ অলব্রাইট ১৯৪৮ সালে যখন স্ক্রোলগুলো দেখেন তখন এক বাক্যে বলে দেন এ গুলো আমাদের সময়ের শ্রেষ্ঠ আবিস্কৃত পান্ডুলিপি।
এরপর গবেষক দল খিবরেটের কামরান এলাকায় আরো দশটি গুহা আবিস্কার করেন এবং আরো অনেক স্ক্রৌল খুজে পান। যার বিশাল একটা অংশ এখনো অনুদিত বা পাঠোদ্ধার হয়নি। এই স্ক্রৌল গুলো প্রাচীন এ্যারামিক এবং হিব্রু ভাষায় লিখিত। প্রাথমিক ভাবে একে হিব্রু বাইবেলের অংশ হিসাবে ধরে নেয়া হয়। হিব্রু বাইবেল বলেত ইহুদিদের পবিত্র গ্রন্থ “তানাখ” এর শিপারা এবং খ্রীষ্টান ওল্ড টেষ্টামেন্ট কে ধরা হয়।
প্রাথমিক গবেষনায়, এটা বেশ পরিস্কার ভাবে বোজা যায় যে, যীশুর উপদেশের সাথে এসেন্সদের মারাত্মক মিল লক্ষ্য করা যায়। এখানে জিজ্ঞাস্য চলে আসে এসেন্স কারা? কামরানে বসবাসরত এসেন্স সম্প্রদায় তাদের নিজেদের লেখাতে নিজেদের বিশেষ কোন নামে অভিহিত করেনি। তবে একেক সময় একেক নামে নিজেদের অভিহিত করছে, “পবিত্র সম্প্রদায়”, “ঈশ্বরের পছন্দের লোক”, “সত্যবাদী”, “আলোর পুত্র”। ইহুদীদের সাথে এসেন্সদের অনেক ক্ষেত্রে যেমন মিল ছিল তেমনি ছিল বিপুল ফারাক। তাই তাদের ইহুদীদের কোন গোত্র বা সম্প্রদায় হিসাবে তুলনা করা যায় কিনা সেটা প্রশ্ন সাপেক্ষ।
সেই উনিশ শতকে (যখন ডেড সী স্ক্রৌল আবিস্কৃত হয়নি) এসেন্সদের বিবরনের সাথে যারা পরিচিত ছিল তারা অনেকেই এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে যীশু এসেন্স সম্প্রদায়ভুক্ত ছিলেন। ইহুদি ইতিহাসবিদ হেইনরিখ গেইটজ খ্রিষ্টান মতবাদকে এমনকি এভাবে বর্ননা করেন যে “বহিরাগত উপাচার সম্বলিত এসেনিজম।” প্রাচীনকালে ঐতিহাসিকদের করা পরোক্ষ সুত্রের বরাতের মাঝেও এসেন্সদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। ইহুদী দার্শনিক, আলেকজান্দ্রিয়ার ফিলো তাদের "পবিত্রতার কুশীলব" বলেছেন, এবং জোসেফাস তার জিউইশ ওয়ারে (II:৮) পুরো একটা অধ্যায় ব্যয় করছেন। তাদের দুজনেরই অনুমান এই সম্প্রদায়ের সদস্যদের সংখ্যা প্রায় চার হাজার ছিল, “চমৎকার নীতিবান লোক যারা মাটির কাছে বাস করে।” বিশ শতকে বিখ্যাত ডেড সী স্ক্রৌল আবিস্কৃত হবার আগে মানুষ এসেন্স মতবাদের সম্পূর্ন তাৎপর্য্য উপলদ্ধি করতে পারেনি, যা যীশুর শিক্ষা বুজতে সাহায্য করে এবং যীশুর ওপর নতুনভাবে আলোকপাত করে।
জেরুজালেমে অবস্থিত Hall of Manuscripts of the museum of Israel এ প্রথম গুহায় প্রাপ্ত স্ক্রৌলের ভেতর সাতটা প্রদর্শনের জন্য রয়েছে। সবচেয়ে বড় পান্ডুলিপিটা “ঈশাআ স্ক্রোল অভ সেন্ট মার্ক” নামে পরিচিত। দৈবজ্ঞ ঈশাআর পুরা বই চুয়ান্নটা সারিতে হিব্রুতে লিখিত (এটি আনুমানিক ১৫০ খ্রিষ্টপূর্ব অব্দে পাওয়া গেছে, মানে যীশুর জন্মের ১৫০ বছর আগে) এবং প্রথম দিকের বাইবেলের ভাষ্যের সাথে অবাক করার মত সাদৃশ্য। দু’মিটার লম্বা একটি ধর্মীয় স্ক্রোল এতে রয়েছে একটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের জন্য প্রযোজ্য নিয়ম, এই পার্চ টার নাম দেয়া হয়েছে এর প্রারাম্ভিক শব্দ “সেরেক হাজ্জাহাদ” বা সমাজের নিয়ম।
কৌমার্যব্রত গ্রহনকারী আশ্রমিকদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নিয়মের সাথে একটা জোড়া দেয়া দ্বিতীয় পান্ডুলিপি পাওয়া গেছে। এই স্ক্রোলের শিরোনাম “সমগ্র সমাজের জন্য প্রযোজ্য আইন” এটা সমাজের অযাজকীয় সাধারনের জন্য প্রনীত আইন। যারা যিশুকে এসেন্স সম্প্রদায়ভুক্ত দেখাতে চান তাদের জন্য এসেন্স সম্প্রদায়ের একটি নিয়ম যা পরোক্ষ যুক্তি হিসাবে কাজ করে। এসেন্স সম্প্রদায়ের দীক্ষিতদের বয়স ১১ হলেই তাদের কে পার্থিব নিয়ম শিখানোর জন্য নির্দিষ্ট স্থানে কয়েক বছর শিক্ষা দেয়া হত (ধর্ম নিয়ে যাদের ইন্টারেষ্ট আছে তারা হয়ত খেয়াল করতে পারবেন এই এগারো বছর বয়সেই যীশুকে মিশর থেকে জেরুযালেম নিয়ে আসা হয় এবং ত্রিশ বছর পর্যন্ত তার জীবনীর কোন রেকর্ড আমার জানা মতে নেই)
মৃত্যুর পরের জীবনকে সন্মান দেখাতে আয়োজিত ভোজসভার একটা বর্ননা এই স্ক্রোলের শেষে দেখা যায়। খেয়াল করে দেখুন যীশুর জীবনে লাষ্ট সাপারে বসা নিয়ে যীশুর শিষ্যদের ভেতর এক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল (লুক ২২:২৪-২৭)।
আরেকটা স্ক্রোল এটার দশা খুবই জীর্ন এতে বাইবেলের স্ততিগান এবং এসেন্সদের চল্লিশটা স্তুতিগান এক সাথে রয়েছে। যার সব গুলোই শুরু হয়েছে “আমি প্রভুর বন্দনা করি”। সেই অনুযায়ী এই স্ক্রোলটা “হোকহাজোট” বা ঈশ্বরের গুনকীর্তন নামে পরিচিত।
প্লিনি দ্য এলডার (২৩ – ৭৯ খ্রীষ্টাব্দ) তার হিষ্ট্রি অভ ন্যাচুরালিসে মৃত সাগরের পশ্চিম তীরে এন গেদীর উত্তরে সামান্য দূরে একটা আশ্রম দেখেছেন বলে উল্লেখ্য করেছেন। এসেন্স আশ্রম বলে তিনি একে উল্লেখ্য করেছেন। ".... নিঃসঙ্গ এক দল মানুষ পৃথিবীর সব থেকে স্মরনীয় দলের মধ্যে অন্যতম, নারী সঙ্গ একেবারে বিবর্জিত, যারা নিজেদের হীন প্রবৃত্তি পরিত্যাগ করেছে এবং পুরোপুরি নিজেদের সম্বলের ওপর নির্ভর করে খেজুর গাছে নীচে দিনাতিপাত করেছে ....."।
প্রথম যে গুহাতে স্ক্রোল পাওয়া গেছে তার এক কিলোমিটারের ও কম দূরত্বে কিছু ধ্বংসাবাশেষ রয়েছে প্রাচীনকাল থেকেই যা “খিরবেট কামরান” নামে পরিচিত। ১৯৫১ সালে এখানে প্রত্নতাত্ত্বিক খনন কাজ শুরু হয় প্রাচীনকাল সম্পর্কিত জর্ডানের রাজকীয় দপ্তরের ল্যাঙ্কাষ্টার হার্ডিং এবং জেরুজালেমে অবস্থিত ধর্মতত্ত্ব বিষয়ক দোমিনিকান অনুষদের পরিচালক পেরে রোনাল্ডো ডি ভক্সের তত্ত্বাবধায়নে। কল্পনার অতীত প্রাপ্তি ঘটে এই খননে।
Aerial view of the Qumran ruins after excavations
পাঁচ বছর নিবিড় পরিশ্রমের পর গবেষকরা তুলে আনেন কামরানের আশ্রম, সম্ভবতঃ যেখানে বসে এই স্ক্রোলগুলো লেখা হয়েছিল। কেন্দ্রে চতুস্কোনাকৃতি একটি ভবনের সাথে লাগোয়া ছোট কয়েকটি ভবন, বিশালাকৃতির খাবার ঘর, দীক্ষার গোসলখানা, ১৩ টি কুয়া সহ এক জটিল পানি নিস্কাশনের ব্যাবস্থা যা পুরা এলাকায় পানি সরবরাহ করত। একটি সমাধিক্ষেত্র আবিস্কৃত হয়েছে যেখানে প্রায় হাজার খানেক পুরুষের সমাধি পাওয়া গেছে। আজ আমরা জানি যে খ্রিষ্টপূর্ব অষ্টম শতাব্দী থেকে এখানে লোক জন বাস করত।
ডেড সী স্ক্রোলের পাশাপাশি “কপার স্ক্রোল” পাওয়া গেছে। খুব স্বাভাবিক ভাবেই এটা করা হয়েছে এই জন্য যে এটা যেন সাধারন স্ক্রোলের থেকে বেশী টেকে। ১৯৫২ সালে এক জর্ডানী পুরাতত্ত্ববিদ এগুলো উদ্ধার করেন। গবেষনায় দেখা যায় এগুলো কোন লিপী না এগুলো এক ধরনের মানচিত্র। জর্ডান সরকার কড়া নিরাপত্তায় এই কপার স্ক্রোল ম্যানচেষ্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জন এ্যালেগ্রোর নিকট পাঠান। পরবর্তীতে ১৯৬০ সালে এ্যালেগ্রোর গবেষনার ফলাফল প্রকাশিত হয়।
The copper scroll was cut into strips and then pieced back together. Image: Stan Deyo
সেখানে দেখা যায় মোট ৬৩ স্থানের বিবরন আছে যেখানে নাকি গুপ্তধন আছে, কিন্তু সে গুপ্তধন উদ্ধার করা এত সহজ না কারন এই কপার স্ক্রোলে যে ম্যাপ আর বর্ননা আছে তা সেই সময়ের নিরিখে স্থানীয় গুহাবাসিদের জন্য লিখিত যারা ওই অঞ্চলকে নিজের হাতের তালুর মত চিনত। স্ক্রোলের ভাষ্যমতে সেগুলো সোনা আর রুপা বোঝাই করা কুঠুরি, যার সর্বমোট পরিমাণ কয়েক টনের কাছাকাছিও যেতে পারে। স্ক্রোলটি যেন বছরের পর বছর টিকে থাকে সেজন্য এটা তামার পাতের উপর লেখা হয় বলে জানান অ্যালেগ্রো।
স্ক্রোলের নির্দেশনায় স্পষ্টাকারে স্থানগুলোর বর্ণনা দেয়া হয়েছে। কপার স্ক্রোল থেকে হুবহু অনুবাদ করা আলোচিত একটি লাইন তুলে ধরলাম, “যেখানে লবণের স্তূপ, সেখান থেকে প্রথম সিঁড়ির নিচে চার হাত গভীরে ৪১ টালি রূপা”। তবে অধিকাংশ ইতিহাসবিদের মতে, দুই হাজার বছর আগেই রোমানরা হয়তো সকল গুপ্তধন লুট করে ফেলেছেন। এর পক্ষে প্রমাণও দিয়েছেন অনেকেই। কিন্তু এই প্রমাণ কি আর অনুসন্ধান থামাতে পারে! এখনো সবধরনের সূত্র নিয়ে পরীক্ষা করে যাচ্ছেন পুরাতত্ত্ববিদরা।
প্রথম দিকে এগুলো ধর্মীয় স্ক্রোল মনে করা হলেও পরবর্তীতে কপার স্ক্রোল আবিস্কৃত হলে ধর্মের সাথে লোভ ও জেগে ওঠে। ১৯৬৭ সালে আরব ইস্রাইল যুদ্ধে , ইস্রাইল প্রায় ১৫০০ স্ক্রোল জর্ডান থেকে দখল করে নিয়ে যায় এবং তেল আভিবের রকফেলার জাদুগরে কঠোর নিরাপত্তায় গবেষনা শুরু করে। এবং এর প্রায় চল্লিশ বছর পর এর অনুবাদ প্রকাশ করে। এদিকে জর্ডান ও স্ক্রোলের দাবী ছাড়ছে না। বর্তমানে জর্ডানের দখলে রয়েছে কপার স্ক্রোলসহ মাত্র ২৫টি স্ক্রোল! এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফিলিস্তিন, কানাডা এবং সিরিয়ার বিভিন্ন গবেষণাগার এবং প্রতিষ্ঠানের নিকট বেশ কয়েকটি স্ক্রোল হস্তগত আছে।
ইসরাইলী গোপনীয়তায় এখনো স্ক্রোলের অনেক কিছুই উন্মোচিত হয়নি। ধর্মীয় ব্যাপারের সাথে যখন গুপ্তধন জড়িয়ে যায় তখন তা যে গোপনীয়তার আড়ালে ঢাকা থাকবে এ তো স্বাভাবিক। গুপ্তধনের হয়ত আর্থিক মূল্য দিয়ে বিচার করা যাবে কিন্তু ডেড সী স্ক্রোলের ধর্মীয় মূল্য আসলে ঠিক মূল্য না একটা ধর্মের প্রতিষ্ঠার সাথে অনেক বিশ্বাস সহ আরো কিছু জড়িত।
আধুনিক যে নিউ টেষ্টামেন্ট দেখেন সেখানে মথি, মার্ক, লুক এবং যোহানের গসপেল নিয়ে লিপিবদ্ধ। আনুষ্ঠানিকভাবে নিউ টেষ্টামেন্ট লিপিবদ্ধ হবার আগে বিভিন্ন গোত্র আর সম্প্রদায়ের ভেতর বিভিন্ন গসপেল প্রচলিত ছিল, যা সেসময়ে খ্রিষ্টানদের বিভিন্ন গোত্রে বিভক্ত অনেক গসপেল তাদের ভেতর অন্তর্ঘাতী বিবেদ সৃষ্টি করে। দ্বিতীয় শতকের শেষ নাগাদ ইরেনিয়াস চারটি গসপেল রেখে বাকী গুলোকে সন্দেহজনক আখ্যা দিয়ে ধ্বংস করে দেন। তারপরো কিছু গসপেল ছড়িয়ে ছিটেয়ে টিকে গেছে। যেগুলো বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রশ্নের জন্ম দেয়। এখানে উল্লেখ্য যোগ্য, সাম্প্রতিক গবেষনায় প্রমানিত যে মার্ক ৭০ খ্রিষ্টব্দের কিছু আগের, মথি ৭০ খ্রিষ্টাব্দের কিছু পরের, লুক ৭৫ থেকে ৮০ খ্রিষ্টাব্দের মাঝে (অনেকে ১০০ খ্রিষ্টাব্দের কাছাকাছি সময়ের কথা বলেন) আর যোহানের গসপেল দ্বিতীয় শতকের প্রথম দশকের আগে লেখা হয়নি এটা বলা চলে।
সেদিক দিয়ে দেখতে গেলে ডেড সী স্ক্রোল যীশুর জন্মের আগে থেকে সমসাময়িক, আবার যেখানে এই স্ক্রোল পাওয়া গেছে মানে কামরানের গুহায় সেখানে যারা বাস করত তাদের এসেন্স নামে অভিহিত করা হয়, অনেক স্কলারই অনুমান করেন যীশু এই এসেন্স সম্প্রদায়ভুক্ত অথবা কোন এক কালে এদের সংস্পর্শে এসেছিল, সেই দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে দেখলে ডেড সী স্ক্রোলের পাঠোদ্ধারে অনেক অজানা তথ্য যে আমাদের সামনে আসবে তা বলা বাহুল্য।
অনেক স্ক্রল থেকে অনুবাদ করা হয়েছে। এই স্ক্রোলগুলির মধ্যে রয়েছে এমন কিছু তথ্য, সাম্প্রতিক প্রত্নতাত্ত্বিক খনন দ্বারা প্রমান করা হয়েছে, এই তত্ত্বটি সমর্থন করে যে ওল্ড টেস্টামেন্ট একটি নিছক পৌরাণিক কাহিনী বা রূপক নয় বরং ঐতিহাসিক বাস্তবতাটি বর্ণনা করে। উদাহরণস্বরূপ, যিশাইয় অশূরীয় প্রাসাদের কথা বলেছিলেন, যা কেবলমাত্র ১৮৪০ আবিষ্কার হয়েছিল যিশাইয় বইয়ের উল্লেখযোগ্য ঐতিহাসিক নির্ভুলতাটিও এই সত্যটি নিশ্চিত করেছে যে, আসিরিয়ানের অনেক ঐতিহাসিক ঘটনা রয়েছে।
এর মানে কি যে ওল্ড টেস্টামেন্ট বাকি ইতিহাসের একটি রেকর্ড? মানব সৃষ্টির গল্প, ইডেন গার্ডেন, বিশ্বের বন্যা, নেফিলিম এবং আর্ক অভ কভেন্যান্ট কি সত্যও হতে পারে?
আসলে ডেড সী স্ক্রোল, এসেন্স, ওল্ড টেষ্টামেন্ট এগুলো নিয়ে লিখতে গিয়ে বিভিন্ন বই পত্র নেট ঘাটাঘাটি করে প্রথমে ভেবেছিলাম লিখব না কারন এক সাথে আটানো যাচ্ছিল না। এরপর এক লাইন দু লাইন লেখতে লিখতে কিছু একটা অস্পষ্ট দাড় হয়েছে। বর্তমানের স্পেস যুগে দু হাজার বছর আগে কি ঘটেছিল তা নিয়ে কেউ খুব একটা মাথা ঘামায় না। কিন্তু এটাও সত্যযে নিজের শিকড় তো নিজেকেই খুজতে হবে তাই বিভিন্নভাবে নিজের অতীত খুজে ফিরি।
===================================
একটা সত্য ঘটনা
----------------------
যে লোকটি ঈশ্বর কে ফাসি দিয়েছিল
১৭ ই জানুয়ারী ১৯১৮ সালে মস্কোতে বিপ্লব তখন তুঙ্গে, তখন আনাতোলি লুনাচারিস্কি এমন একটা বিচার কার্য পরিচালনা করেন যা ঈশ্বরকে বিচারের কাঠগড়ায় দাড় করায়। অভিযুক্তের জায়গায় নির্ধারিত স্থানে একটা বাইবেল রাখা হয়।
মামলা পরিচালনাকারী অভিযুক্তের ভাষ্য অনুযায়ী, স্মরনাতীত কাল থেকে ঈশ্বর মানবতার বিরুদ্ধে অগনিত অপরাধ সংগঠিত করেছেন। ঈশ্বরের পক্ষে মামলা পরিচালনাকারী উকিলের দাবী, ঈশ্বর বিচারের সন্মুখীন হবার যোগ্য নন। কিন্তু বিচারালয় সব সওয়াল জবাব শোনার পর ঈশ্বরকে অভিযুক্ত করেন এবং তাকে ফাসির আদেশ দেন।
১৭ ই জানুয়ারী ১৯১৮ সালে সকালবেলা আকাশের দিকে মেশিনগান তাক করে পাচ রাউন্ড গুলি করে ঈশ্বরের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়।।
সুত্রঃWho Were the Essenes? Facts and Meaning from the Bible
25 Fascinating facts about dead sea scrolls
ডেড সী স্ক্রোলগুলো সম্বন্ধে আসল সত্যটা কী?
মৃত সাগরে আরো গুহা আবিষ্কৃত হয়েছে
Copies Of Dead Sea Scrolls To Go Public -- Release Would End Scholars' Dispute
The Lost Treasure of the Dead Sea Copper Scroll
Jesus Lived in India
The Dead Sea Scrolls: History & Overview
আরো অনেক বই এবং নেট জার্নাল
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:০২