জনগন কে সাথে নিয়ে কতিপয় সূস্থ্য চিন্তার মানূষ (সামগ্রিক অর্থে আমি ব্লগারদের ঈঙ্গিত করছি) যখন একটা গনআন্দোলন শুরু করছে বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করার জন্য তখনই শাহবাগের আন্দোলন চলে গেল আমাদের নোংরা রাজনীতির হাতে। আমরা যখন স্বাধীনতার ৪২ বছর পর আক্ষম রাগে এক রকম জামাতের ওপর এই বিশ্বাস নিয়ে আসছিলাম যে এই দেশে জামাত শিবির কে মেনে নিয়ে রাজনীতি করতে হবে তখন এই প্রজন্মের কিছু ঝা চকচকে ছেলে আমদের এই বিশ্বাসের মূলে কুঠারাঘাত করে শক্ত কুঠারের ঘা মেরে দেখিয়ে দিচ্ছিল আমরা কত বড় ভুল বিশ্বাস নিয়ে আছি। ঠিক তখন ই জামাতের নোংরা বুদ্ধিতে দেশের দুটি বড় দল আবার ও সংঘাতের বোকামীতে ফিরে গেছে।
জামাত কে এ আমি দোষ দেই না
কারন জামাত এটি করছে তাদের অস্বিত্ত্বের র ক্ষার খাতিরে। কারোন এখন তাদের বাচা ম রার লড়াই। আর জামাত কে? যারা এই স্বাধীন বাংলা চায় নি পাকিস্তানের আশ্রিত থাকার স্বপ্ন এখন ও লালন করে আর সেই লক্ষ্যে আমাদের দারিদ্রতার সুযোগ নিয়ে কিছু অর্ধশিক্ষত তৈরী করছে যারা কিনা একটি আলাদা রাষ্ট্র হিসাবে ক্যান্সারের মত বেড়ে চলছে । এবং জামাত এটা খুব ভাল ভাবেই প্রমান করছে গত দুইদিনের ঘটনায়। আর জামাত করছে তার অস্বিত্ত রক্ষার স্বার্থে। অস্থিত রক্ষা করার অধিকার সবার আছে।
আমাদের ব্লগার যোদ্ধারা এই কাজ যখন
প্রায় সূচারূ রূপে শেষ করে আনল জামাতের নোংরামীতে আওয়ামী লীগ ব্যাপারটার দলীয় করন শুরু করে দিল সামনের নির্বাচন কে মাথায় করে আর বিএনপি বরাবরের মত একটা কোমড় ভাঙ্গা দলের মত কোণ প্রতিক্রিয়া না দেখিয়ে শুধু অ্যান্টি আওয়ামী সেন্টিমেনেন্টের কারনে এই রকম একটা গনআন্দোলন কে আওয়ামী আন্দোলনের দোহাই দিয়ে ধরি মাছ না ছুই পানি প্রক্রিয়ায় আন্দোলন থেকে দূরে থাকল।
কি হল?
জামাত আবারো বিজয়ী হল ফল শ্রুতিতে আজকে দেশে এক ভয়াবহ অরাজকাতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। লাশের রাজনীতি আবারো শুরু হল জামাতের চক্রান্ত সফল হল। দেশ কে ঠেলে দিচ্ছে এক মারাত্মক সংকটের দিকে। আমার প্রশ্ন হল কেন আমরা বারবার জামাতকে এরকম সুযোগ দিচ্ছি এর মধ্যে কি কোন রাজনীতি আছে উভয় দলের উচ্চ পর্যায়ের পলিসি মেকারদের? তাই যদি সত্যি হয় আমাকে কি কেউ একজন একটু বুজাতে পারেন ওনাদের কি চিন্তা থেকে এই উদ্দেশ্য? জামাতের উদ্দেশ্য পরিস্কার। দেশোদ্রোহীতা। কিন্তু বিএনপি আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্যটা কি? দয়া করে একু তরফা বিএনপির দোষ দেখাবেন না আবার আর একপ ক্ষ আওয়ামীলীগ কে সুবোধ বালক হিসাবে দেখাবেন না। এখানে যারা লেখে কমপক্ষে প্রায় সবাই বিশ উর্ধ্বে। আমরা সবাই সব কিছু জানি। আমদের এই নোরামির শেষ দেখে আসতে হবে?
আওয়ামীলীগ আর বিএনপি
দেশ নিয়ে আপ্নারা যা খুশি তাই করুন কিন্তু এখন একটা প্রশ্নের উত্তর দিন আপ্নারা কি রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগের বিচার চান কি চান না? যদি তাই চান তবে দেশের এই সংকটময় মুহুর্তে জামাত কে আর সুযোগ দিয়েন না। আমরা সাধারন মানূষ যেমন তেমন থাকতে পারব। কিন্তু জামাত যদি আরো শক্তিশালী হয় তবে এই দেশে আপনাদের কিন্তু জামাতের গৃহপালিত হয়ে থাকতে হবে। পারবেন কি জামাতের গৃহপালিত হয়ে আওয়ামী লীগ বিএনপির রাজনীতি করতে? কেন আপ্নারা সব কিছু ভূলে জনসাধারনের সাথে এক হয়ে রাজাকার প্রতিহত আন্দোলনে আসছেন না? তারপর আপ্নারা আবার আপনাদের তৃপ্তিকর রাজনীতির খেলা খেলবেন আমরা কোন কিছু মনে করব না। আপনাদের কিন্তু বসতে হবে আর কিছুদিন পর যখন জামাত কর্তিক আপনাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে যাবে। হয়ত তখন আর কিছু করা যাবেনা।
ব্লগার রা আপনারা কিন্তু আপনাদের দায়িত্ব থেকে সরে গেছেন অনেক
বিএনপির কথা মত যখন এটা আওয়ামী পরিচালিত নাটক হচ্ছে। তখন আপ্নারা যারা ষ্টেজে বসে আছেন তারা কি বিএনপি সমমনা কোন ব্লগারদের ওখানে দাওয়াত দিয়ে একটি সমমনা প্লাটফর্ম করার চিন্তা করছেন যেখানে সবার ই এক দাবী রাজাকারে বিচার চাই। আপ্নারাও কি মিথ্যা অহমিকায় আচ্ছন্ন? তা হলে কিসের আপনাদের ব্লগার নামধারন করা ত্যাগ? দলবাজির ওপরে তো আপ্নারাও যেতে পারলেন না
আসুন আমাদের শাহবাগের নেতৃবৃন্দ রা
নতুন দিনের শুরু করি কাল্কেই আমরা বিএনপির কোন উচ্চপর্যায়ের ব্লগারদের এ মঞ্চে আসার আহ্বান জানাই। শুধু আহ্বান এই নয়। তাদের কাছে যেয়ে বিনীত অনুরোধ করি আসার জন্য। ভাই বিনীত হতে আপমানের কিছু নাই, বিনয় মহত্ত্বের উচ্চতা বাড়ায়। বিএনপি মাইন্ডের ব্লগার রা আসুন শাহবাগের আন্দোলনে দুই হাতে জড়িয়ে ধরি ওই আওয়ামী ব্লগার কে এতে আপনার লজ্জার কিছু নাই বরং আপনার মহত্বটাই প্রকাশ পাবে। কি ভাই পারবেন না? আপ্নারা এক হন আমরা সাধারন জনগন আপনাদের সাথে আছি। আমরাই পারব এই নোংরামির অবসান করতে।
দেশ আজ ক্রান্তিকালে সবার এক হবার সময় এসেছে নিজেদের অস্তিত্ত্ব রক্ষার তাগিদে। ভূলে যান মিথ্যা অহমিকা, এই প্রজন্ম কিন্তু ভাল কে ভাল খারাপ কে খারাপ বলবে।
আর শুনুন আওয়ামী লীগ আর বিএনপি এক না হলে এই দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রায় অসম্ভব। ভবিষ্যতের দায় কার ওপর যাবে?