“আপনারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চান কিনা সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে ইউনুস আহমেদ বলেন, “অবশ্যই আমরা বিচার চাই। তবে এই বিচারের নামে তৌহিদী ঈমানদার ও ঈমানের উপর যেন আঘাত না আসে।”
প্রিয় ব্লগাররা জামাত এর এটা অস্তিত্বের প্রশ্ন। এই অস্তিত্বের প্রশ্নে তারা ন্যায় অন্যায় সমস্ত ভাবে সাধারন জনগনের ধর্ম ভীতি কে কাজে লাগানোর চেষ্টা করবে। যেহেতু জামাত ধর্মকে ভিত্তি করে তাদের নোংরা রাজনীতি করে সেখানে আজকে তারা যদি এই ধর্মপ্রান মানূষ গুলোর সমর্থন আদায় করতে পারে তবে আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন আপনি আমি আর একবার বাংলাদেশের ৮০% মানুষের সমর্থন হারাব।
খেয়াল করুন, এই সকল যুদ্ধাপরাধীরা কি করল? যখন ই দেখল সারা বাংলার মানুষ এক হয়ে গেছে এদের বিচারের দাবীতে তখন ই তারা আমাদের প্রিয় নবীজী কে ঢাল হিসাবে ব্যাবহার করল নিজেদের অপকর্ম ঢাকতে। এক পর্যায়ে সাধারন জনগনের আবেগে এই দেশের যুদ্ধাপরাধীর বিচার যখন সময়ের দাবীতে পরিনত হয়েছে, যুদ্ধাপরাধীরা কোন অবস্থায়ই আর পার পাচ্ছিল না, সাধারন জনগনের দাবীর সামনে সেই ’৯০ এর গনআন্দোলনের পর আওয়ামী বিএনপি প্রায় এক সুরে কথা বলা শুরু করছে ( কারন কারো কোন উপায় ছিল না জনতার দাবী) সেই সময় জামাত একটা সূক্ষ্ম চাল দিল।
পুরা আন্দোলন কে ইসলাম বিদ্বেষী হিসাবে প্রামান করার জন্য নবীজীকে সামনে টেনে আনল। এখানে জামাত ভাল করে জানে আস্তিক নাস্তিক কোন ব্যাপার না যদি প্রমান করতে পারে নবীজীর ওপর কতিপয় ব্লগার অশ্লীল ভাষা প্রয়োগ করছে তা হলে আর দেখতে হবে না। বিশ্বাস করুন সামান্য কয়েক দিনের মধ্যে এই আন্দোলনের ইতি ঘটবে। আর গো আযম, কাদের, নিযামী এরা আবার জাতির কান্ডারী সেজে মহা বিক্রমে এই দেশে ছড়ি ঘোরাবে।
এই দেশে ৮০% মানুষ মুসলমান। আর মুসলমান হিসাবে তারা প্রিয় নবীজীকে প্রানের থেকেও বেশী ভালবাসে তাই হওয়ার কথা। এতে লজ্জার কিছু নাই। এটাই হবার কথা। এখন কথা হল ব্লগার মানেই কি ইসলাম বিদ্বেষী? না অবশ্যই না। আপ্নিও আমার সাথে এক মত অবশ্যই। আপনাকে বোজানোর জন্য আমি এখানে জ্ঞানী সেজে লিখতে বসি নাই।
আমাদের বুজাতে হবে সেই সব অর্ধশিক্ষিত অশিক্ষিত সহজ সরল মানুষ গুলোকে। যারা ইসলামের নামে যখন তখন জীবন দিতে পারে। বিশ্বাস করুন আমি একটু ও বাড়িয়ে বলছি না। আপনি যখন তখন পেয়ে যাবেন ২০, ৩০, ৫০ হাজার জানবায মানূষ যারা হাসতে হাসতে প্রান দেবে যদি আপনি কোন রকম বুজাতে পারেন আমাদের প্রিয় নবী কে অসন্মান করা হয়েছে। আর জ়ামাত এই সুযোগ নিচ্ছে
আদৌ কি শাহ বাগে নবীজীকে নিয়ে কোন কটুক্তি করা হয়েছে করা হয়েছে? না আমাদের প্রানের দাবী এই দেশের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা। প্রথমে জামাত এই ব্যাপারটা ছিল নাস্তিক আস্তিক বিভেদ করার চেষ্টায় ছিল। এখন খুব সূক্ষ্মভাবে চলে গেছে নবীজির ওপর, যাকে নাকি শাহবাগে বসে অসন্মান করা হচ্ছে। শুনুন শাহ বাগের নেতারা। ওখানে বসে গলাবাজি করবেন না। আজকে যারা জামাতের পক্ষ নিয়ে মারামারি করছে তারা কয়জন সত্যিকার জামাত? কয়জন ধর্মপ্রান মুসুল্লী যারা কিনা কিছু না জেনেই নবী কে ভালবেসে এসেছে? একবার ও কি হিসাব নিয়েছেন? এই দেশে হয়ত মন দিয়ে জামাত করে ০.৫% ( তাও বুজে না বুজে) কিন্তু নবীজিকে ভাল বাসে ৮০% মানুষ।
শাহবাগের নেতারা আপনারা ভূল করছেন।
জামাত কিন্তু এ দেশের ৮০% মানুষের অনুভুতি নিয়ে খেলা করছে। আজকে আপানাদের সেই আপামার মানুষের মুখোমুখি দাড় করিয়ে দিচ্ছে। আপনাকে আমি এই সব বুজাচ্ছি না আমাকেও আপানার বুজাতে হবে না। বুজান সেই সব ধর্মপ্রান মানূষ গুলোকে, আমরাও কোন অংশে আমার নবীজীকে আপনাদের থেকে কম ভালবাসি না। শাহবাগে নবীজি কে নিয়ে কোন কথা হচ্ছে না। আমার নবীজিকে কেউ আমার সামনে গালি দিয়ে ফেরত যেতে পারবে না। কারো কোন আধিকার নাই আমার ভালবাসার মানূষ কে আমার সামনে গালি দেবার। এখানে কথা হচ্ছে ঐ জামাতি গুলোকে নিয়ে যারা নিজেদের অপকর্ম ঢাকার জন্য আমার নবীজীকে ঢাল হিসাবে ব্যাবহার করছে।
জামাত আর ইসলাম একনা। অনেক হয়েছে শাহবাগে স্টেজে বসে আন্দোলনের ডাক দেয়া এক কথা আর রাস্তায় নেমে ধর্মোন্মাদ জনগনের রোষের শিকার অন্য কথা। আর একটা কথা আপ্নারা যারা স্টেজ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচী দিচ্ছেন তারা কিন্তু জামাতের নেতাদের তুলনায় দূগ্ধপোষ্য শিশু তা আপনারা নিজেকে যাই ভাবুন না কেন।
শাহবাগের নেতারা
আপ্নাদের সাথে আছে এক ঝাক যুক্তিবাদী তরুন যোদ্ধা। এই যোদ্ধাদের সঠিক ভাবে কাজে লাগান ওই শুয়ার গুলার বিরুদ্ধে। কিন্তু জাতিকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দেবেন না। ফলাফল যাই আসুক না কেন তাতে শান্তি আসবে না।
আমার কয়েকটি প্রস্তাব
আজকে যারা মসজিদ থেকে সাধারন মুসুল্লীদের কে উত্তেজিত করে রাস্তায় নিয়ে আসছে তাদের শাহবাগে মঞ্চে আহ্বান জানান তারা কি বলতে চায় শোনার জন্য। আমি জানি আপ্নারা শিক্ষিত অতি অল্প সময়ের মধ্যে তাদের আসল মুখোশ সাধারন মানুষের মধ্যে উন্মোচিত হবে যুক্তির মাধ্যমে আর যদি না আসে তবে সেটাও আপনাদের এক ধরনের বিজয়।
প্রিয় ব্লগার ভাইরা আপ্নারা ৫/৭ জন এক এক গ্রুপে বিভক্ত হয়ে চলে যান নিকটস্থ প্রতি মসজিদে, মসজিদের হুজুরদের যুক্তি দিয়ে বুজান তাদের থেকে আমাদের ভালবাসা আমার নবীর প্রতি কোন অংশে কমনা। বরং বেশী।
ব্লগার ভাইরা যদি হুজুরদের বুজাতে সক্ষম হোন যে এখানে আমরা ’৭১ এর হত্যার, ধর্ষনের বিচার চাচ্ছি আর কিছু না তা হলে তারা যেন নামযের পরে মুসুল্লীদের একবার তাদের উপলদ্ধি শেয়ার করে সেই অনুরোধ করুন।
প্রতিটি মাদ্রসা থেকে প্রতিদিন শাহবাগে কমপক্ষে ৫ জন তালেবে এলেম আনার ব্যবস্থা করুন। তাদের কথা বলার সুযোগ দিন
এ প্রস্তাব সব নয় আপ্নারা আমার থেকে অনেক জ্ঞানী আরো অনেক পয়েন্ট আছে জামাতীদের কোন ঠাসা করার সেগুলো বের করুন। বেলুন ওড়ানো আর নৌকা বাইচ যে কোন আন্দোলন না নিশ্চয়ই এখন বুজছেন।
জামাত চাচ্ছে দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে আর একমাত্র সেই পন্থাই পারে তাদের রক্ষা করতে। ওদের ফাদে পা দেবেন না। এক মাত্র গুটি কয়েক জামাতি ছাড়া সবাই আমার ভাই বোন।
আর একটি কথা দেশের এই ক্রান্তিকালে আওয়ামীলীগ বিএনপি ভূলে যান। যে যেখানে আছেন সেখান থেকে বাকী সবাই কে বুকে টেনে নিন না হলে এর দায় কিন্তু আপনাকে আমাকে নিতে হবে। এটা একটা যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি। দেশের মধ্যে যেমন শত্রু আছে দেশের বাইরেও আছে। এই আমার দেশ। আমার বাংলাদেশ
আরো দেখুন
আন্দোলনের এই দ্বিধা বিভক্তির জন্য দায়ী হল আওয়ামীলীগ ও বিএনপি। কেন?
জামাতের টার্গেট কারা
আমার সোনার বাংলা
আমি তোমায় ভালোবাসি।
চিরদিন তোমার আকাশ, তোমার বাতাস
আমার প্রাণে বাজায় বাঁশি।
ও মা, ফাগুনে তোর আমের বনে
ঘ্রাণে পাগল করে–
(মরি হায়, হায় রে)
ও মা, অঘ্রাণে তোর ভরা খেতে,
(আমি) কি দেখেছি মধুর হাসি।।
কী শোভা, কী ছায়া গো,
কী স্নেহ, কী মায়া গো–
কী আঁচল বিছায়েছ
বটের মূলে, নদীর কূলে কূলে।।
মা তোর মুখের বাণী
আমার কানে লাগে
সুধার মতো–
(মরি হায়, হায় রে)
মা, তোর বদনখানি মলিন হলে
আমি নয়ন জলে ভাসি।।