somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

স্বাধীনতা যুদ্ধে তিন অজানা বিদেশী কে আমার স্যালুট

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দ্যা লাভ লেটার চিত্রকর্মটি

টিল অভ লিমবার্গ
৪র্থ অক্টোবর ১৯৭১ সাল বেলজিয়ামের ‘হেট ভোক’ পত্রিকায় এক ব্যাক্তি ফোন করে জানায় তার কাছে প্রখ্যাত ওলন্দাজ চিত্র শিল্পী ভেরমিয়ার ‘দ্যা লাভ লেটার’ তৈলচিত্রটি আছে। এই মাষ্টার পিস টি ২৪ শে সেপ্টেম্বর ব্রুসেলস ফাইন আর্টস থেকে চুরি যায়। তখন এটির বাজার মূল্য ছিল ৫০ লাখ ডলার। ঐ ব্যাক্তি জানান তিনি ঐ মাষ্টারপিস টি চুরি করেছেন। যদি কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশী শরনার্থীদের ৪০ লক্ষ ডলার কারিতাসের মাধ্যমে প্রধান করে তবে তিনি ঐ চিত্রকর্মটি ফেরত দিবেন। আর গ্যালারীতে যে চিত্রকর্মটি ঝুলানো আছে সেটি নকল। এবং এই অর্থ দিতে হবে একটি টেলিভিশন সংস্থার উপস্থিতিতে যারা অনুষ্ঠানটির সরাসরি প্রচার করবে।

পত্রিকার মতে ইন্স্যুরেন্স বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন একদিনের মধ্যে এধরনের চুক্তি করা ও টেলিভিশনে প্রচার করা অসম্ভব।

অজ্ঞাতনামা এ ব্যাক্তি নিজের নাম দিয়েছিলেন ‘টিল অভ লিমবার্গ’। টিল ইউলেনাস পিগেল ছিলেন রবিন হুডের মত কিংবদন্তী। যিনি বড় লোকদের ধন ডাকাতি করে গরীবের মধ্যে বিলাতেন। টিল অভ লিমবার্গ আরো ঘোষনা দেন তার দাবী না মানলে পৃথিবীতে যে কটি ভেরমিয়া আছে তার সবকটি চুরি করবেন। উল্লেখ্য সর্ব সাকুল্ল্যে ভেরমিয়া আছে মাত্র ৩৯টি।

ব্রুসেলেসের দৈনিক ‘ল্য সোয়ের’ এ ফোন করে টিল প্রথম এ সংবাদটি জানান। পত্রিকা তাকে প্রথমে প্রমান দাবী করে। প্রমান হিসাবে তিনি এক ফটো সাংবাদিক কে বেলজিয়ামের গহীন অরন্যে নিয়ে যান এবং সেখানে তাকে ছবি তোলার সুযোগ দান করেন। কিন্তু ওলন্দাজ জাতীয় জাদুঘরের পরিচালক ডাঃ এ এফ এ ভন সেন্দেল পরে বলেন ওই চিত্রকর্মের ছবি প্রমান হিসাবে জোরালো না কারন এটি প্রতিরূপ ও হতে পারে।

আজো ব্যাপারটি ধোয়ায় আচ্ছন্ন। সত্যি টিল চুরি করেছিল কিনা আমি জানি না কিন্তু টিল আমাদের যুদ্ধে যে সহমর্মিতা দেখিয়েছিল তার জন্য স্যালুট।

মসিয়ে প্রেমা যা করলেন

১৯৭১ স নে অনেক সাহায্য সংস্থা এগিয়ে এসেছি বাঙ্গালী শরনার্থীদের সাহায্যে। এর মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য ছিল রেডক্রস। এপ্রিলের একেবারে শুরুতেই রেডক্রস একটি আন্তর্জাতিক দল ঘোষনা করে মেডিকেল সাপ্লাই নিয়ে করাচীর পথে রওনা দেয়। পাকিস্তান সরকার তাদের করাচীতে আটকে দেয়। কমিটির সহ সভাপতি জ্যাক প্রেমা মনে করেন যদি সরাসরি ঘোষনা না দিয়ে গোপনে যেতেন তাহলে পাকিস্তান সরকার হয়ত বাধা দিত না।

মসিয়ে প্রেমা ছিলেন জেনেভা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক স্টাটিজের পরিচালক। রেডক্রসের কিছু নীতি নিয়ে এর আগেও তার সাথে বিরোধ হয়েছে। তার ধারনা তার মতামত গ্রহন না করারা জন্য পূর্ব পাকিস্তানে ত্রান নিতে পারে নি। সুতারাং এর প্রতিবাদে তিনি সহসভাপতির পদ থেকে ইস্তাফা দেন।

স্যালুট মসিয়ে প্রেমা

যোগার কর এক পাউন্ড
কীথ ওয়াটার হাউস। লন্ডনের ডেইলি মিররে নিয়মিত কলাম লিখতেন। জুন ৯ তারিখ পত্রিকার প্রথম পাতায় পাতায় তিনি লিখলেন তার কলাম টি বৃহস্পতিবার বের হবার কথা কিন্তু তিনি বুধবার লিখছেন কারন সময় নেই, এক দিন অনেককে বাচাতে পারে মৃত্যু থেকে।

কীথ লিখেছেন সময় নষ্ট করার সময় নেই। বরং এটি করুন দুপুরের আগেই করুন।
যোগার করুন একটি খাম।
কলম হাতে নিন।
খামের ওপর লিখুন
SAVE A LIFE
BOX-189, DAILY MIRROR
1 THABIS IN LONDON

আপনার হয়ত অন্য দাতব্য সংস্থা আছে। হয়তো ঠিকানা পাচ্ছেন না। হয়তো ভাবছেন আমার এই দান কতটুকু যাচ্ছে আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় কত টুকু যাচ্ছে ভূক্তভোগীর কাছে? ওসব দ্বিধাদ্বন্দ্ব জাতিসংগের ওপর ছেড়ে দিন। বরং খামের ওপর তিন পেনীর একটি টিকিট লাগান, এক পাউন্ডের একটি নোট নিন, যদি না থাকে তবে ধার করুন, গ্যাস মিটারের জন্য রাখা টাকা থেকে নিন, বাচ্চার পকেট মানি থেকে নিন, বাড়ী ভাড়া থেকে নিন, কিছু বিক্রি করুন না হলে বন্ধক রাখুন। খামে এক পাউন্ডের নোট টি রাখুন। পোষ্ট করুন তাতেই একটি জীবন বাচবে।

ধন্যবাদের আশা করবেন না। কারন কীথের ভাষায় – Because you will have done the absolute minimum that will entitle you to go an living on this bloody awful revolving globe. ১১ জুনের কলামটি ছাপানোর পর তখনকার দিনে ৩৩৪০০ পাউন্ড পাওয়া গেছিল দু’দিনের মধ্যে।

কীথ কি একটি স্যালুট আপনার আমার কাছ থেকে পায় না?

কৃতজ্ঞতাঃ মুনতাসীর মামুন এর অন্যরকম যুদ্ধ
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১২
১৬টি মন্তব্য ১৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কমলার জয়ের ক্ষীণ ১টা আলোক রেখা দেখা যাচ্ছে।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:১৮



এই সপ্তাহের শুরুর দিকের জরীপে ৭টি স্যুইংষ্টেইটের ৫টাই ট্রাম্পের দিকে চলে গেছে; এখনো ট্রাম্পের দিকেই আছে; হিসেব মতো ট্রাম্প জয়ী হওয়ার কথা ছিলো। আজকে একটু পরিবর্তণ দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×