পার্থ প্রতিমের ছবি। ছায়াসূর্য। শর্মিলি ঠাকুরের মত একজন ডাকসাইটে সুন্দরীকে গ্রাম বাংলার ওই রকম সাদাসিদে চরিত্রে অভিনয়ে বিশ্বাসযোগ্যতা আনা সোজা কথা না।ঘেটু অসুন্দরী বলে সামাজে সে ব্রাত্য। কিন্ত চেহারার অসৌন্দয্যকে ছাপিয়ে ঘেটুর মানের সৌন্দর্য্য যখন ফুটে ওঠে তখনই বোজা যায় শর্মিলি ঠাকুর কি মাপের অভিনেত্রী।
পারমিতার এক দিন
পারমিতা আমার কাছে দক্ষিনা বাতাস। শরীর মন জুরিয়ে দেয়। আমি মানূষ হয়েছি এক যৌথ ফ্যামিলিতে তাই পারমিতার সাথে আমার আত্নীক যোগা্যোগ টের পাই।দুইজন মানুষ,দুইজন নারী বয়স আর সমাজের বাধা ভেদ করে একাকীত্বকে আশ্রয় করে হয়ে ওঠে বন্ধু। নিজেদের দু:খগুলো,কষ্টগুলো,ভাললাগাগুলো আর মুহূর্তগুলো যথন একাকীত্বের কাছে হার মানতে শুরু করে তখনই এই দুই মানুষের মধ্যে গড়ে ওঠে বিশ্বাস আর ভালবাসার এক স্বর্গীয় সস্পর্ক। সমাজের বাধা আছে,জীবনেরও সীমাবদ্ধতা আছে- তারপরও এ বন্ধন অবিচ্ছেদ্য। পারো আমার কাছে নুনের মত ভালবাসা। পারোর কথা যখনি মনে পড়ে এক ভালালাগা ভর করে। স্মৃতিগুলো কথা বলে। পারমিতা কে বড় চোখে হারাচ্ছি। ইশ পারো যদি আমাকে একটা চিঠিও দিত!
মেঘে ঢাকা তারার নীতা
নীতার ভাঙ্গন, তার পরিবারের ভাঙ্গন আদতে বাংলার ভাঙ্গন, আসলে ঋত্তিক ঘটক এর জীবিত কালে কুড়ে কুড়ে খেয়ে ছিল এই দুই বাংলার ভাঙ্গন, শুধু ঋত্তিকের কথা বলি কেন এপার ওপার প্রতিটি মানুষের হাহাকার ছিল এই ভাঙ্গন। তাই তো নেহেরু, জিন্না, প্যাটেল, মাউন্টবাটেন কখন ও ক্ষমা পায়নি নিতার কাছ থেকে। নীতারা ওদের কখন ও ক্ষমা করবে না।
উত্তর ফাল্গুনীর দেবযানী
এক মা আর এক মেয়ে, একজন ব্যার্থ প্রেমিক, নিপিড়ীত স্ত্রী, মমতাময়ী মা আর এক জন স্মার্ট দক্ষ উকিল। দুটো চরিত্র একজনের। যে সময়ের ছবি সে সময় একজন ই ছিলেন এ রকম জ়টিল চরিত্র ফুটিয়ে তোলার জন্য। সে হল এক মে দ্বিতীয়ম সুচিত্রা সেন। কার চরিত্রে বেশি ভাল ছিলেন? আমার পক্ষপাতিত্ব কিন্তু মায়ের প্রতি। বার বার চোখে পানি এসে যায় তার পরো দেখি কাকে দেখি? সুচিত্রা না দেবযানীকে? জানি না।
মহানগরের আরতি
মহানগরের আরতির সাথে শুধু আমার প্রেম করেতে ইচ্ছে হয়নি। ঘর বাধতেও ইচ্ছা করছে। কারন এই ছবিটা আমি দেখি বিয়ের আগে। আমার মনের গহীন গভীরে সব সময় ইচ্ছে হত আরতির মত কাউকে পেতে। যদিও আমি কখনও মহানগরের সুব্রতের মানসিকতার ছিলাম না।আরতি আমার কাছে এমন এক চরিত্র যার সাথে প্রেম করে ঘর করা যায়।
পরমা
পরমাকে যখন প্রথম দেখি তখন কৈশর প্রায় উত্তীর্ন। নিজের মধ্যে এক প্রচন্ড ভাংচুর শুরু হল। সময়টাই সে রকম, আমরা যতই বলি আমরা আধুনিক কিন্তু পরমা আমাদের সেই বিশ্বাসে চির দিন প্রশ্ন করে যাবে। এখানেই পরমার সার্থকতা।অনুষাসননের মধ্যে পরমার যে পরিনতি ঘটল তা বেদনাদায়ক কিন্ত তার মধ্যে দিয়ে সম্পর্কের জটিলতা আর খোলা জায়গা দুটোরই উপস্তিতি টের পেলাম।
ইশ ব্লগে সবাই কি সুন্দর করে মুভি রিভিঊ দেয়, আমার ও দিতে ইচ্ছে হল কিন্তু আমি যে পুরানো দিনের কথা বলতে ভালবাসি। সাহস করে দিয়ে দিলাম আমার দেখা ছয়টি নারী কেন্দ্রিক বাংলা ছবি। কেউ যদি এই লেখা পরে একটা ছবি ও দেখে আমি জানব আমার আনন্দ কেউ ভাগ করে নিয়েছে। কষ্টগুলো নিজের কাছে থাক। আনন্দ গুলো সবাইকে নিয়ে। আনন্দ। আনন্দ
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মার্চ, ২০১৩ ভোর ৬:৩২