আমার দুই ছেলে। তাদের জন্য আমার কষ্ট হয় কেন জানেন? তারা ঘুম থেকে স্কুল এ যায়। বাসায় এসে হুজুর এর কাছে পড়া, বিকালে এক ঘন্টা খেলা। কি খেলা জানেন? কম্পিপিউটার গেম। তারপর আবার পড়া। মাঝে মাঝে আমি ওদের নিয়ে বের হই যদিও ওদের মা খুব একটা পছন্দ করেনা। আমি শুধু তাকে তখন একটাই প্রশ্ন করি ওদের বয়সে তুমি কি করতে? ভাগ্যিস আমার বউ মফস্বলের মেয়ে তারপর ও ছেলেদের এই অবস্থা। ছেলেদের প্রশ্ন বাবা তোমার ছোট বেলায় তুমি কি কি খেলতে? মনে পরে গেল গেল কি কি খেলা আমরা খেলতাম, আমার ছেলেরা অনেক ছোট খেয়াল করে নি খেলার বন’না দিতে গিয়ে আমার চোখের কোনে পানি জমে গেছে।
আমার সব চেয়ে প্রিয় একটা খেলা , তা হচ্ছে চুপি চুপি চলন্ত রিকশার পিছনে ওঠে গিয়ে বসে পড়া। বিনা ভাড়ায় কিছু দূর গিয়ে আবার নেমে পড়া।
বম্ব বাস্তিং খেলাটা খেলতাম টেনিস বল দিয়ে। যার হাতে বল যেত, সে অন্যর গায়ে সর্বশক্তি দিয়ে বল ছুড়ে মারত। তবে কেও বলহাতের বাক্তিকে ছুয়ে দিলে, তাকে বাদ দিয়ে অন্য কাওকে বলটা মারতে হতো। এটাও ছিল বেশ বিপদজনক। দেহের কোমল স্থানে লাগলে দম বেড়িয়ে যেত।
ডাংগুটিতে আমি ছিলাম আমার এলাকার চ্যাম্পিয়ন প্লেয়ার।
চলুন দেখি আমাদের সময় আন্যান্য কি কি খেলা আমরা খেলতাম
ঘুড়ি উড়ানো
একজনের ঘুড়ির সুতো দিয়ে অন্যের ঘুড়ির সুতোয় প্যাঁচ লাগিয়ে কেটে দেয়া এই গুড্ডি খেলার একটি আকর্ষণীয় বিষয়। আর এই উদ্দেশ্যেই ঘুড়ির মালিকরা কাঁচ মিহি গুড়ো করে, আঠায় মিশিয়ে সুতোয় লাগায়। ডিমের কুসুম, সাবু সিদ্ধ, ভাতের ফ্যান, অ্যারারুট (কাপড়ের মাড় দিতে ব্যবহৃত হয়), গাবসিদ্ধ, তেঁতুল-বিচি সিদ্ধ, বালি ইত্যাদির সঙ্গে কাঁচের মিহি গুড়ো মিশিয়ে মাঞ্জা দেয়া হত। যার সুতার ধার বেশি সে সারাক্ষণ অন্যের গুড্ডির সাথে প্যাঁচ খেলে ঘুড়ির সুতা কেটে দেয়। এই সুতা-কাটা ঘুড়িগুলো বাতাসে ভাসতে ভাসতে চার-পাঁচ মাইল দুরেও চলে যায়। আর সেই সুতা-কাটা ঘুড়ি ধরারা জন্য বাচ্চা ছেলে থেকে বুড়োরা অব্দি মাইলের পর মাইল দৌঁড়ায়। বলার অপেক্ষা রাখেনা, এ ধরণের ঘুড়ি যে ধরতে পারে সেটা তারই হয়। সব সুতো কাটা ঘুড়ি উদ্ধার করা সম্ভব হয়না। কোন ঘুড়ি বিলের পানিতে পড়ে নষ্ট হয়ে, কোনটি গাছ বা খুঁটির আগায় বেঁধে ছিঁড়ে যায়। কিন্তু এমন ঘুড়ি উদ্ধারের জন্য শিশু-কিশোরদের চেষ্টার অন্ত থাকে না।
দাড়িয়াবান্ধা
ছক বাধা ঘর দাড়িয়াবান্ধার আসল বৈশিষ্ট্য। খেলা হয় দুটি দলের মধ্যে। প্রত্যেক দলে ৫/৬ থেকে শুরু করে ৮/৯ জন পর্যন্ত খেলোয়াড় থাকে। খেলা শুরুর আগেই মাটির উপর দাগ কেটে ঘরের সীমানা নির্ধারণ করা হয়। খেলায় ঘরের সীমানার বাধ্যবাধকতা থাকায়, দ্রুত দৌড়ের চেয়ে কৌশল ও প্যাঁচের কসরত জানতে হয় বেশি।
১ নম্বর ঘরকে কোন কোন অঞ্চলে বদন ঘর, ফুল ঘর বা গদি ঘর বলে। ২ নম্বর ঘরটি লবণ ঘর বা পাকা ঘর নামে বা নুন কোট পরিচিত। ঘরগুলোর মাঝ বরাবর যে লম্বা দাগটি থাকে তাকে কোথাও বলে দৌড়েছি, আবার কোথাও বলে শিড়দাড়া বা খাড়াকোট। আর প্রস্ত বরাবর রেখাগুলোকে বলে পাতাইল কোট। দাড়িয়াবান্ধা খেলার জন্য প্রয়োজন সমতল জমি যেখানে কোদাল দিয়ে কেটে কিম্বা চুন দিয়ে দাগ দিয়ে নিতে হয়।
সমান্তরাল রেখার মধ্যে অন্তত এক হাত জায়গা থাকতে হবে যাতে যে-কোন খেলোয়াড় এই জায়গা দিয়ে যাতায়াত করতে পারে। যাতায়াত করার সময় দাগে যাতে পা না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখতে হয়। অন্য ঘরগুলোতেও খেলোয়াড়ের দাড়ানোর জন্য কমপক্ষে এক হাত পরিমাণ জায়গার লাইন থাকবে। দাগে কারোই পা পড়া চলবে না।
খেলার শুরুতে গদি ঘরে একদলের খেলোয়াড়রা অবস্থান নেয়। অন্যেরা প্রতিঘরের সঙ্গে অঙ্কিত লম্বরেখা বরাবর দাঁড়ায়। যেহেতু এই খেলায় ছোঁয়াছুয়ির ব্যাপার আছে, সেজন্যে কোন খেলোয়াড় যদি ছোঁয়া বাঁচিয়ে সব ঘর ঘুরে এসে আবার গদি ঘরে ফিরতে পারে তবে সে এক পয়েন্ট পায়। একদল প্রথমে খেলার সুযোগ পায়, সেই সুযোগকে বলে ঘাই। পয়েন্ট পেলে ঘাই তাদের দখলে থাকে। তবে সব ঘর ঘুরে আসার সময় বিপক্ষের কোন খেলোয়াড় যদি ছুঁয়ে ফেলে তবে পুরো দলই ঘাই হারায়। এভাবে চলতে থাকে খেলা।
সবাই সব ঘর ঘুরে আসার উপর নির্ভর করে খেলার ফলাফল। একজনের অসতর্কতা বা অক্ষমতা পুরো দলকেই ঘাই হারিয়ে বিপক্ষ দলের ভূমিকায় নামায়।
ডাঙ্গুলি
-- , - - "" -" " " "
- " style="border: 1px solid #ccc;align:center;clear:both;" />
-- একদলের একজনকে বৌ বসিয়ে অপর দল তার চারপাশে ঘুরবে। অন্যদলের খেলুড়েদের একপায়ে লাফিয়ে লাফিয়ে ছুঁয়ে প্রতিপক্ষকে "মোড়" করতে হবে। অবশ্য বৌ ছুঁয়ে দিলে সে মোড় হওয়া থেকে বেঁচে যাবে। সকলকে মোড় করে তার দলের বৌ ফেরত নিয়ে অপর দলের বৌকে বসানো যাবে। এমন সব অনেক খেলাই তখন গ্রামে শহরতলীতে ছোটরা খেলতো। গ্রামে এসব খেলার চল এখোনো কিছুটা থাকলেও শহরতলীতে এসব খেলা এখন আর কেউ খেলে না।
হাডুডু বা কাবাডি
প্রত্যেক দলে ৮ থেকে ১০ জন করে মোট দুটি দল খেলায় প্রতিযোগিতা করে। আয়তকার কোর্টের মাপ হয় দৈর্ঘ্যে সাড়ে ১২ মিটার এবং প্রস্তে ১০ মিটার। হাডুডু খেলায় ছুঁয়ে বের হয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে প্রচুর দমও থাকতে হয়। প্রত্যেক দলের খেলোয়াড় একজনের পর আরেকজন একদমে ‘ডুগ-ডুগ’ বা ‘কাবাডি কাবাডি’ বলতে বলতে বিপক্ষ দলের সীমানায় ঢুকে যদি প্রতিপক্ষের কাউকে ছুঁয়ে যদি বের হয়ে আসতে পারে তবে সেই দল যেমন পয়েন্ট পায়, তেমনি অপর দলের ছোঁয়া খেলোয়াড়টি খেলা থেকেই বাদ পড়ে। অন্যদিকে বিপক্ষ দলকে ছোঁয়ার জন্যে ঢুকে সে যদি ধরা পড়ে ধস্তাধস্তি করেও নিজের সীমানায় ফিরতে না পারে তবে সে মারা পড়ে এবং খেলা থেকে বাদ পড়ে। আর এভাবেই একপক্ষ আরেকপক্ষের কতজনকে ছুঁয়ে বা ধরে ফেলে বাদ দিতে পারে তার উপরেই নির্ভর করে খেলার জয়-পরাজয়।
ব্যাঙ লাফানো
গ্রাম বাংলায় পানি ঝুপ্পা বা ব্যাঙ লাফানো খেলা সাধারনত ছেলেরাই খেলে। পানিতে না নেমেই খেলা যায় এই খেলাটি। এটি খেলতে দরকার শান- পুকুর বা মরা নদীতে পাতলা চ্যাপ্টা মাটির টুকরা, ভাঙা হাড়ির চাড়া বা খোলামকুচি ডাঙা থেকে থেকে হাতের কৌশলে পানির ওপর ছুঁড়ে মারা হয়। চাড়াটি ব্যাঙের মতো লাফাতে লাফাতে গিয়ে ডুবে যায়। কয়েকজন মিলে প্রতিযোগিতা না করে খেললে খেলাটি জমে না। পানির ওপর দিয়ে চাড়াটি ছুটে যাবার সময় কতোবার লাফ দিল এবং কতো দূরে গেল, তার ওপরই নির্ধারিত হয় হারজিৎ।
গোলাপ-টগর
গোলাপ-টগর কোথাও ফুলটোক্কা, বউরাণী আবার কোথাও টুকাটুকি নামে পরিচিত। অল্পবয়েসি ছেলেমেয়েরা সমান সংখ্যক সদস্য নিয়ে দুই দলে ভাগ হয়। দলের প্রধান দুইজনকে বলে রাজা। খেলার শুরুতে রাজা ফুল-ফলের নামে নিজ দলের সদস্যদের নাম ঠিক করে দেয়। তারপর সে বিপক্ষ দলের যেকোন একজনের চোখ হাত দিয়ে বন্ধ করে, ‘আয়রে আমার গোলাপ ফুল, বা আয়রে আমার টগর ফুল’ ইত্যাদি নামে ডাক দেয়। সে তখন চুপিসারে এসে চোখবন্ধ যার তার কপালে মৃদু টোকা দিয়ে নিজ অবস্থানে ফিরে যায়। এরপর চোখ খুলে দিলে ওই খেলোয়াড় যে টোকা দিয়ে গেল তাকে সনাক্ত করার চেষ্টা করে।
সফল হলে সে সামনের দিকে এগিয়ে যায়। এবার বিপক্ষের রাজা একই নিয়েম অনুসরণ করে। এভাবে লাফ দিয়ে মধ্যবর্তী সীমা অতিক্রম করে প্রতিপক্ষের জমি দখল না করা পর্যন্ত খেলা চলতে থাকে।
রুমাল চুরি
সব বন্ধুরা মিলে গোল হয়ে বসে খেলতে হয় এই খেলাটি। প্রথমে একজন ‘চোর’ হয়, অন্যেরা কেন্দ্রের দিকে মুখ করে গোল হয়ে বসে। চোর হাতে রুমাল নিয়ে চারিদিকে ঘুরতে ঘুরতে সুবিধামতো একজনের পেছনে অলক্ষ্যে সেটা রেখে দেয়। সে টের না পেলে চোর ঠিক পিছনে এক পাক ঘুরে এসে তার পিঠে কিল-চাপড় দেয়। আগে টের পেয়ে গেলে কিম্বা পরে মার খেয়ে রুমাল নিয়ে উঠে দাঁড়ায়। এবার সে হয় চোর আর তার শুন্য জায়গায় বসে পড়ে আগের খেলোয়াড়।
কুমির কুমির খেল
‘কুমির কুমির খেলা’র ধরণ বা নিয়ম সবারই মনে হয় জানা । তবু যারা খেলেনি তাদের জন্য একটু বলি। এই খেলায় একপক্ষ কুমির আর একপক্ষ মানুষ। ছেলেপিলেরা এই খেলার জন্য বেছে নেয় কোনো বাড়ির উঠোন। যেখানে বারান্দা আছে। উঠোনের দু পাশে বারান্দা থাকলে সেটা বেশি মজার। প্রথমে একজন কুমির হবে।সে থাকবে উঠোনে , নিচে। বাকিরা থাকবে বারান্দায় বা উঁচু জায়গায়। কুমিরকে দেখিয়ে দেখিয়ে অন্য ছেলেপিলেরা বারান্দা থেকে নেমে এপাশে ওপাশে ছুটে বেড়াবে।কুমির চেষ্টা করবে তাদেরকে ধরার। আর অন্যেরা চেষ্টা করবে যাতে কুমির তাদেরকে ধরতে না পারে। কুমির তাদেরকে একমাত্র ধরতে পারবে তখনই যখন তারা জলে থাকবে । ডাঙায় উঠে গেলে কুমির ধরলেও ‘মার’ বা ‘মোড়’ হবে না। যদি জলে থাকাকালীন কুমির কাউকে ধরে ফেলে তবে সে মার হয়ে যাবে। কুমির ছুঁতে এলেই খেলুড়েরা ডাঙায় উঠে পড়বে। আবার অন্য কাউকে ধরতে গেলে অন্য দিক থেকে খেলুড়েরা জলে (মানে ঊঠোনে ) নেমে পড়বে আর কুমিরের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে বলবে-
‘ও কুমির তোমার জলকে নেমেছি।’
কুমির এবার এদেরকে ধরতে ছুটে আসবে। এরা আবার ডাঙায় উঠে যাবে । এই জন্য উঠোনের দুদিকে বারান্দা থাকলে খেলার মজাটা ভালো হয়। তাহলে কুমির সহজে কাউকে ধরতে পারে না। এই ভাবে খেলা চলতে থাকবে।
কিন্তু একা একটা কুমির আর কতক্ষণ পারবে ! তাই খেলাটির আরো বৈচিত্র্য আছে। কুমির যাকে মার বা মোর বা মরা করতে পারবে সেও কুমির হয়ে যাবে এবং এই কুমিরের সাথে সেও অন্যদের ‘মার’ করার চেষ্টা করবে। এইভাবে কুমিরের দলের খেলুড়ের সংখ্যা বাড়বে এবং শেষ পর্যন্ত যে বাকি থাকবে সে হবে পরের দানের(পর্বের) বা খেলার কুমির।
তবে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নিয়ম আছে খেলাটির।
সাত চারা
সাত চারা নামক একটা খেলা ছিল। এটা অনেকেই খেলেছেন। এছাড়াও ‘চারা‘ নামক একটা খেলা ছিল। মাটির কলস কিংবা ঢাকুন-এর ভাঙ্গা টুকরা ছিল চারা। মাটিতে একটা ঘর কেটে একজন চারা ছুড়ে মারত। তারপর অন্যজনকে চ্যালেঞ্জ করা হতো ওই চারার কাছাকাছি অন্য একটা চারা পৌঁছানর। বাজিও ধরা হতো। বাজির বিভিন্ন উপকরণ ছিল, যেমন ম্যাচের খোসা, K2 বা স্টার সিগারেটের প্যাকেট। কখনো চকলেটের মোড়ক। এই খেলাটা খেলতাম উঁচু নিচু মাটিতে বা মাটির টিবিতে
চাকা বা রিং।
আরেকটা খেলা ছিল চাকা বা রিং। ছোট একটা লাঠি দিয়ে রাস্তায় সাইকেলের টায়ার, চাকা বা রিং বারি দিয়ে ঘোরাতে ঘোরাতে এক মহল্লা থেকে অন্য মহল্লায় ছুটে চলা। এটা একটু বিপদজনকও ছিল। মনে আছে, একবার মিরপুর ১ থেকে মিরপুর ১০ এ স্টেডিয়ামের কাছাকাছি চলে গিয়েছিলাম। রাস্তায় রিকশার তলে , কিংবা ম্যানহোলে পড়ার সম্ভাবনা থাকত। আর এর ওর সাথে ধাক্কা খাওয়া তো খেলারই একটা অংশ। একবার আমার একটা রিং(রীতিমতো ওয়ার্কশপ থেকে অর্ডার দিয়ে বানানো) ম্যানহোলে পড়ে যাওয়ায় আমার খুবই ক্ষতি হয়েছিল। কেননা রডের তৈরি রিং দিয়ে এক্সপার্ট-রাই খেলত। এই রিং-এর ভারসাম্য রক্ষা করার জন্য, চিকন আর একটা রড বা তার দিয়ে হ্যান্ডেল বানাতে হতো। খরচ একটু বেশি, তবে রিং-টা রাস্তায় চালানো বেশ আরামদায়ক ছিল।
আনটিশ বা গড়ানতিস
আনটিশ খেলাটা খেলতাম মার্বেল দিয়ে। মাটিতে ছোট একটা গর্ত করে, দূর থেকে মার্বেল গড়িয়ে দেয়া হতো। যার মার্বেল গর্তের কাছাকাছি পৌঁছাত, সে প্রথম সুযোগ পেত অন্যর মার্বেলকে টার্গেট করার। প্রথমে গর্তে মার্বেল টা ফেলতে হতো। বুড়ো আঙ্গুল মাটিতে স্পর্শ করে মধ্যমা দিয়ে ছুড়ে দেয়া। তারপর গর্ত থেকে অন্যের মার্বেলকে টার্গেট করে মার্বেল ছুড়ে দেয়া। লাগাতে পারলে মার্বেলটা আমার। মার্বেল দিয়ে আরেকটা খেলা ছিল ‘গড়ানতিস’। এই খেলায় একসাথে অনেকগুলো মার্বেল জেতা যেত।
বম্ব বাস্তিং
বম্ব বাস্তিং খেলাটা খেলতাম টেনিস বল দিয়ে। যার হাতে বল যেত, সে অন্যর গায়ে সর্বশক্তি দিয়ে বল ছুড়ে মারত। তবে কেও বলহাতের বাক্তিকে ছুয়ে দিলে, তাকে বাদ দিয়ে অন্য কাওকে বলটা মারতে হতো। এটাও ছিল বেশ বিপদজনক। দেহের কোমল স্থানে লাগলে দম বেড়িয়ে যেত।