somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পৃথিবীতে চার ধরনের offshore (সাগর) এর ড্রিলিং রিগ আছে।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ২:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
পৃথিবীতে চার ধরনের offshore (সাগর) এর ড্রিলিং রিগ আছে।
১। জ্যাক আপ রিগ

২। সেমিসাব রিগ

৩। টেন্ডার টাইপ রিগ

৪। ড্রিলশীপ রিগ


তেল বা গ্যাস এর জন্য যখন কোন গত’ (well) করা হয় তখন স্থান ভেদে বিভিন্ন রকম সময় লাগে। উদারন স্বরুপ বাংলাদেশ এ বিবিয়ানা য় একটা গত’ করতে ৪/৫ মাস লাগে আবার থাইল্যান্ড এর সাগরে (gulf of Thailand) এ একটা গত’ করতে ৫/৬ দিন লাগে।

আমরা যে সব oil company র নাম জানি যেমন Chevron, Cairns, Unocal, mobile, Texaco, Petronous র নাম জানি তাদের Parrents Company বলা হয়। এরা আসলে সরকার এর সাথে একটা চুক্তি করে যাকে Production Sharing Contract (PSC)বলে। আসলে যখন গত’ করা হয় তখন ছোটো ছোটো কিছু company আছে তারা Parrents Company র সাথে চুক্তি করে গত’ (Well) র কাজ সম্পাদন করে। আরো সহজ ভাবে বললে একটা বাড়ী করার সময় যেমন রাজমিস্থী, কাঠ মিস্থী, electrician, আকি’টেক্ট, ছুতার লাগে তেমনি একটা well করতে contractor, mud logging, MWD, cementer, Casing, solid control, completion, LWD, wireline company লাগে।

দীর্ঘ পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও প্রাযুক্তিক উন্নয়নের ফলে গ্যাস অনুসন্ধান এবং উত্তোলনের কতগুলো পরীক্ষিত পদ্ধতি আমরা পেয়েছি। যেমন_সিসমিক সার্ভের কথা অনেকে শুনে থাকবেন। এই পদ্ধতিতে প্রাথমিকভাবে গ্যাস অনুসন্ধানের কাজ চালানো হয়।

ভূতত্ত্ববিদরা প্রথমে বিশেষ প্রকারের কিছু শিলার অস্তিত্ব অনুসন্ধান করেন। যে স্থানে সেসব শিলা মেলে, সেখানে সিসমিক সার্ভে চালানো হয়। এই পদ্ধতিতে মাটিতে ভূকম্পন সৃষ্টি করে কম্পনের প্রতিধ্বনির গতি-প্রকৃতি রেকর্ড করা হয়। প্রয়োজনে মাটিতে গর্ত করে ডিনামাইট বা বিস্ফোরক ব্যবহার করেও কম্পন সৃষ্টি করা হতে পারে। পরে কম্পিউটারে বিশেষায়িত সফটওয়ারের সাহায্যে এই প্রতিধ্বনির তথ্য বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আমাদের দেশের বাপেঙ্ সম্প্রতি নেত্রকোনা অঞ্চলে সুনেত্র নামে একটি গ্যাসের বিশাল ক্ষেত্র এই পদ্ধতিতে আবিষ্কার করেছে।
সিসমিক সার্ভে পদ্ধতি শুধু স্থলেই নয়, সমুদ্রের গভীরেও সফলভাবে ব্যবহার হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে একটি সার্ভে জাহাজ থেকে বিভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্য ও বিস্তারের শব্দ পাঠানো হয় সমুদ্রতলে। ফিরে আসা প্রতিধ্বনি থেকে বিশ্লেষণ করে বের করা হয় শিলাস্তরের প্রকৃতি ও খনিজ সম্পদের উপস্থিতির সম্ভাবনা।

গ্যাস কূপ খনন ও উত্তোলন
কূপ খননের জায়গা চিহ্নিত হওয়ার পর প্রয়োজন হয় ড্রিলিং রিগের। ড্রিলিং রিগ এমন এক যন্ত্র, যা মাটিতে গভীর গর্ত খননের জন্য সব ধরনের যন্ত্রাংশ দ্বারা সজ্জিত। ড্রিলিং রিগ ছোট থেকে বিশাল বিভিন্ন আকৃতির হতে পারে। ড্রিলিং রিগ ব্যবহার করে শিলাস্তরের গঠন পরীক্ষা করা যেতে পারে, ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ও প্রকৃতি নির্ধারণ করা হয়, এমনকি মাটির গভীরে টানেল খননের কাজও করা যেতে পারে। রিগ বহনযোগ্যও (বড় ট্রাক বা ট্রেইলরের সাহায্যে) হতে পারে আবার কোনো জায়গায় পাকাপাকিভাবে বসানোও হতে পারে। সমুদ্রের ওপর প্লাটফর্ম তৈরি করে রিগ বসানো হয়।

ড্রিলিং রিগ ছাড়াও রিগ বলতে সাধারণভাবে বোঝানো হয় এমন যন্ত্রপাতির সামগ্রিক আয়োজন, যা মাটির গভীরে প্রবেশ করার রাস্তা তৈরি করে।

বর্তমানে অনেক ধরনের রিগ এবং ড্রিলিং পদ্ধতি রয়েছে, যার সরলীকৃত একটি বর্ণনা এখানে দেওয়া হলো
চিত্রের মাঝখানে দেখা যায় উঁচু প্লাটফর্মের ওপরে কপিকলে ঝোলানো ড্রিল বিট এলিভেটর দিয়ে তুলে আঘাত করে ঢোকানো হচ্ছে মাটির গভীরে। ড্রিল বিট তার নিজের অক্ষে ঘোরানোর জন্য আছে রোটারি টেবিল । মাটির ভেতরে চাপ দিয়ে যখন ড্রিল বিট প্রবেশ করে, তখন মাড পাম্প আশপাশে যে কাদা, পানি ও বর্জ্য থাকে তা টেনে জমা করে মাড ট্যাংকে । মোটরের সাহায্য ড্রওয়ার্ক ইউনিট স্পুলটিকে চালিত করে। বোরহোল দিয়ে যখন ড্রিলিং বিট প্রবেশ করে, তখন আশপাশের চাপে যে বিস্ফোরণ হতে পারে তার জন্য প্রয়োজন হয় ব্লো আউট প্রিভেন্টর। ডিগ্যাসার (ড্রিলিং ফ্লুইড আর বাতাস/গ্যাস আলাদা করে) এবং সেন্ট্রিফিউজের (কাদা এবং বালি থেকে ড্রিলিং ফ্লুইড আলাদা করে) মধ্য দিয়ে শোধনের শেষে ড্রিলিং পাইপ দিয়ে উঠে আসে ড্রিলিং ফ্লুইড বা গ্যাস।




সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:২৩
৭টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

মার্কিন নির্বাচনে এবার থাকছে বাংলা ব্যালট পেপার

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:২৪


আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাংলার উজ্জ্বল উপস্থিতি। একমাত্র এশীয় ভাষা হিসাবে ব্যালট পেপারে স্থান করে নিল বাংলা।সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর খবর অনুযায়ী, নিউ ইয়র্ক প্রদেশের ব্যালট পেপারে অন্য ভাষার সঙ্গে রয়েছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সত্যি বলছি, চাইবো না

লিখেছেন নওরিন হোসেন, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:০৮



সত্যি বলছি, এভাবে আর চাইবো না।
ধূসর মরুর বুকের তপ্ত বালির শপথ ,
বালির গভীরে অবহেলায় লুকানো মৃত পথিকের... ...বাকিটুকু পড়ুন

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা কি 'কিংস পার্টি' গঠনের চেষ্টা করছেন ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:১০


শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর থেকেই আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নামক সংগঠন টি রাজনৈতিক দল গঠন করবে কিনা তা নিয়ে আলোচনা চলছেই।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শেখস্থান.....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:১৫

শেখস্থান.....

বহু বছর পর সম্প্রতি ঢাকা-পিরোজপু সড়ক পথে যাতায়াত করেছিলাম। গোপালগঞ্জ- টুংগীপাড়া এবং সংলগ্ন উপজেলা/ থানা- কোটালিপাড়া, কাশিয়ানী, মকসুদপুর অতিক্রম করার সময় সড়কের দুইপাশে শুধু শেখ পরিবারের নামে বিভিন্ন স্থাপনা দেখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×