মটরপোলাওয়ের জন্য কিছুটা লোভ হচ্ছিল। তাই দিন দশেক পর ঢাকায় ফিরে বাসায় এসে মটরের কথা জিজ্ঞাসা করলাম।
মটর !!! হ্যাঁ মটরশুটি ঐযে ঐদিন যাবার আগে কিনে ছিলাম?
ঐগুলো তো মটরশুটি না বিষ। গোটা দশবার পানি দিয়ে ধুয়ে নাকি সবুজ রং থেকে মুক্তি মিলেনি। তারপর যখন সিদ্ধ করল তখন পানি সবুজ হয়ে গেল। যত সিদ্ধ হয় পানি তত সবুজ হয়। তারপর এক সময় পানি কালো হয়ে গেল। মটরশুটিগুলো ফেলে দেওয়া হল।
এই রকম মটরশুটি ঢাকার প্রায় সকল বাজারে বিক্রি হয়। কোন প্রতিকার নেই।
নিরাপদ খাদ্য আইন
পঞ্চম অধ্যায়
বিষাক্ত দ্রব্যের ব্যবহার
বিষাক্ত দ্রব্যের ব্যবহার
২৩। কোন ব্যক্তি বা তাহার পক্ষে নিয়োজিত অন্য কোন ব্যক্তি, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে, মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর অথবা বিষক্রিয়া সৃষ্টিকারী রাসায়নিক দ্রব্য বা উহার উপাদান বা বস্ত্ত (যেমন-ক্যালসিয়াম কার্বাইড, ফরমালিন, সোডিয়াম সাইক্লামেট), কীটনাশক বা বালাইনাশক (যেমন-ডি.ডি.টি., পি.সি.বি. তৈল, ইত্যাদি), খাদ্যের রঞ্জক বা সুগন্ধি, আকর্ষণ সৃষ্টি করুক বা না করুক, বা অন্য কোন বিষাক্ত সংযোজন দ্রব্য বা প্রক্রিয়া সহায়ক কোন খাদ্যদ্রব্য বা খাদ্যোপকরণে ব্যবহার বা অন্তর্ভুক্ত করিতে পারিবেন না অথবা উক্তরূপ দ্রব্য মিশ্রিত খাদ্যদ্রব্য বা খাদ্যোপকরণ মজুদ, বিপণন বা বিক্রয় করিতে পারিবেন না।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯
খাদ্য পণ্যে নিষিদ্ধ দ্রব্যের মিশ্রণের দণ্ড
৪২৷ মানুষের জীবন বা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক কোন দ্রব্য, কোন খাদ্য পণ্যের সহিত যাহার মিশ্রণ কোন আইন বা বিধির অধীন নিষিদ্ধ করা হইয়াছে, কোন ব্যক্তি উক্তরূপ দ্রব্য কোন খাদ্য পণ্যের সহিত মিশ্রিত করিলে তিনি অনূর্ধ্ব তিন বৎসর কারাদণ্ড, বা অনধিক দুই লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
ঢাকায় বাসস্যান্ড, লঞ্চঘাট, রেল স্টেশন, বিভিন্ন জায়গায় এই সবুজ রং দেওয়া শশা, আমড়া বিক্রি করতে দেখা যায়। এগুলোতে স্বাস্থ্যহানীকর রং ব্যবহার করা হয়। আপনি যদি তাদের প্রতিরোধে এগিয়ে আসেন একবার তবেই মুক্তি মিলবে আমাদের। তাই আসুন স্থানীয় ভাবে আমরা প্রতিরোধ শুরু করি। পাশাপাশি দায়িত্বশীল সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ভেজাল প্রতিরোধে সম্পৃক্ত করি।
প্রতিকার কি আছে?
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ চাইলে ব্যবস্থা নিতে পারেন।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ , ২৯৷ কোন পণ্য মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য বিশেষভাবে ক্ষতিকর বলিয়া প্রমাণিত হইলে, মহাপরিচালকের পরামর্শক্রমে সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, সমগ্র দেশে বা কোন নির্দিষ্ট এলাকায় এইরূপ পণ্যের উৎপাদন, আমদানি, বাজারজাতকরণ, বিক্রয়, বিক্রয়ের জন্য প্রদর্শন, বিতরণ, বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে পরিবহন বা বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করিবার বা প্রজ্ঞাপনে নির্ধারিত শর্তাধীন ঐ সকল কার্যক্রম পরিচালনা বা ব্যবস্থাপনার বিষয়ে নির্দেশ জারী করিতে পারিবে।
ভেজাল পণ্যের সরাসরি আটক ও নিষ্পত্তি
৩৬। এই আইনের অধীন গৃহীত কোন অনুসন্ধান, তদন্ত বা বিচার কার্যক্রমে যদি প্রতীয়মান হয় যে, কোন পণ্য দৃশ্যতঃ ভেজাল এবং মানুষের খাদ্য হিসাবে ভক্ষণের অযোগ্য বা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, এবং অনুরূপ অভিযোগ প্রতিপক্ষ কর্তৃক স্বীকৃত হয় বা অস্বীকার না করা হয়, তাহা হইলে উক্ত পণ্য সরাসরি আটক করিয়া নির্ধারিত পদ্ধতিতে ব্যবহার, হস্তান্তর, ধ্বংস বা অন্য কোন প্রকারে বিলি বন্দোবস্ত করা যাইবে।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৮