$$সর্দারজি ও বান্তার মধ্যে ইভ টিজিং নিয়ে কথা হচ্ছে—
বান্তা: জানিস, ইভ টিজিং যে হারে বেড়ে গেছে, তাতে মেয়েদের বাইরে বের হওয়া দায় হয়ে গেছে।
সর্দারজি: হুম্ম, ঠিকই বলেছিস।
বান্তা: এটা রোধ করার উপায় কী বল তো?
সর্দারজি: আমি একটা উপায় বের করেছি। এখন আমার মেয়েকে নিয়ে আমি নিশ্চিন্ত।
বান্তা: কী সে উপায়?
সর্দারজি: আমি আমার মেয়ের নাম রেখেছি ‘দিদি’। তাকে সবাই দিদি বলেই ডাকে। দিদিকে তো কেউ আর ইভ টিজিং করবে না!
$$সর্দারজি হেলিকপ্টার নিয়ে আকাশে উড়েছেন। চালক তিনি নিজেই। কিছুক্ষণ ওড়ার পর হেলিকপ্টারটি ধপাস করে নিচে পড়ে গেল। ভাগ্যক্রমে প্রাণে বেঁচে গেলেন সর্দারজি।
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সাংবাদিকেরা ছুটে এলেন।
সর্দারজিকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘আচ্ছা, কী ঘটেছিল বলুন তো?’
‘ঘটনা তেমন কিছু নয়। ওপরে খুব ঠান্ডা লাগছিল, তাই হেলিকপ্টারের ফ্যানের সুইচটি বন্ধ করে দিয়েছিলাম।’ সর্দারজির জবাব।
$$পাবলো পিকাসো তখন দারুণ জনপ্রিয় চিত্রশিল্পী। একদিন চার্লি চ্যাপলিন গেলেন পিকাসোর সঙ্গে দেখা করতে। বললেন, ‘আপনি কি করে ছবি আঁকেন, দেখতে এলাম।’
পিকাসো সাদরে অভ্যর্থনা জানিয়ে চার্লি চ্যাপলিনকে নিয়ে গেলেন তাঁর স্টুডিওর মধ্যে। সেখানে তিনি একটা ছবি আঁকতে ব্যস্ত ছিলেন। চ্যাপলিন দাঁড়িয়ে আছেন আর পিকাসো নিমগ্ন হয়ে ছবি আঁকছেন। হঠাৎ তুলি থেকে খানিকটা রং ছিটকে গিয়ে পড়ল চার্লি চ্যাপলিনের সাদা জামায়। পিকাসো আঁতকে উঠে বললেন, ‘ওহ্, আমি খুবই দুঃখিত চার্লি! দাঁড়াও, আমি এক্ষুনি স্পিরিট নিয়ে এসে রংটা মুছে দিচ্ছি।’
চ্যাপলিন একবার তাঁর জামাটার দিকে তাকান, তারপর হাসতে হাসতে বলেন, ‘কোনো দরকার নেই, তার চেয়ে আপনি বরং আমার প্যান্টের ওপর একটা সই দিয়ে দিন।’
$$দেশলাই নিয়ে সর্দারজি তাঁর ছেলের সঙ্গে কথা বলছেন—
সর্দারজি: গাধা কোথাকার। কেমন দেশলাই নিয়ে এলি, যার একটি কাঠিও জ্বলে না।
ছেলে: রেগে যাচ্ছ কেন? আমি তো সব কাঠি জ্বালিয়ে পরীক্ষা করেই নিয়ে এসেছি। তা না হলে তো আবার তুমিই রাগারাগি করতে।
$$তরুণ এক ফ্রেঞ্চ একবার এক ইংরেজ মেয়েকে কিছু বলতে গিয়ে গালে চড় খেয়েছিল। কিন্তু ফ্রেঞ্চ তরুণের কোনো বদমতলব ছিল না। তার ইংরেজিতে কথা বলাটা সঠিক ছিল না। সে বলতে চেয়েছিল, ‘আমি যখন তোমার দিকে তাকাই তখন সময় থেমে যায়।’ কিন্তু সে বলেছিল, ‘তোমার চেহারা ঘড়িকে অচল করে দেয়।’
$$পিসির সামনে বসে প্রোগ্রাম রচনা করছে প্রোগ্রামার। তার দৃষ্টি আকর্ষণের নানাবিধ চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর তার স্ত্রী নতুন কেশবিন্যাস করল, নতুন পোশাক পরল, মেকআপ করল মন দিয়ে, তারপর তার কাছে গিয়ে বলল, ‘আমার দিকে তাকিয়ে দেখো তো। কোনো পরিবর্তন লক্ষ করছো?’
স্ত্রীর দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে প্রোগ্রামার বলল, নতুন স্কিন?
$$সর্দারজি অটোরিকশা থেকে নেমে ড্রাইভারকে ভাড়া পরিশোধ করছেন—
সর্দারজি: অ্যাই, আপনার ভাড়া কত হলো?
ড্রাইভার: স্যার, মিটারে তো ১০০ টাকা হয়েছে।
সর্দারজি: এই নাও ৫০ টাকা।
ড্রাইভার: স্যার, এটা তো অন্যায় হলো। ১০০ টাকা ভাড়া হয়েছে আর আপনি ৫০ টাকা দিচ্ছেন কেন?
সর্দারজি: তুমিও তো অটোরিকশায় বসে বসে এসেছ। তোমার বসে আসার টাকা আমি আমার পকেট থেকে দেব নাকি!