$$দেশের সীমান্তে দালালের কাজ করে পিঁপড়ে। একদিন হাতি তাকে বলল:
—আমাকে বর্ডারটা পার করিয়ে দাও না!
—ঠিক আছে, আমার সঙ্গে চলো, বলল পিঁপড়ে।
দুজন হাঁটতে শুরু করল সীমান্তের উদ্দেশে। পিঁপড়ে সামনে, হাতি পেছনে। এমন সময় সীমান্তরক্ষী চিৎকার করে জিজ্ঞেস করল:
—কে? কে যায় ওখানে?
—এটা আমি, পিঁপড়ে, পিঁপড়ে বলল।
—তা তো দেখতেই পাচ্ছি, কিন্তু সঙ্গে ওটা কে?
রীতিমতো রেগে উঠে বলল পিঁপড়ে:
—কে মানে? সঙ্গে করে খাবারও নিতে পারব না নাকি!
$$ভীষণ দুষ্টুমি করে বলে বাবা তাঁর দুই ছেলেকে ডেকে নিয়ে বললেন, ‘এখন থেকে যে মায়ের সব কথা শুনবে, সপ্তাহ শেষে তার জন্য একটা পুরস্কার থাকবে।’
তাই শুনে বড় ছেলে ছোট ভাইকে বলল, ‘এখানে দাঁড়িয়ে থেকে লাভ নেই রে, চল খেলতে যাই, সব পুরস্কার তো শেষ পর্যন্ত বাবাই পাবে!’
$$বনের ভেতরে মদ খাওয়া নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সিংহ। তার পরও খরগোশকে বার দুয়েক পানোন্মত্ত অবস্থায় হাতেনাতে ধরে ফেলেও ক্ষমা করে দিয়ে বলেছে:
—আর কখনো তোকে মাতাল দেখলে সঙ্গে সঙ্গে গিলে ফেলব, বলে রাখছি।
এরপর আরেক দিন সিংহের চোখে পড়ল, কাদাজলে গড়াগড়ি যাচ্ছে মাতাল খরগোশ।
সিংহ বলল:
—দু’বার তোকে সতর্ক করে দিয়েছি, আজ আর ছাড়ছি না।
জড়ানো কণ্ঠে খরগোশ বলল:
—আমার একটা প্রশ্ন আছে: আপনি আইন ঘোষণা করেছেন স্থলভাগের জীবজন্তুর জন্য, তাই না?
—হ্যাঁ।
—তাহলে জলজ প্রাণীর ওপর হম্বিতম্বি করছেন কেন?
$$অনেক ছেলেই ইদানীং চুল বড় করে, লম্বা রেখে ফ্যাশন করার চেষ্টা করে। কিন্তু তাদের এই চুল দেখে আশপাশের অন্যদের কী প্রতিক্রিয়া, সেটা সম্পর্কে তারা হয়তো অবগত নয়। লম্বা চুলের ছেলে দেখে আশপাশের মানুষের কী প্রতিক্রিয়া, সেটাই বরং দেখা যাক। লিখেছেন রাকিব কিশোর
উকুন: আহা, নতুন একটা বাসা পাইলাম।
নাপিত: যাক একটা কাস্টমার পাইলাম।
মুরব্বি: পোলাডা নির্ঘাত বখাটে
তরুণী: নিশ্চয়ই কবি!
টাক মাথাওয়ালা একজন: আমারও একদিন এই রকমই ছিল।
তেল ব্যবসায়ী: চুলের মডেল হিসেবে খারাপ না।
চিরুনি ব্যবসায়ী: এই রকম যদি সবার চুল থাকত!
তরুণ: স্টাইলটা নির্ঘাত বলিউড থেকে মারিং করা।
বন্ধু: চাইলে এমন চুল আমিও রাখতে পারি।
বান্ধবী: খুবই কনফিউজিং। আরেকটু হলেই তো সর্বনাশ হয়ে যেত!!
ছেলের বাবা: ছেলেটা গোল্লায় গেল।
ছেলের মা: ঠিক আমার চুল পাইছে, মেয়ে হইলে ভালোই মানাইত।
বখাটে ছেলে (পেছন থেকে দেখে): মেয়েটা কী লম্বা, উফ কী স্লিম!
রাস্তার পাগল: ভাইজানের কী আরাম! মাথায় রোইদই লাগে না।
কাজের বুয়া: ঘরে এতো চুল উড়লে আমি আর রান্ধুম না।
চিত্রপরিচালক: মেয়ে চরিত্রে কাস্ট করলে কেউই টের পাবে না।
$$এক ডাক্তার গেছেন দোকানে। জুতা কিনে কাউন্টারে মূল্য পরিশোধ করার সময় দোকানদারের কাছে জানতে চাইলেন, ‘জুতাগুলো কত দিন টিকবে?’
‘এটা নির্ভর করছে ব্যবহারের ওপর। আপনি যদি জুতা পায়েই না দেন, তবে সারা জীবনেও এগুলোর কিছু হবে না।’ রসিকতা করে দোকানদার বললেন।
কিছুদিন পর ওই দোকানদার অসুস্থ হয়ে গেছেন ওই ডাক্তারের চেম্বারে। ডাক্তার তাঁকে দেখেটেখে ব্যবস্থাপত্র লিখে দিলেন। ফি জমা দেওয়ার সময় রোগী জিজ্ঞেস করলেন, ‘ভালো হতে কত দিন লাগতে পারে, ডাক্তার সাহেব?’
‘এটা নির্ভর করছে অনেক কিছুর ওপর। আপনি ওষুধগুলো না খেলে সারা জীবনেও কিছু হবে না।’ জবাব দিলেন ডাক্
$$গাইড নায়াগ্রা জলপ্রপাতের সামনে এসে পর্যটকদের বলছে, ‘এটা হলো নায়াগ্রা জলপ্রপাত, এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় ও শক্তিশালী জলপ্রপাত। প্রতিদিন অসংখ্য লোক আসে এই জলপ্রপাত দেখতে। আর এর আওয়াজ ২০ কিলোমিটার দূর থেকেও শোনা যায়।’
এই বলে গাইড একটু থেমে বলল, ‘এবার আমি আমাদের নারী পর্যটকদের উদ্দেশে বলছি, আপনারা একটু নীরবতা পালন করুন, যেন আমরা এর শব্দ শুনতে পাই।’