$$পার্কে শক্তপোক্ত চেহারার এক বুড়োকে বসে থাকতে দেখে কবির বলল, ‘আরে! আপনি তো এই বয়সেও বেশ আছেন দেখি! কী করে স্বাস্থ্যটা ধরে রাখলেন, বলেন তো?’
বৃদ্ধ হতাশ গলায় বললেন, ‘আমি কিছুই করি না। সারা দিন মদ, সিগারেট খাই; কোনো দিনও ব্যায়াম করিনি; ইচ্ছেমতো তেল, ঘি, মাখন খাই; ঠিকমতো গোসল করি না, এক কাপড় ১৪ দিন পরি।’
কবির অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে, ‘বলেন কি! আপনার বয়স কত?’
লোকটা জবাব দেয়, ‘৩০ বছর।’
$$রাতের বেলায় খাবার না খেয়ে সঞ্জু টিউব লাইটের নিচে গিয়ে মুখ হাঁ করে দাঁড়িয়ে আছে। টিউবলাইটের নিচে অনেকক্ষণ সঞ্জুর দাঁড়িয়ে থাকা দেখে তাঁর স্ত্রী অবাক হয়ে বলল, ‘কী ব্যাপার! তুমি লাইটের নিচে মুখ হাঁ করে দাঁড়িয়ে আছ কেন!’
‘আর বোলো না। ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলাম। তিনি রাতের বেলায় লাইট (হালকা) খাবার খেতে বলেছেন। কিন্তু প্রায় এক ঘণ্টা হয়ে যাচ্ছে লাইটের নিচে মুখ হাঁ করে দাঁড়িয়ে আছি, পেট তো ভরছে না!’—সঞ্জুর জবাব।
$$সমুদ্রতীরে মাছ ধরছে এক দম্পতি। স্বামীর বড়শিতে টোপ গিলল এক বিশাল স্যামন মাছ। কিন্তু হুইল গুটিয়ে সেটাকে তীরে আনার আগেই সুতো-মাছ সব জড়িয়ে গেল সমুদ্র শৈবালের স্তূপে। স্বামী চিত্কার করে স্ত্রীকে বললেন, ‘ওগো, জলদি করো! ঝাঁপ দাও! সাঁতরে চলে যাও ওই শ্যাওলাগুলোর কাছে! ডুব দিয়ে সুতোটা ছাড়াও। নইলে হাঙরগুলো মাছটাকে টুকরো টুকরো করে ফেলবে!’
$$ক্লাসে শিক্ষক বিল্টুকে বললেন, আচ্ছা বিল্টু, তোকে যদি একটি সিংহ মারতে বলা হয়, তাহলে তুই কীভাবে মারবি?
বেশ অনেকক্ষণ চিন্তা করে বিল্টু জবাব দিল, ‘স্যার, সিংহ মারার একটা সহজ বুদ্ধি পেয়েছি।’
শিক্ষক বললেন, ‘তা কী সে বুদ্ধি?’
বিল্টু বলল, ‘আগে আমি বিষ খেয়ে নেব। তারপর সিংহের সামনে শুয়ে পড়ব। সিংহ তো আমাকে খাবে, আর সঙ্গে সঙ্গে মারা পড়বে, ব্যস।’
$$ছেলে: বাবা, তিনটা আঙুর আর দুটো আঙুর মিলে কটা হয়?
বাবা: এই সহজ অঙ্কটা শিখিসনি? স্কুলে শেখায়টা কী?
ছেলে: অন্য অঙ্ক শেখায়, বাবা। কলা যোগ করতে বলে।
$$রোগী: ডাক্তার সাহেব, আমার দাঁতে প্রচণ্ড ব্যথা।
ডাক্তার: হাঁ করুন।
রোগী: হাঁ…।
ডাক্তার: আরও একটু হাঁ করুন।
রোগী: করছি তো।
ডাক্তার: আরও একটু।
রোগী: কী ব্যাপার, ডাক্তার সাহেব! আমার মুখের ভেতর বসে দাঁত খুলবেন নাকি!
$$মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ছাত্রকে প্রশ্ন করলেন, ‘বলো তো রোগীর হূৎস্পন্দন কমতে থাকলে এই ওষুধটা ঠিক কী পরিমাণ দিতে হবে?’
ছাত্র বলল, ‘পাঁচ মিলিগ্রাম।’
অধ্যাপক কিছু না বলে পড়াতে শুরু করলেন। কিছুক্ষণ পর সেই ছেলেটা হাত তুলল, ‘স্যার, আমি ওষুধের পরিমাণটা পাল্টাতে চাই।’ অধ্যাপক উত্তর দিলেন, ‘কোনো লাভ নেই, তোমার রোগী কিছুক্ষণ আগেই মারা গেছে।’
$$কোটিপতির শিশুপুত্র প্রথম দিন স্কুল থেকে ফিরে অভিযোগের সুরে বাবাকে বলল, ‘তুমি বলেছিলে প্রথম শ্রেণী। তাই যদি হবে, তাহলে চেয়ারগুলো কাঠের কেন?’