$$ক্লাসে নতুন ছাত্র এসেছে।
শিক্ষক: খোকা, তোমার বাবা কী করেন?
ছাত্র: মা যা বলে, তাই করেন!
$$বিজ্ঞান ক্লাস চলছে।
শিক্ষক: পল্টু, দাঁড়াও। বলো দেখি, সমুদ্রের পানি লবণাক্ত কেন?
পল্টু: সে বহুকাল আগের কথা। বিশাল এক জাহাজভর্তি লবণ যাচ্ছিল সমুদ্র দিয়ে। এমন সময় প্রচণ্ড ঝড়ে জাহাজটা ডুবে গেল…
$$শিক্ষক: (রাগতস্বরে) রনি! এই নিয়ে এ সপ্তাহে পঞ্চমবার তোমাকে আমার শাস্তি দিতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে তোমার কিছু বলার আছে?
রনি: জ্বি স্যার।
শিক্ষক: কী?
রনি: ভাগ্যিস, সপ্তাহে শুক্র আর শনি, এই দুদিন বন্ধ থাকে!
$$শিক্ষক: বল্টু! আশা করছি, আগামী পরীক্ষায় আমি তোমাকে পাশেরজনেরটা দেখে লিখতে দেখব না।
বল্টু: আমিও তাই আশা করি স্যার, আপনি যেন না দেখেন!
$$শিক্ষক: পিন্টু, ধরো, সকালবেলা তোমার মা তোমাকে ৫ টাকা দিলেন। বিকেলে তোমার বাবা তোমাকে আরও ৫ টাকা দিলেন। তাহলে দিন শেষে তোমার কাছে কী থাকবে?
পিন্টু: স্যার ১০টা চকলেট!
$$জয়নাল সাহেব বেজায় কৃপণ। একদিন তিনি গাড়িতে করে যাওয়ার সময় হঠাৎ বিশাল একটা ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষ বেঁধে গেল। গাড়িটা দুমড়েমুচড়ে গেলেও প্রাণে বাঁচলেন জয়নাল। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দেখল, জয়নাল সাহেব গাড়ির পাশে বসে হাউমাউ করে কাঁদছেন, আর বলছেন, ‘আমার এত দামি গাড়িটার কী হলো গো…’
পুলিশ: আপনি তো ভাই অদ্ভুত লোক! গাড়ি না হয় গেছে, কিন্তু আপনার হাতটা যে ভেঙেছে, সে খেয়াল আছে?
এতক্ষণে হাতের দিকে খেয়াল হলো জয়নাল সাহেবের। এবার আরও জোরে হাউমাউ করে কাঁদতে শুরু করলেন, আর বললেন, ‘ও খোদা গো! আমার এত সাধের দামি রোলেক্স ঘড়িটা…’
$$দুই সর্দার গাড়ি করে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ এক সর্দারের মনে হলো, গাড়ির ইন্ডিকেটর বাতিটা কাজ করছে না। তিনি অপর সর্দারকে বললেন, ‘দেখো তো, ইন্ডিকেটরটা কাজ করছে কি না।’
অপর সর্দার গাড়ি থেকে নামলেন। সামনে থেকে দেখে বললেন, ‘জ্বলেছে! না না, নিভে গেছে! আবার জ্বলেছে! যাহ নিভে গেল! জ্বলেছে! নিভে গেছে! আবার জ্বলল…….!’
$$বাড়িতে অতিথি এসেছেন। অতিথিদের নিয়ে খেতে বসেছেন বাড়ির কর্তা-কর্ত্রী। চলছে বেশ গল্পসল্প। অতিথিদের ছোট্ট ছেলেটার সঙ্গে আবার সে বাড়ির পিচ্চি ছেলেটার দারুণ ভাব। দুজন ভেতরের ঘরে খেলছিল।
হঠাৎ বড়দের সামনে এসে দাঁড়াল দুই পিচ্চি। আড়চোখে দুজনকে দেখে বাড়ির কর্তার চোখ তো ছানাবড়া! দুজনের গায়েই যে জন্মদিনের পোশাক! ঘটনার আকস্মিকতায় হতবাক হয়ে গেলেন তিনি। এদিকে দুজনকে চোখে পড়েছে অতিথিদেরও। তাঁরাও ভীষণ বিব্রত! লজ্জা পেয়ে দুজনকে দেখেও না দেখার ভান করলেন তাঁরা।
খাবার টেবিল ঘিরে একবার চক্কর খেল দুই শিশু। ভেতরের ঘরে যেতে যেতে একজন আরেকজনকে বলল, ‘বলেছিলাম না? অদৃশ্য হওয়ার ক্রিমটা সত্যিই কাজের!’