হঠাত সুযোগ পাওয়াতেই লুফে নিলাম সাতছড়ি জঙ্গল ট্যুর। ছোটবেলায় টিপু কিবরিয়ার লেখা পড়তাম কিশোর পত্রিকা বা রহস্য পত্রিকায়। আজগুবে ভুতের গল্প। শুনেছি তিনগোয়েন্দাও নাকি লিখতেন, যদিও টিপু কিবরিয়ার লেখা তিনগোয়েন্দা পড়ার সৌভাগ্য হয়নি। এখন টিপু ভাই দুর্দান্ত ফটোগ্রাফি করেন। শুধুই বাংলা ফটোগ্রাফি গ্রুপের সাথে সাতছড়ি ভ্রমন নিয়ে অল্প বিস্তর হেজিটেশানে ছিলাম। সবাই দুর্দান্ত ফটোগ্রাফার, সেখানে আমি নভিশ। কিন্তু শুধুই বাংলার সবার আন্তরিক আর বন্ধুত্বপুর্ন সহজ ব্যাবহারে নিমিষেই সব কিছু দূর হয়ে গেল। আমি নিজে দারুন উপভোগ করেছিলাম ভ্রমনটা। দলের অংশবিশেষ ট্রেক ভুল করে বনের মাঝে হারিয়ে গিয়েছিল। একটা ট্রেকে (ফসিল হয়ে যাওয়া কিছু গাছপালা ছিল সেই অংশে) ভাল্লুকের তাজা পায়ের ছাপ এমনকি ভাল্লুকের গায়ের বদ গন্ধ (আমার কি দুর্ভাগ্য নাকি সর্বশেষ মদক অভিযানেও ভাল্লুকের কাছা কাছি চলে গিয়েছিলাম ভুল করে) পেয়েছিলাম। সবাইকে আতঙ্কিত করলেও ভারত সীমান্ত, অনেকগুলো ট্রেক, কাছের চা বাগান ঘুরে তারা ঠিক ঠাক ফিরেও এসেছিল। বার বার হিংসা হচ্ছিল, ইস আমি যদি হারিয়ে যেতে পারতাম।
পাশের টিপরা পল্লীতে খুব মিশুক এক বৃদ্ধা।
হেভেন আ প্লেস ইন আর্থ। সুরমা টি স্টেট। টিলার নিচে খুব সুন্দর মেঠোপথ। গোধুলীর লাল আলোয় ধুলো উড়িয়ে কৃষ্ণাঙ্গি চা শ্রমিকের দল ঘর ফেরে।
পোকা!
সেই পোকাটাই, সাথে আরেক প্রতিবেশী।
ট্রেইলের মাঝা মাঝি। মুল পথটা সোজা সুজি ভারত সীমান্তে হাজির। আর বামেরটা দিয়ে ফিরতে হয়। একটা দল ভুল করে পথ হারিয়ে সীমান্ত, চা বাগান, পুরো জঙ্গল ঘুরেছে। ইস, কেন যে পথ হারালাম না।
শিকারের প্রতিক্ষায়।
শিকার শিকারীর মরন-পণ যুদ্ধ।
একজন দুঃখি বানর।
টিপরা গ্রামে।
আয় আয় চাঁদ মামা।
একা একা।
জাল
মুখপোড়া হনুমান। এত্ত বড় ভুড়ি, নাকি প্রেগনেন্ট?