উয়ারী থেকে ফেরার পথে সুর্যি মামা বললেন টা টা।
শিরোনাম যাই হোক না কেন। উয়ারী-বটেশ্বরই যে প্রাচীন রহস্যময় গাঙ্গারিডাই রাজ্য, এর কোন সুনিদৃষ্ট প্রমান পাওয়া যায় নি। ইতিহাসবীদরা উয়ারী-বটেশ্বর (তিন-সাড়ে তিন হাজার বছর পুরাতন) সভ্যতাকে সময়ের সাথে সামঞ্জস্য দেখে গাঙ্গারিডাই বলে ভাবছেন। আর এই পোস্টটাকে ইতিহাস বিষয়ক কিছু ভাববেন না কেউ। ইতিহাসের ব্যাপারে আমি জানি কাঁচকলা। এখানে অনেক ভুল ভ্রান্তি আছে। সেগুলো নিতান্তই অনিচ্ছাকৃত।
উয়ারী-বটেশ্বর যাবার জন্যে প্রথমে সঙ্গি খুজে পাচ্ছিলাম না। কিন্তু যখন মহাখালী থেকে বাসে রওনা হলাম আমরা ৫জন হয়ে গেছি। আমি, শরীফ, শরীফের পাড়াতুতো ছোট ভাই, ব্লগার নিরব ভাই আর ব্লগের পাঠক ফয়সাল ভাই (উনি খালি পড়েন। আজ পর্যন্ত একটা ব্লগও লিখে শেষ করে ফেলতে পারেন নি তাই এখনো কিছু পোস্ট করা হয়নি)। নির্বাসিত নিশাচর ভাই তার ভাইকে নিয়ে জয়েন করবেন নরসিংদি থেকে আর আমাদের ভোড়ের পাখি কামাল ভাই (সাদা মনের মানুষ) নরসিংদির লোক জানি কিন্তু জানতাম না ভাবী বটেশ্বর গ্রামের মেয়ে।
ঢাকা থেকে ৭টায় বেড়ুনোর কথা। বাসে উঠেছি ৯টায়। টঙ্গিতে বিশাল জ্যামে ধরা খাইছি। এদিকে নিশাচর ভাই বার বার ফোন করছেন কত দূর কত দূর। শেষে বিরক্ত হয়ে উনি বাইক নিয়ে রওনা হয়ে গেলেন নরসিংদি থেকে। মরজালে গিয়ে আমাদের সাথে জয়েন করবেন। কিছুদিন আগে সামহোয়ার ইন ব্লগে বৃত্তবন্দি কাউয়া ভাই এখান থেকে ঘুরে এসে জটিল একখান পোস্ট দিছিলেন। কাউয়া ভাইএর সাথে কথা বলে জেনেছিলাম ওখানে খাবার দাবারের খুব সমস্যা। তাই মরজাল থেকে যেন খেয়ে বের হই। মরজালে বাস থেকে নামলাম ১২টার আগে আগে। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে একটা বাজার। আগে কখনো মার্কই করি নাই। নিতান্তই গ্রাম। খুজে পেতে একটা দোকান বের করে সবাই নাকে মুখে কিছু গুজে দিয়েই বের হলাম সম্রাট আলেকজান্ডার দ্যা গ্রেটের আতঙ্ক বাংলার রহস্যময় মীথ গাঙ্গারিডাই (সংস্কৃতিতে গঙ্গাঋদ্ধি) এর পথে।
কাউয়া ভাইয়ের ব্লগে জেনেছিলাম রিক্সার ব্যাপারে। আর শুভ্র ভাই সামহোয়ার ইনের ব্লগার। উনি খনন কার্যে যুক্ত প্রত্নতাত্তিকদের একজন এইমুহুর্তে বটেশ্বর গ্রামে। তাকে ফোন দিয়ে জানলাম উয়ারী মরজাল থেকে ৮কিলো। চট করে হিসাব করে দেখলাম আড়াই ঘন্টা লাগবে হেটে যেতে। গ্রামটা এত সুন্দর আর এত গাছপালায় হুলুস্থুল রুপসী যে হেটে যাওয়াই সিদ্ধান্ত হলো। চারপাশে সবুজ গাছের দল এর মধ্যে লজ্বায় জরোসরো ছবির মতো রাস্তাটা যেন ভির ঠেলে একে বেকে দৌড়াচ্ছে। গ্রামের লোক সংখ্যা তুলনামুলক বেশ কম। মানুষ কম গাছ বেশী। রাস্তাতেও লোকজন খুব কম। মরজাল বাজারের সবাই হেটে যেতে না করলো। কিন্তু সবচেয়ে বোকামী হলো এক গ্রাম্য কিশোরের কথায় শর্ট কাট মারতে গিয়ে ভুল পথে গিয়ে উলটা হাটতে হলো কিছুক্ষন। পথ চিনি না। তাই আমরা আবার মরজাল ফিরে এলাম। এবারে রিক্সা নিতেই হলো।
গ্রামটা অসাধারন। প্রত্নত্বত্ত কিংবা প্রাচীনতম সভ্যতাগুলোর রহস্যময়তা নিয়ে কারো আগ্রহ নাও থাকতে পারে। কিন্তু গ্রাম দুটো এতই অসাধারন সুন্দর, যে কাউকে মোহিত করবে। প্রথমত গ্রাম গুলো অসম্ভব রকমের পরিচ্ছন্ন। লোকসংখ্যা অনেক কম আর সে অভাব পুশিয়ে দিয়েছে গাছ। চারপাশে গাছ পালায় ভরা, আর সব গুলো ফলের গাছ। আম, জাম, লিচু, কলা, কাঠাল ,লটকন কি নেই। আর ফলের ভারে সবগাছ যেন নুয়ে আছে। আমরা গাছগুলোর ওজন কমাতে আন্তরিক ছিলাম।
থ্রি ইন ওয়ানঃ একটু খেয়াল করুন তো। গাছটাতে বড় বড় কাঠাল ধরেছে। কিন্তু কান্ডটা বটের। পাশে কিছু বট পাতা। আবার লম্বা লম্বা যতো পাতা দেখা যাচ্ছে সবগুলোই তো আমের পাতা।
পথে নজরে আসলো একটা অদ্ভুত গাছ। গাছটার কান্ডটা কাঠালের, জায়গার জায়গায় বড় বড় কাঠাল ধরেছে, আবার উপরের দিকে কিছু ডালে আমের লম্বা লম্বা পাতা যদিও আম কিংবা মুকুল চোখে পড়লো না। আবার সাইডে বটের পাতা সহ কিছু ডালও আছে। থ্রি ইন ওয়ান। রিক্সাওয়ালা জানালো এটাতে এবারে নাকি কাঠাল ধরেছে আম ধরেনি। অন্যবার আম ধরলে কাঠাল আসবে না। প্রকৃতি আসলেই রসিক।
গাছ পালার ফাঁক দিয়ে দিয়ে মাঝে মধ্যেই গ্রাম্য যত্নে নিখুত পরিপাটি ঘরবাড়ি চোখে পড়লো । গ্রামের লোকেরা ধনি না হলেও একদম দরিদ্র নয়। সবখানেই যত্ন লালিত্য স্পষ্ট।
আকা বাকা পথ ঘুরে আমরা বটেশ্বর আসলাম। কামাল ভাই কয়েকবার ফোন দিলেন। বললাম সরাসরি উয়ারী চলে যাব, খনন ক্ষেত্র। ওখানে গিয়ে দেখি বৃষ্টি আর রোদের খপ্পর থেকে রক্ষায় অধিকাংশ জিনিসই তিরপল ঢেকে আরাল করা। শুভ্র ভাইয়ের সাথে পরিচয় হলো। লম্বা ঝাকড়া চুলের হাসি খুশি একজন।
শুভ্র ভাই খুব আকর্ষনীয় ভঙ্গিতে রোমান এবং গ্রীক সম্রাজ্যের সাথে উয়ারী-বটেশ্বরের বানিজ্যিক সম্পর্ক ব্রিফ করছেন।
বৃষ্টির ভয়ে সবুজ আবরন দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে রহস্যময় এই পুরাকীর্তীটা। এটা কি ধরনের স্থাপত্য সেই সমাধান এখনো বের করা যায় নি।
টেরাকোটার অলঙ্কার। পাঠান স্যারের প্রতিষ্ঠিত সংগ্রহশালা থেকে।
গ্রীকদের উপকথায় গাঙ্গারিডাই (কিংবা গঙ্গাঋদ্ধি) সভ্যতার কথা মিলে যিশুখ্রিষ্টের জন্মেরও ৩০০বছর আগে। ইংরেজ আমলে লিখিত ইতিহাস বইগুলো অনুসারে পুন্ড্রবর্ধন, ময়নামতী এগুলোই আমাদের সবচেয়ে প্রাচিন ইতিহাস। তারা দাবী করেছিলো বাংলাদেশ আসলে একটা দ্বীপ। গঙ্গার অববাহিকায় পলি জমে জমে জন্ম নেয়া এই মাটির বয়স বেশী দিন নয় তাই এতে অতিপ্রাচিন সভ্যতার অস্তিত্ব থাকা সম্ভব না। কিন্তু http://en.wikipedia.org/wiki/Gangaridai পড়লে অন্যকথা পাওয়া যায়। পরিষ্কার ভাবে লিখা আছে যীশুর জন্মের ৩০০বছর আগে মেগাস্থিনাস নামের গ্রীক এক্সপ্লোরার এবং লেখক তার INDICA বইতে লিখে রেখেছেন ভারতীয় উপমহাদেশে সামরিক শক্তিতে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর সভ্যতা গাঙ্গারিডাই যারা গঙ্গানদীর অববাহিকায় একদম সমতল অঞ্চলে বাস করে।
আলেকজান্ডার দ্যা গ্রেটের ভারত অভিযান অত্যন্ত রহস্যময়তার আরালে চলে গেছে। সিন্ধু অববাহিকার সম্রাট পুরুর সাথে লড়াই হয়েছিল আলেকজান্ডার দ্যা গ্রেটের। আমাদের লোককথার সেকেন্দার বাদশাহএর গল্প আছে। ইতিহাসবীদরা সেকেন্দার বাদশাহকেই আলেকজান্ডার দ্যা গ্রেট ভাবেন। যুদ্ধে পুরু পরাজিত হন। আলেকজান্ডারের হাতে বন্দী পুরুর একজন রাজপুরুষ জানায় পুরু পালিয়ে গেছেন। এখান থেকে বারো দিন হাটলে একটা মরুভুমী। এর পরে আরো পুবে গেলে বিশাল নদী। যার নাম গঙ্গা। দৈর্ঘ ৩২স্টেডিয়া (গ্রীক দৈর্ঘের হিসাব)। ভারত বর্ষে এরচেয়ে বড় বা গভীর আর কোন নদী নেই। এই নদী ধরে ভাটিতে গেলে বঙ্গোপসাগরের উত্তরে ভয়ঙ্কর গাঙ্গারিডাই রাজ্য। সেখানে পরাজিত রাজা আশ্রয় নিয়েছেন গাঙ্গারিডাই সম্রাটের কাছে। ইউরোপ থেকে আগত সম্রাট আলেকজান্ডারের প্রতি গাঙ্গারিডাই সম্রাট Xandrammes ক্ষুদ্ধ। এবং উনি সহসাই আক্রমন করতে পারেন। উনার সেনাবাহিনীতে ২০,০০০ অশ্বারোহি, ২০০,০০০পদাতিক, ২০০০ যুদ্ধ রথ এবং ৪০০০ সুপ্রশিক্ষিত হস্তিবাহিনী আছে। গ্রীকরা ঘোড়ায় চড়ে যুদ্ধ করে। প্রাচ্যদেশে এসে তারা প্রথম দেখলো হাতিকে যুদ্ধে ব্যাবহার করা যায়। বিশালদেহী এই সুশিক্ষিত হাতিগুলোর আচরন আজকালকার ট্যাঙ্ক এর মতো। সামনে যা পায় লন্ডভন্ড করে দেয়। গাঙ্গারিডাই এর হাতিবাহিনীর আতঙ্ক পুরো উপমহাদেশে। আর তারা আলেকজান্ডারকে রুখতে চারহাজার হাতি রেডি করেছেন। স্বভাবতই গ্রিক সৈন্যরা আর সামনে এগুতে রাজি ছিল না। আলেকজান্ডার কলিঙ্গের মৌর্য সম্রাটের সাথে সন্ধি করে ফেরত গেলেন।
সামরিক দিক দিয়ে গাঙ্গারিডাই ছিল ভয়ঙ্কর শক্তিশালী। পাঠান স্যারের সংগ্রহশালায় উয়ারীতে প্রাপ্ত কিছু ধাতব যুদ্ধাস্ত্র।
পাঠান স্যারের সংগ্রহশালা থেকে কিছু অলঙ্কার। উয়ারী-বটেশ্বরের অভিজাত রুপসীরা যীশুর জন্মের শতাব্দি আগে এগুলো পড়তেন।
উয়ারী বটেশ্বর গ্রামের স্কুল শিক্ষক হাবিবুল্লাহ পাঠান এবং হানিফ পাঠান। বাবা এবং ছেলে। গত ৭০বছর ধরে নিরবে প্রথাগত প্রত্নত্বত্ত বিদ্যার বাইরে থেকেও কি বিরাট কাজ করে যাচ্ছেন।
দার্শনিক টলেমি আলেকজান্দ্রিয়া নগরীতে সারাবিশ্বের আনাচে কানাচে থেকে আগত নাবিকদের সাথে মেলামেশা করতেন। এদের কাছ থেকে বিশ্বের অজানা প্রান্তরের কথা জানা যেত। সেখানে তিনি গাঙ্গারিডাই এর নাবিকদেরও কথা শুনেছিলেন। আজকের উয়ারী-বটেশ্বরের খুব কাছ দিয়ে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদী বইতো। এই নদী দিয়ে মেঘনা হয়ে বঙ্গোপাসগর এরপরে মিশরের আলেকজান্দ্রিয়া নগরী। ব্যাপারটা বেশ ঘোড়ালো। সহজে মানতে মন চায় না। কিন্তু উয়ারী-বটেশ্বরে প্রাপ্ত মুদ্রাগুলোতে প্রাচীন রোম আর গ্রীক সভ্যতার অনেক প্রতীক দেখা যায়। আবার থাইল্যান্ডে মঙ্গোলয়েড সভ্যতা প্রবেশের আগেই চম্পা রাজবংশ প্রতিষ্ঠিত ছিল। বোর্ণিও, সুমাত্রার অনেক জঙ্গলে হাজার হাজার বছর পুরাতন হিন্দু দেবদেবীর মুর্তি পাওয়া যায়। সেখানে প্রাপ্ত তাবিজ়ে (ধর্মিয় চিহ্ন যেগুলো গলায় পরে লকেটের মতো, আজকালকার তাবিজের মতো ব্যাবহার না, এগুলো শুধুই ধর্মিয় প্রতিক) ছুটন্ত বাঘের চিহ্ন খুব জনপ্রিয় ছিল। একই ধরনের ধর্মিয় লকেট এখানেও পাওয়া যাচ্ছে। আর যুবরাজ বিজয় বাংলাদেশ থেকে সাগর পাড়ি দিয়ে শ্রীলঙ্কায় বসতী স্থাপন করেছিলেন (আধুনিক লঙ্কানদের গঠন গত চেহারা বাংলাদেশের প্রাচীন জাতী যেমন সাওতালদের সাথে মিলে ভারতের মুল ভুখন্ডের তামিলরা অন্যরকম) । উপমহাদেশের আর কোন অঞ্চল এত পানিবহুল না। তাই এখানকার লোকেরাই যে সবচেয়ে ভালো নাবিক ছিল সেটাই স্বাভাবিক।
টলেমি তার GEOGRAPHICA বইতে লিখেছিলেন গাঙ্গা রিডাই এর অবস্থান গঙ্গা নদীর অববাহিকায় ভাটি অঞ্চলে গঙ্গার ৫টি শাখা নদীর মুখে গাঙ্গারিডাই রাজত্ব। আধুনিক ইতিহাসবীদরা আজকে চুয়াডাঙ্গা জেলার আশে পাশে একে খুজছেন। পেরিপ্লাস, প্লিনি, স্ট্রাবো, আরিয়ান, সবাই ইন্ডিকার ম্যাপে গঙ্গার ভাটিতে ডেল্টা আইল্যান্ড দেখিয়েছেন। এখানেই গাঙ্গারিডাই আছে।
মজার ব্যাপার উয়ারী-বটেশ্বরে পাওয়া যাচ্ছে স্যান্ডউইচ কাঁচের পুতি। এই পুতিগুলোতে একটা কাঁচের ভেতরে আরেকটা কাঁচের স্তর থাকতো। এটা ছিল রোমান সভ্যতার স্পেশালিটি। আর কেউ বানাতে পারতো না। যেমন আমাদের মসলীন। কাপাশিয়া অঞ্চলে বিশেষ ধরনের কার্পাস তুলো হতো। এই প্রজাতীটাই এখন বিলুপ্ত (সুত্রঃ জেমস টেলরের কোম্পানী আমলের ঢাকা)। এই বিশেষ ধরনের কার্পাস থেকেই মসলীন হতো তাই পৃথিবীর আর কোথাও তা তৈরি সম্ভব ছিল না। স্যান্ডউইচ পুতিগুলো ভারতবর্ষে তৈরি এটা বিজ্ঞানীরা মানতে নারাজ। এটা রোমান সভ্যতা থেকে আমদানী হতো হয়তো অভিজাতদের জন্যে। তাই যীশুখ্রিষ্টের জন্মের কয়েকশতাব্দী আগে এই উয়ারী-বটেশ্বরের সাথে রোমানদের বানিজ্যিক সংযোগ ছিল।
উয়ারী বটেশ্বরে গর্তবাস ছিল। মাটির তলে গর্ত করে উপরে ছাউনি দেয়া হতো। যেটা নাকি খুব অস্বাভাবিক। শুভ্রভাই উত্তেজিত হয়ে বুঝাচ্ছিলেন, আমি কিছুই বুঝি নাই। তবে প্রাচীন এই নগরী থেকে পুরাতন ব্রহ্মপুত্রের দিকে একটা বড় রাস্তা আবিষ্কার হয়েছে। যেটা নগর ধারনাকেই প্রমান করে। নগরীর চারিদিকে দুর্গের মতো প্রাচীর আর প্রাচীরের বাইরে পরিখা। সামরিক শক্তির আরো পরিচয় হিসাবে অসংখ্য অদ্ভুত যুদ্ধাস্ত্র মাটি খুড়ে বের করা হচ্ছে।
স্বাধীনতার অনেক আগে এই গ্রামের শিক্ষক হাবিবুল্লাহ পাঠান স্যার এখানে প্রাচীন সভ্যতার অনেক নিদর্শন খুজে পান। স্থানীয় কৃষকরা মাটি খুড়তে প্রায়ই রুপার মুদ্রা ও অন্যান্য প্রাচীন নিদর্শন পেত। উনি এগুলো সংগ্রহ করে নিজের বাড়িতে মিউজিয়াম করতেন। উনি পরে পত্র পত্রিকায় এ নিয়ে লিখা লিখি করতে থাকেন। পরে জাহাঙ্গির নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নত্বত্ত বিভাগ খনন কাজ শুরু করে সম্পুর্ন নিজের উদ্যেগে। কোন ধরনের রিটার্ন ছারা ছাত্র শিক্ষক সবাই নিরবে খুজে বের করছে প্রাচীন রহস্যময় গাঙ্গারিডাইকে।
আগ্রহীরা উইকিপিডার লিখাটা মনোযোগ দিয়ে পড়লে ব্যাপক মজা পাবেন। এছাড়া Click This Link ম্যাভারিক ভাইয়ের পোস্ট, http://www.sachalayatan.com/juthochari/17109 সচলাতয়নের এই পোস্ট, পড়তে পারেন। কিংবা গুগলে গিয়ে গাঙ্গারিডাই অথবা উয়ারী-বটেশ্বর নিয়ে সার্চ দিতে পারেন। উয়ারী-বটেশ্বর আর গাঙ্গারিডাই নিয়ে খোজা খুজি করতে গিয়ে আমি নিজে অনেক আনন্দ পেয়েছি।
ব্যাং এর ছাতা
উয়ারী থেকে বটেশ্বর গ্রামে যাবার পথে। গভীর চিন্তায় নিমগ্ন একজন শিশু দার্শনিক।
ফিরতে গিয়ে রাত হয়ে গেল নির্জন জঙ্গুলে এলাকায়। ছবিটা নাইট ভিশনে তোলা।