এক এগারো সরকারের মেয়াদে তারেক রহমানের ওপর শারীরিক নির্যাতনের সত্যতা অতি সম্প্রতি তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল (অবঃ)মঈন উ আহমেদ অকপটে স্বীকার করেছেন। নিজে এই নির্যাতনের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ভাবে না থাকলেও বিতর্কিত এই জেনারেল তা স্পষ্ট করেছেন। শারীরিক সেই অসুস্থতা নিয়ে প্রায় অর্ধ যুগ বিএনপির এই সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান লন্ডনে বসবাস করলেও রাজনীতি না করার সেই মুচলেকা ভাঙ্গেন বহুল সমালোচিত ৫ জানুয়ারী নির্বাচনের আগে। টেলি ও ভিডিও বার্তায় তাঁর দলের অনুসারীদের উদ্দ্যেশ্যে ঐ নির্বাচন প্রতিহতের ঘোষণা দিলেও তারেক রহমানের আহবান কার্যকরী ভুমিকা রাখতে ব্যর্থ হয়। ২০১৪ সালের শুরু থেকে তারেক রহমান কে শারীরিক ভাবে সুস্থ অবস্থায় দেখা গেছে। দেশ বিদেশ সফর করে নিজের শারীরিক ভাষা বুঝিয়েছে তিনি ভালই আছেন। কিন্তু একের পর রাজনৈতিক তত্ব ও তির্যক মন্তব্য করে সারা দেশ জুড়ে আলোচনায় রয়েছেন তিনি। ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে তারেক রহমান কে এখন আর শারীরিক অসুস্থ না বলে মানসিক বিকার গ্রস্ত কিংবা অসুস্থ বলা হচ্ছে। এদিকে রোববার লন্ডনে আওয়ামী লীগ কে কুলাঙ্গার পার্টি বলে মন্তব্য করে আবারো বোমা ফাটিয়েছেন তারেক রহমান। তাৎক্ষনিক ভাবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা এর জবাবে বলছেন, তিনি মানসিকভাবে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ছেন !
রোববার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় পূর্ব লন্ডনের কুইনমেরী ইউনিভার্সিটিতে ‘স্ট্রেটেজি ফর প্রসপরাস বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক পেশাজীবী সমাবেশে মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা নিয়ে বিভিন্ন আপত্তিকর মন্তব্যের পর এবার আওয়ামী লীগকে একটি কুলাঙ্গার পার্টি হিসেবে মন্তব্য করেছেন বিএনপি’র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা শেখ হাসিনারই সাজানো- সমাবেশে এমন ইঙ্গিত করে তারেক রহমান বলেন, আওয়ামী লীগের ওই সমাবেশটি মুক্তাঙ্গনে হওয়ার কথা থাকলেও শেখ হাসিনা এটি শেষ মুহূর্তে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে নিয়ে যান। আসলে গ্রেনেড হামলার কথা শেখ হাসিনা আগেই জানতেন।
বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে জাসদ সভাপতি ও বর্তমান সরকারের তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু’র বাহিনী জড়িত বলেও অভিযোগ করেন তারেক। তিনি বলেন, ওই ঘটনার সময় বিএনপি’র জন্মও হয়নি।
এদিকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, সরকার পরিচালনার ইতিহাস, শাসক প্রশ্নে বেশ কিছুদিন ধরে ধারা বিপরীতে নতুন দর্শন দাড় করাতে চাইছেন তারেক রহমান। সূত্রমতে, তিনি বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ, শাসক এবং আগামীদিনের আন্দোলন কৌশল নিয়ে নতুন কিছু বলতে এবং করতে চাইছেন।
এদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ কে কুলাঙ্গার দল হিসাবে উল্লেখ করায় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, তিনি মানসিক ভাবে সুস্থ পর্যায়ের অবস্থায় নেই। এই প্রসঙ্গে জননেতা ডট কম কে স্কাইপ সংলাপে নিউইয়র্ক প্রবাসী দার্শনিক ইউসুফ আলী বলেছেন, “আওয়ামী লীগ একটি ঐতিহ্যবাহী দল। বিএনপির উচিত, আগামীদিনের বাংলাদেশ নিয়ে কথা বলা। সেই বাংলাদেশে নতুন কিছু থাকলে জন সাধারণ তাঁদের পক্ষে যেতেই পারে। কিন্তু তারেক রহমান দিনে দিনে যা বলছেন তাতে করে বিএনপির মত একটা ইমেজ সম্পন্ন দলের ভাবমূর্তি কমছে বলেই মনে করি। এক সময়য় শুনেছিলাম, তিনি পজিটিভ বাংলাদেশ নিয়ে কিছু ভিশন- মিশন জনগণের সামনে তুলে ধরবেন। কিন্তু কি দেখছি! তারেক রহমান কথা বললেই বিতর্কের সূচনা হচ্ছে। যা রাজনীতির জন্য সঠিক পথ নয় বলে মনে করছি।”
অন্যদিকে, সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক শামসুল হক জননেতা ডট কম কে বলেছেন, “তারেক রহমানের মধ্যে শিষ্টাচারের অভাব রয়েছে। এরকম চলতে থাকলে খুব ভাল অবস্থায় বিএনপি যেতে পারবে বলে মনে হয় না।”
প্রথম প্রকাশ ্্্্,
http://jononeta.com