বিজ্ঞানীদের মতে সুদূর অতীতে মহাবিশ্বের সমস্ত বস্তু একএে পুনজভূত ছিল । অথর্াৎ সবকিছু একএে যেন অতি বৃহৎ কোন একটি পরমানু (Super Atom) । আজ থেকে প্রায় তেরশের অধিক কোটি বছর আগে ঐ অতি বৃহৎ পরমানুর মধ্যে এক বিস্ফোরন ঘটে । ফলে বস্তুটি টুকরো টুকরো হয়ে বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পড়ে । আর সেগুলোই হলো গ্যালাক্সি (Galaxy) , তারা , গ্রহ, উপগ্রহ ইত্যাদি । গ্যালাক্সি গুলো সেই সময় থেকেই অবিরাম দূরে সরে যাচ্ছে । অতীতের ঐ প্রচন্ড বিস্ফোরনকে বিজ্ঞানীরা বলেন, বিগব্যাঙ্গ এক্সপ্লোশান (Big Bang Explosion) বা সংক্ষেপে বিগব্যাঙ্গ ।
অধিকাংশ বিজ্ঞানীরা মহাবিশ্বের পরিনতি সম্পর্কেও একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন । সেটা হলো, গ্যালাক্সি গুলো ঐ প্রচন্ড বিস্ফোরনের পর থেকে ক্রমাগত সম্প্রসারিত হয়ে চলেছে । সেগুাৈ কোন এক নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সম্প্রসারিত হবে এবং তারপর স্তিমিত হয়ে পড়বে । আবার সেগুলো সংকুচিত হতে থাকবে । শেষে সব মিলেমিশে একাকার হয়ে আবার একটি বৃহৎ পরমানু সৃষ্টি করবে । তবে যাই ঘটুক না কেন ঐ পরিনতিতে পৌঁছাতে হাজার কোটি বছর চলে যাবে ।
কিন্তু সৃষ্টি জগৎ সম্পর্কে পবিএ কেরআনে অনেকগুলো আয়াত আছে । অসংখ্যবার এ সম্পর্কেবলা হয়েছে বিভিন্ন সময়ের প্রেক্ষিতে । এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন .......
1। (আদিকালে) আসমান (এর সবকিছু) ও যমিন মিলিত অবস্থায় ছিল । অতঃপর আমি উভয়কে আলাদা আলাদা করে দিলাম ।
[21 আম্বিয়া:30 মধ্যাংশ]
2। সেদিন (কিয়ামতের দিন) আমি আসমানকে (অথর্াৎ আসমানের সমুদয় বস্তুকে) এমনভাবে গুটিয়ে ফেলবো, যেভাব লিখিত কাজগুলো গুটিয়ে ফেলা হয় । আমি প্রথমবার সৃস্টি করার সময় যেভাব শুরু করেছিলাম, সেভাবেই তাকে পুনরায় সৃষ্টি করবো । এটা আমার একটি ওয়াদা । আমাকে এ কাজটি অবশ্যই করতে হবে ।
[21 আম্বিয়া:104]
3। আর তিনি হলেন ঐ স্বত্বা, যিনি সৃষ্টি সূচনা করেছেন । (অর্থাৎ প্রথমবার সৃষ্টি করেছেন) । অতঃপর তিনি সেটার পুনরাবৃওি করবেন (অথর্াৎ 2য়বার সৃষ্টি করবেন) । আর এটা (2য়বার সৃষ্টি) করা তার পক্ষে প্রথমবারের চাইতে সহজতর ।
[30 রূম:27 প্রথমাংশ]
4 । আসমানসমূহ ও যমিনে যা কিছু আছে, প্রত্যেকেই তাঁর নিকট প্রাথর্ী । প্রতি মুহুর্তেই তিনি নতুন নতুন কাজে ব্যস্ত রয়েছেন ।
[55 আর-রাহমান:5]
সুতরাং, প্রথমবারে সৃষ্টি যা সংঘটিত হয়েছে এবং 2য়বারে সৃষ্টি যা সংঘটিত হবে, এ দু'বারের সৃষ্টি খুব বড় ও ব্যাপক । আর প্রথমবারের ঐ বড় সৃষ্টির পর মহান আল্লাহ আর কোন সৃষ্টিই করছেন না, এমনটি নয় । বরং প্রতি মুহূর্তে তিনি নতুন নতুন সৃষ্টি করে চলেছেন এবং বহুরকম কাজে লিপ্ত রয়েছেন ।
চলবে>>>>>>>
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০