বাসে যারা চলাফেরা করেন তারা সবাই মুটামুটি এই লাইনটার সাথে পরিচিত ।
সংরক্ষিত আসন গুলো খালি থাকা সত্বেও যাদের জন্য সংরক্ষণ করা হচ্ছে তারা ব্যতীত অন্যদের বসার নি্যম থাকার কথা নয়। কিন্তু মজার ব্যপার হচ্ছে সব বাসের অধিকাংশ সংরক্ষিত আসন গুলো পুরুষেরা দখল করে রাখে । কোন মেয়ে বা বৃদ্ধা যদি বসে থাকা লোকটিকে উপরে লেখা লাইনটি স্মরণ করিয়ে দিয়ে উঠে যেতে বলে তবেই শুরু হয়ে যায় গন্ডগোল , চিৎকার, ঝগড়া ...
এখন আসল কথা হচ্ছে মহিলা জাতি কি পুরুষ জাতি বা পুরুষ শাষিত সমাজের কাছে আবদার করেছিলো যে তাদের জন্য বসার সিট সংরক্ষণ করে রাখতে হবে? তাহলে কেন এই অযথা অহেতুক ঝামেলা? কারণ এই ব্যপারটা নিয়ে প্রতিটা বাসে নিয়মিট ভাবে দিনে অন্তত একবার চিল্লাচিল্লি হবেই। অযথা ঝামেলা করার দরকারটা কি?
একজন মেয়ে যখন দাঁড়িয়ে থাকে তখন ইচ্ছা করে তার পাশে ১০০ টা ছেলে এসে ধাক্কাধাক্কি করবে । ৩ হাত দূরে দাঁড়াবার জায়গা থাকলেও ১/২ হাত দূরত্ব রাখতে চাইবে না । আর যখন মহিলা সিটে বসে থাকার পর তথাকথিত পুরুষদের মনে করিয়ে দেয়া হয় তখন তারা আসে তাদের ভেতরের পুরুষত্ব দেখাতে । আজব দুনিয়া ...
আমি মনে করি কারো জন্যই আসন সংরক্ষণ করার দরকার টা কি? সবাই নিজেকে সংযত রাখলেই তো হয় । অযথা মনের ভেতরের সুপ্ত পুরুষত্ব বাসের ভেতরে দেখানোর কোন দরকার নাই । ব্মেয়েরাও ভদ্রতা বজায় রাখবে আর ছেলেরাও যথাসম্ভব দুরুত্ব বজায় রাখবে ।
নতুবা এটা যদি সম্ভব না হয় তবে সব বাসের ২ টা সারির এক সাইড ছেলেদের জন্য অন্য সাইড মেয়েদের জন্য আলাদা করা উচিৎ । এরপরে যারা দাঁড়িয় থাকবে, তদের মধ্যে ছেলেরা ছেলেদের সাইডে আর মেয়েরা মেয়েদের সাইডে দাঁড়াবে। মেয়েদের সারির কোন সিট খালি থাকলে সেখানে ছেলেরা বসতে পাড়বে । তেমনি ছেলেদের সারির সিটগুলোতে বসার মত কোন ছেলে অবশিষ্ট না থাকলে সেখানে মেয়েরা বসতে পারবে ।
অযথা আসন সংরক্ষণ করে রাখার তো কোন দরকার নাই । কেননা এরপরেও অনেক মেয়েকেই দাঁড়িয়ে যেতে হয় । এত গন্ডগোল করার পরে যখন বাকি মেয়েদের দাঁড়িয়ে যেতে হয় তখন সেই মেয়েদের অবস্থা মোটেও সুবিধার হয় না । কারণ, ধাক্কাধাক্কি করার লোক তো আশেপাশেই থাকে ...
মজার ব্যপার হচ্ছে সোয়াইন ফ্লু আসার পর থকে সবাই অসম্ভব দূরত্ব বজায় রেখে চলাচল করছে !
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:২১