সারা দেশে প্রতিভাবান কবির খোজা হচ্ছে। এই কঠিন কাজটা করছে খুব নাম করা এক পত্রিকা। সত্যি কঠিন কাজ, প্রকৃত কবি খোজা। প্রায় এক মাস ধরে হাজার হাজার কবিতা পড়ে পাঁচটা কবিতা নির্বাচন করা হলো। প্রকাশ ও করে ফেলল। পাঠকরা এখন সেই পাঁচ কবির আরো কবিতা চায় এবং সেই সব কবি সম্পর্কে জানতে চায়। এবার পত্রিকা অফিস পড়ে গেলো বিপদে। পাঁচ জনের আলদা আলাদা করে তথ্য যোগাড় করা সহজ কাজ না। প্রত্যেকটা কবিই এতো গরিব যে নুন আনতে পান্তা ফুরায়। বয়স প্রায় চল্লিশ এর আশে পার্শে সবার। তাদের বাড়ির ছবি, কবিদের ছবি তোলা হলো। সমস্যা হলো চার জনের এই অবস্থা শেষ কবির কোন খোজ পাওয়া যাচ্ছে না । অনেক কষ্টে পাওয়া গেলো একটা ফোন নম্বর।
-হ্যালো, অমুক পত্রিকা অফিস থেকে বলছি, আপনি কি তমুক কবি?
-ইয়াপ
-সরি, বুঝলাম না!!!!
-হ্যা আমি তমুক কবি।
-আমরা আপনার সাথে একটু দেখা করতে চাই। পাঠকরা আপনার সম্পর্কে জানতে চায়, স্যার আপনার কবে সময় হবে?
-এখুনি আসেন।
ঠিকানা নিয়ে পত্রিকা অফিসের লোক জন একটা বাড়ির সামনে এসে দাড়ালো। বিষাল এক রাজবাড়ি।
-এ সালা কবি ভূল ঠিকানা দিছে নাকি?
-তাই তো মনে হচ্ছে।আর এক বার ফোন করো কবিকে।
ফোনে আবার এই একই ঠিকানা দিলো কবি, পত্রিকা অফিসের লোক জন কি করবে ভেবে না পেয়ে ঢুকেই পড়লো বাড়ির ভেতরে। বাড়ির সামনে বিষাল এক বাগান, বাড়িটা ডুপ্লেক্স।
-এইটা কি কবির বাড়ি?
-আরে নাহ, মনে হয় কাজ করে এই বাড়িতে।
সামনে একুশ বাইশ বছরের এক ছেলে বসে আছে। হাফ প্যান্ট পরা আর টি-শার্ট।
-আপনি কবি অমুক?
-ইয়াপ, সো বলেন কি ভাবে আপনাদের সাহায্য করতে পারি।
-আপনার পড়াশোনা কতো দূর?
-ও এন্ড এ লেভেল শেষ করে এখন একটা ভার্সিটিতে আছি।
দু একটা প্রশ্ন করে পত্রিকা অফিসের লোক জন কোন মতে ঐ বাসা থেকে বের হয়ে এডিটরকে ফোন করলো।
-স্যার এই কবি তো পুরোই অন্য রকম। ওনার টাকার অভাব নেই কিন্তু ওনার দক্ষিনা লাগবে নাকি।
-মানে? ঘটনা কি খুলে বলো।
সব খুলে বলল এতোক্ষন যা দেখল।
-এখন কি করা যায় বলোত, এর প্রফাইল তো অন্যদের সাথে যাচ্ছে না। কি বিপদে পড়লাম। এক কাজ করো কুষ্টিয়া চলে যাও। কোন বাঊলের কুড়ে ঘরের ছবি তুলে নিয়ে এর নামে চালায় দাও
-আচ্ছা স্যার।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫১