সেই সে পথ
নরকের অনাহূত দূত যে পথে হেসে হেসে ,
তোমাদের দেখিয়েছিল ঈশ্বরের গৃহে অগ্নি সংযোগের
অলৌকিক দৃশ্য !
এই পথে জমানো অন্ধকার , সাপের বন্যা , নগ্ন বিবেক।
সেদিন এই পথের শেষ প্রান্তে
বেয়োনেট বৃষ্টিতে শাপগ্রস্থ সূর্যটার
ছায়াবন্দী হয়েছিল
ওরা ক'জন !
অতঃপর পৃথিবীর অসামপ্ত আর্তনাদ বুকে নিয়ে এ পথের সদর দরজায় দ্বাররক্ষকের দায়িত্ব নিলাম।এ পথে অবিশ্বাসী চাঁদের ছায়া নেই , ধূলো নেই , ডানাভাঙ্গা পাখিদের আর্তনাদ ও নেই বটে। স্রোতস্বিনী শঙ্খ , আমার মুঠোবন্দী অনিয়ত অসুখী বাতাস!
মুঠোবন্দী বাতাস আটকে রেখেছি , তীব্র আশাবাদী কোন পথিকের দেখা মেললেই আমার স্বপ্নবিলাসী ইচ্ছেদের উড়িয়ে দেবো !
পৃথিবী মূলত আশাবাদীদের ।
আমি আশার গান শোনাতে পারিনা ,
তাই বন্দীশালা এঁটেছি নগ্ন বিবেকের
জান্তব উল্লাসের !
আশাবাদী কোন স্বপ্নবাজ পথিক নিশ্চয়ই এ পথে আসবে , ঈশ্বরের গৃহে অগ্নি সংযোগের হেতু জানতে । পৃথিবীর বুকে ইশ্বর সাজা রক্তপিপাসুদের
সুস্থতার দাওয়া খোঁজে ...
আকাশ কুসুম স্বপ্ন নিয়ে
আমি ঠাই দাঁড়িয়ে
আবার
এ পথে জোছনার ছায়া পড়বে কিংবা ধূলোমাখা বিকেলে , লালচে সন্ধ্যায়
আসর বসবে
মানুষের , ভালোবাসার !