একবার পথিক সেজেছিলাম,
অন্ধ পথিক !
কার্যত অন্ধত্ব আমাদের দিয়ে গেছে
নরকের অনাহূত দূত।
অথচ কিংবদন্তীরাও অন্ধ ছিল
তথাপি দেখেছে পৃথিবীর অসমাপ্ত আর্তনাদ!
ঈশ্বরের গৃহে অগ্নি সংযোগের
পেছনেও নাকি কোন অযাচিত চুক্তির গ্লানি মাখা ছিল !
সেদিন পথিক আমি , দেখেছি সোনালী ডানার চিলের
বিচ্ছিন্ন অহংকার !
আচ্ছা পাখিরা কি দেখতে পায় ?
আট রঙ্গা রংধনুর বিষণ্ণ কালোটাকে?
শুনেছি এখনো রোজ নরকে মিটিং বসে , নরকের বিষাক্ত কিটগুলোও বিষ্মিত হয় আমাদের সমাজনীতি , রাজনীতি , অর্থনীতির ডেডলকে আটকে থাকা অন্ধত্ব দেখে !
বহুবর্ণী , বহুধর্মী ছিল আমার পথচলা !
পরাজয় মেনে নেয়া শুভ্র দুপুরের সাথে দেখা হলো ! অবিশ্বাস্য অহংবোধে স্মৃতির পেয়ালার স্পর্শটুকু ধরে আছে শুভ্রতায়।
ঈশ্বরের গৃহে যে আগুন লেগেছে শুভ্র দুপুর তা জানেনা । অতশত কথায় না গিয়ে ব্যাস্ত আমি জানিয়ে দিলাম অযাচিত চুক্তির মূল শর্তঃ
" আমাদের মৃত্যু , ওদের আ্নন্দ " !!
চুক্তি পত্রের অন্ধত্বের প্রতিবাদে, এক খন্ড অন্ধকার চেয়ে বসলো শুভ্রতা!
----------সে হেমলক চায়---------- !!
শুভ্রতাকে ছায়াহীন মৃত্যু দিয়ে
খানিক বাদেই দেখা মিললো
নষ্ট অতীতের বিমর্ষ ধারক অথচ স্নিগ্ধতার পোশাকে
------------ধূসর বিকেল-------- !
শুভ্রতার বিষাক্ত সর্বশেষ চুম্বনে
--------- আচ্ছন্ন ------- !
পৃথিবীর আজন্ম পাপে নূহ্য !
তারপর গুটিসুটি মেরে বসে থাকা শিশুরাত্রি , নাকি সাঝবেলা ! বাতিঘরের শূন্যতা ভুলে বসে আছে ... । অন্য পৃথিবীর চাঁদ উঠে সাঝবেলার আধাঁরে। চাঁদ কি জানে অন্ধকারের ইতিবৃত্ত? রোজ রাতে যে পৃথিবীর ঐ প্রান্তে কেউ আমাদের মগজ ভাজি খায় প্রাতরাশে , নীল হয়ে যাওয়া রক্তের ঝোল মিশিয়ে ! চাঁদের আলো ওদের জন্য উল্লাসের উপাদান , আমাদের দীর্ঘশ্বাস !
---------- তার চেয়ে অন্ধত্বই উত্তম ----------- !
রাত পেরোলেই ভোর হয় , সূর্যটাকে আমার কিংবা আমাদের পরাজিত চোখে মনে হয় ঠাইঁহীন , একা !
রোজ ভোরেই আমার সঙ্গী বাড়ে , সবাই মিলে হেটে চলি , ঈশ্বরের পুড়ে যাওয়া গৃহপানে!
সবাই অন্ধ।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:৫৭