কৃষ্ণচূড়ায় গোপন বৈঠক --------
মেঘদলের সাথে কৃষ্ণচূড়ার সংঘাতে ,
শহুরে কবিদের শব্দগুলো বড্ড একঘেয়ে হয়ে পড়েছে !
আকাশচুরি সেতো লাল-হলুদের মুগ্ধতায় হয়না । অযাচিত ব্যাপ্তিতে মেঘেরা পতনে ভীরু
তাই
শহুরে কবির শ্রান্ত দুপুরের শব্দ-সন্ধান যুদ্ধে , রৌদ্রের মলিনতাই তার একমাত্র উপহার কিংবা ... উপহাস !
এ তল্লাটে কয়েকটি ঘাসফুল আর কবিতার খেরোখাতা ছাড়া কিছু নেই । খেরোখাতায় বন্দী কয়েকটি কবিতা , কিছু পংক্তি , দীর্ঘায়িত করে রাখা আঁধার- ভালোলাগা-শূন্য বিকেল !
ততক্ষণে কৃষ্ণচূড়াদের বৈঠক শেষ হলো বলে
ওরা নাকি রাজপথে মিছিলে যাবে
বংশীবাউল কবিরা আজকাল বৃষ্টি-উল্লাস করে, সেই কবেকার ছিটেফোঁটা জল নিয়ে মেতে থাকে অথচ মহাজাগতিক কত –শত ধন্দ নিয়ে ঠাঁই দাঁড়িয়ে আছে কৃষ্ণচূড়ার দল! সেদিকে কারো খেয়ালই নেই । মাঝে মাঝে দু একজন ফটোগ্রাফার এসে স্থিরচিত্রে বন্দী করার পায়তারা করে, ডাল-পালার ছিদ্রে তার দৃষ্টি ও গিয়ে থমকে থাকে কঙ্কালসার মেঘেদের শরীরে।
তাই নাগরিক পথচলা থমকে দিয়ে রাজপথের দখল নিবে শহরের সব রক্তলাল কৃষ্ণচূড়ার দল। মেঘদলের পতন পিয়াসী কবিদের শব্দঘোরে কুৎসিত বিষণ্ণতা না আসা পর্যন্ত ওরা করবে আমরণ অনশন ! কেন কবিরা বুঝেনা ... শরীরে রক্ত মেখে ঠাঁই দাঁড়িয়ে থাকা অর্থহীন নয় ! অথচ সদ্য প্রেমে পড়া যুবতীর শূণ্য দৃষ্টির শেষ রেখাটা কৃষ্ণচূড়ার লালেই।
অথচ ব্যর্থ কবির দল ছাইপাস লিখে বেড়াচ্ছে !!
উৎসর্গঃ বৃক্ষ সংক্রান্ত পোষ্টে বৃক্ষের অধিকার ই বেশী ! এই পোষ্ট টি বটবৃক্ষ কে উপহার দেয়া হইলো!