তপ্তরোদে তপ্তশ্বাসে ক্লান্ত প্রাণ ক্ষ্যান্ত হলো ,
ছুটতে থাকা বসন্তে , গত বর্ষার বৃষ্টি বিলাসে
নিঃস্ব প্রায় শ্রান্ত বিকেলে
আর আমার এক আকাশ মেঘালয়ে !
ষোড়শীর খোলা চুলের উন্মাদনায় শান্ত যে নদীটি , সে আজ মাতাল হাওয়া বুকে নিয়ে সমুদ্রস্নানে যাবে বলে ...
পথে দেখা মেলে তৃষিত বটের মূল , শুকিয়ে যাওয়া হেমন্ত , বসন্তবেলার ক্লান্ত কালপুরুষ । খানিকটা এগোলেই নদীতীরেই দেখা মেলে বিবর্ণ রোদ চশমা হারিয়ে ফেলা বিষণ্ণ মানব , শেষ বিকেলে কিশোরের কান্না আর সন্ধ্যাতারায় ঝিঁঝিঁ পোকার আর্তনাদ।
রাত ভোরের আগেই শহর ছাড়িয়ে , শহরের কান্না ধরে পৌছে যেতে হবে নতুন ভোরে।
তোমাদের নগরীর কত দুঃখ !
কি হেমন্ত , কি বসন্ত , কি শীত !
কি কাশফুল , কি কৃষ্ণচূড়া , কি শিশিরকণা !
কি চাঁদের আলো !
তোমাদের নগরীর অশ্রু , ঘাম , ভগ্ন প্রেম আর ক্লান্ত প্রাণ সব বুঝি জড়ো হয়েছে নদীতটে ।
নদী ছুটে চলে ,
মাতাল হাওয়া বুকে নিয়ে সাথে করে সেই বিবর্ণ মানবের অবসাদ, কিশোরের কান্না , এলোকেশী কিশোরীর খোলাচুলের দুঃখগাথা আর সেই তৃষ্ণার্ত বটের মূল ! নগরীর ভ্রান্তি , রাতের কান্না সব নিয়েই ছুটে চলা !
রাত ভোর হলেই সে পৌছে যাবে বৈশাখে !
মাতাল সে বৈশাখ ,
মহাপ্রলয় হয়েই জমে থাকা পুরনো ক্ষত সব মুছে দিতে যে আসছে সেই বৈশাখ !
নদীর ছুটেচলা থামবে সেই ঝড়ে ।
তাই নদীর বুকে পুঞ্জীভূত সব ক্লান্তি এক সুরেই গান গায় –
এসো হে বৈশাখ
এসো হে !!