কেউ ডেকোনা , এখানে পুষ্প-ঘ্রাণের একান্ত সঙ্গমে প্রাচীন শেকড়ের দল মহাবিশ্বের প্রলয় আঁকড়ে ধরে রাখে ! এখানেই হবো জোছনাবিলাস ,বৃষ্টি-উল্লাস কিংবা নিঃসঙ্গ নীলিমার নিত্যসঙ্গী। এখানেই হবে রৌদ্রপ্রণয় , সজীব কীটদের নিষ্পাপ দংশন কিংবা তোমাদের সভ্যতার যাবতীয় আলামত।
বৃক্ষ আস্তরণের এক জৈবিক জীবনে
মহাশূন্যের ক্লান্তি চোখের পাতায়
স্পষ্টতর হয় আলোকের নৃত্যে ।
অথবা কেবলই এক মৌন দেয়াল,যাবতীয় মহাজাগতিক বিষাদের সাক্ষ্য দিতে । এখানে কাম নেই, লোভ নেই , বিষাদ নেই , উল্লাস নেই শুধু বেঁচে থাকা। মাঝে মাঝেই ভ্রান্ত অরণ্যের বিলাসী পাখির ঝাঁক , ডাহুকের চোখের উল্লাস , বিবর্ণ হুতুম পেঁচা নিঃশব্দে চিৎকার করে,
তোমাদের সভ্যতার সংজ্ঞায়নেই
একদিন ফিরে আসবে আদিকাল
সে কাল,
কেবলই বৃক্ষ খোলসের অসীম শূন্যতার!
হেসে উঠে রাতের পাখি , জোছনায় নাচে বন্য ফুল-পাতা ! নগরের অব্যবহৃত , অনভ্যস্ত জোছনারা এসে ভিড় করে অরণ্যের কাকতাড়ুয়ার পিঠে, নৈশঘোরে জেগে থাকে ঝিঁঝিঁ পোকার অভিসম্পাত। সমাপ্তির পথে রাত্রি, ঘাসফুলে রেখে যায় দীর্ঘশ্বাস ।
জীবাত্নাদের রক্তস্রোত ,
শেকড়ের ছায়ায় বেয়ে
আশ্চর্য বোধ-দেয়ালে এনে দেয় ,
তুমুল অন্ধকার কিংবা আঁধারের কফিন!
নিয়ম করেই কথা হচ্ছে কাটা বাহুর গোপন ব্যথার সাথে , নবীন ডালের কবিতার শব্দেরা এসে সে ব্যথায় হাত বুলায় না , নগরের বিষাক্ত গোলাপের নির্যাস মেখে দিয়ে যায়না কোন সদ্য কৈশোর পেরোনো প্রেমিক-যুগল।
আপাতত
স্মৃতিশুন্য আমি ঘুমিয়ে থাকি বাঁকলের বিছানায়!
উৎসর্গঃ সাবরিনা সিরাজী তিতির আপুকে এই পোষ্ট দিয়ে দিলাম , কেননা লিখতে বসার সাধ জেগেছে তার প্রোপিক দেখেই !