ঘুমিয়ে ছিলাম জাগতিক বিস্ময় জড়িয়ে ধরে,
কোন এক পথহারা নাবিকের ফেলে যাওয়া
স্ফুলিঙ্গ এসে ভর করে আমার,
শব্দ-নির্ঘুম শতাব্দী প্রাচীন তন্দ্রাহত চোখে।
স্বপ্নশিকারী ক্রন্দসীর চোখে কিংবা শব্দভুক কবির কলমে
এই শহরের জাগতিক বিষাদ , ময়লার স্তূপ আর ক্ষীণ ভালোলাগা মিলিয়ে যেন কোন জরাগ্রস্থ্য রোগী!
** যথারীতি রাত্রিযাপনঃ
এই শহরের রাত্রিদের কোন অভিলাস থাকেনা, রাত্রিদের শরীর জুড়ে কুয়াশার অত্যাচারে ও ক্লান্তি নেই ।
শুধু প্রগাঢ় মমতায় আঁকড়ে ধরে রাখে অগুনতি শব্দগুচ্ছ কিংবা ফুটপাথে নীরব আর্তনাদে মেতে থাকা ক্ষুধার্ত কিশোরের চোখের মায়া !
** অযত্বনে ফেলে রাখা মশালটির কথাঃ
একটি মশাল জ্বেলেছি
মশালের আগুনে মিথ্যাকে সত্য করে জ্বালিয়ে দেয়া হয়নি ,
মশালের আগুনে শপথ ভঙ্গের বেদনা পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি।
মশালের শীতল শিখা হয়তো আমাদের পথ দেখাবে বলে ...
মশালটা নিয়ে আমি হাঁটছিলাম,
একা নই , অজস্র সাথী নিয়ে ভ্রান্তি জর্জরিত উল্লাস সাথে করে!
আমাদের দৃষ্টি,
স্বচ্ছ মাছির মত -- মেঘের সজল ছায়ায় থাকা আচ্ছন্ন সূর্যের আলোয়।
একদিন সবাই মিলে আবার অবস্তুকে বস্তু বানালাম , কুটিল মিথ্যাচারকেই সত্য বলে স্বীকার করে নিলাম ।
মশালটা নিভে যায়নি , নিভে নিভে জ্বলে স্বপ্নভঙ্গের বেদনা সাথে করে ...
আরেকবার জ্বলে উঠবে বলে !!
** ব্যাক্তিগত আলাপনঃ
তিল তিল করে বিন্দু বিন্দু
ঘাম-রক্ত -অশ্রু আর ভালোবাসা দিয়ে অমরত্বের পিছু ছুটে চলি।
আমার স্বত্বা, আমার অলিন্দ- নিলয়ের পারস্পরিক ছন্দ, মস্তিস্কের রক্তপ্রবাহ কোন এক বিলাসী দেবদূতকে উপহার দিবো,
আর কিনে নিবো অমরত্ব!
দেহে না থেকেও বেঁচে থেকে তোমায় দেখার অমরত্ব !!