এখন এখানে তিক্ত সুরের মূর্ছনা ,
মনোবৈকল্যের বিভ্রম ,
অন্ধকার / বিষণ্ণতা !
অথচ দৃশ্যায়নে বিভ্রম ছিলনা !!
ছিলনা অনাকাঙ্ক্ষিত রক্তস্রোত , অশ্রুপাত।
একটা খোলা জানালা ছিল –
নৃ-তাত্ত্বিক ছন্দে অন্ধকারেও সেই জানালায় আলোকপাত হতো ।।
বৃষ্টি এলে , কুয়াশায় ঢেকে গেলেও
জানালাটা খোলা ছিল ।।
মনের অজান্তেই এখানকার জীবিতদের ভর করলো ,
ঝাঁঝালো আঁধার , ভ্রান্তির হতাশা
দানবীয় ত্রাস
বুভুক্ষু কামনা , রাত্রিকালীন হাহাকার!
একটা খোলা জানালা ছিল –
দুর্বলতর জোছনায় জোনাকিরা পথ হারালেও
একাত্তরটি ঝিঁঝিঁ মাতিয়ে রাখতো সমগ্র রাতকে !!
মনের অজান্তেই এখানকার জীবতদের ভর করলো,
দূষিত চিন্তা
বোধ-দেয়ালে মরচে ধরে,
কামড়ে খায় খোলা জানালার কার্নিশ ।।
বাস্তুহারাদের নিয়ে ছুটে চলা রাত্রিকালীন ট্রেনটি পথ হারায় উঠোন-জুড়ে থাকা প্রগাড় অন্ধকারে! যাত্রীদের মূর্ছনা মিলিয়ে যায় কুয়াশার অন্তরালে । প্রকান্ড উল্লাসকরণ ও দেখা মেলে দু একটি কামরায় , অবিশুদ্ধ চিন্তার ধারকের অনুসারীদের অট্টহাসি কিংবা হতাশার প্রতিচ্ছায়ায় কেবলই ঘূর্ণি-পাক! বৃত্তাবদ্ধ অন্ধকারেই ক্ষুধার্ত জম্বি হয়ে উঠে একেক জন , কামড়ে খায় খোলা জানালার কার্নিশ , পাশের ঘরের নিঃস্ব সঙ্গীকে !!
ভয়ানক নৈঃশব্দের অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছি... ক্রমশ
শূন্য অংকের খেলাঘরে একের পর আত্নঘাতী দাবার চাল।
ভুল ভোরের , ভুল কুয়াশার ছায়ার আশায় বুদ হয়ে থাকে জীবিত যাত্রীগুলো।
মহাজাগতিক জ্যোৎস্নাবিলাস অথবা ক্যানভাস হাতে বিভ্রান্ত এক শিল্পীর হাতে মুছে যাবে বৃত্তের ঘোরে আবদ্ধ নিষিদ্ধ আঁধার। ধীরে ধীরে প্রগাড় অন্ধকারেই দেখা দেবে বিমূর্ত ফুল, সাদা পালকের পাখির দল!
অথবা ,
আমৃত্যু দেখতে থাকবো
তলিয়ে যাচ্ছে প্রিয় খোলা জানালা,
গভীর থেকে গভীরে।
আর
শুনতে থাকবো মৃতদের আহাজারি।।