ও লাল্লা! ও লাল্লা!! ও লাল্লা রে।
ও লাল্লা . . .
মার্বেল পাথরের ঝকঝকে দেয়ালে সেঁটে থাকা
রবীন্দ্রনাথ ত্রস্ত পায়ে নেমে এসে; খুব করুণ স্বরে
বললেন; দু’পেগ মালের টাকা যোগাড় করা জন্যে
আমার পি টা এতো নির্দয়ভাবে মেরে দিলে, হে!
সোনালী শিশিরে স্নাত দত্তদা’ টলতে টলতে
বললেন, কী হে রবীনদা’ পেগ দুই মেরে
দিবেন না কী, গুরু? আপনি মাইরি একটা মাল
সৃষ্টির অপার বিস্ময়!
একথা শুনে চোদনা হয়ে রবীন্দ্রনাথ
আত্মহত্যা করলেন।
তীব্র ব্যাথায়ও থাকে প্রতারণা
তুমি চলে যাবার পর।
আর আর বাঙালি প্রেমিকেদের মতন
আমিও বিয়োগ ব্যাথায় কাতর হয়ে উঠেছিলাম
সন্ধ্যাগুলো জাম্বুরাতলায় কাটিয়েছিলাম
বাঁশিতে সুর তুলে তুলে। বলতে দ্বিধা নেই
আমি ভীষণ কষ্ট পেয়েছিলাম।
জীবনে প্রথম পাওয়া আফটার শেভিং স্প্রে
তোমার দেয়া শর্ট পাঞ্জাবিগুলোর জন্যে
যতটা না তোমার চলে যাওয়া ভেবে ভেবে।
অহ আরও একটা জিনিস।
একদিন ক্যাম্পাস বাস এ সিট না পেয়ে
দাঁড়িয়েছিলাম দু’জনেই। আচমকা তোমার হাত
আমার হাতকে ছুঁয়ে গিয়েছিলো
আর দূরে খুব করে মেঘ করেছিলো।
চলে যাবার সময় তুমি স্প্রেটা, শর্ট পাঞ্জাবি কয়টা
নিয়ে গিয়েছিলে। শুধু
ছুঁয়াটুকু নিতে পারোনি
তুমি চলে যাবার পর।
আর আর বাঙালি প্রেমিকেদের মতন
আমি খুব ভেঁ ভেঁ করে কেঁদেছিলাম
স্প্রেটা আর শর্ট পাঞ্জাবি কয়টার জন্যে
যতটা না তোমার জন্যে।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৪০