যখন শুয়ে থাকি অসভ্য শয়ানে, বুকের কাছে হাঁটু গুঁজে
ক্রমশঃ সরে সরে যায় জানালা, দরোজা, দেয়াল এমন কী পলেস্তারা খসে পড়া ছাদ
বৃত্ত থেকে বিন্দুতে পরিণত হয়
রোজকার যাপিত যে জীবন হয়ে উঠে ফলের দোকানে ঝুলিয়ে রাখা বাসি আপেলের মতন
এই বুঝি সুতা ছিঁড়ে পড়ে যাবে
আর অমনি পিষ্ঠ হবে কোন আগন্তুকের পদতলে
কোন কোন ফুলের জন্মই হয় পিষ্ঠ হবার জন্যে
কোন কোন ফুল কারো বৈঠকখানার শোভা বর্ধনের জন্য ফুটে
কোন কোন ফুল পুঁজিতন্ত্রের ঘেরাটোপে আটকে পড়া
ভালোবাসার প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ হিশেবে বিক্রির জন্যে জন্ম নেয়
আর কোন কোন ফুল জন্ম নেয় দুর্নীতিবাজ নেতার বক্তৃতা মঞ্চ সাজিয়ে তোলার জন্যে
একটা সময় ছিলো যখন সন্ধ্যে নামলে বুকের মধ্যে শিহরণ জাগতো
একটা স্থায়ী সময় এলো যখন সন্ধ্যে নামে
তার সাথে নেমে আসে অন্ধকার, হীম হাওয়া
বুকের গহীনে কাঁপন
অন্ধকার নেমে এলেই আসে ভয়
ভয় একাকী ঘরে ফেরার
ভয় হারিয়ে যাওয়া বিকেলের মতন স্বপ্ন চুরি যাওয়ার
ভয় ভয়ানক শূন্যতার আক্রোশের
কতো বিকেল হারিয়ে গেছে গুনি না ভয়ে
একজনকে খুব করে চেয়েছিলাম
যার মুখচ্ছবি কোন দৃশ্যপটে ধরা দেয়নি
অপূর্ণ থাকা প্রাত্যহিক চাহিদার মতন অনেক কিছুই তো অপূর্ণ থেকে যায়
এই যেমন চাল কিনলে ডালের অপূর্ণতা, পিঁয়াজ কিনলে রসুনের
আনাজপাতি, মাছ, তরকারি বাকি তবু থেকে যায় মশলাপাতি
একদিন আমিও কাউকে বিশেষভাবে চেয়েছিলাম
প্রাত্যহিক চাহিদার মতোন অবশ্যম্ভাবীরুপে
কার্তিক কুয়াশায় মিলিয়ে গিয়েছিল ছায়া
ঝাপসা হয়ে উঠেছিল একটি মুখ
কেন না একদিন আমিও তো ভালোবেসেছিলাম
একদিন আমিও ভালোবেসে কারো ঘরের দেরাজ সাজিয়েছিলাম।
নারুলী, কার্তিক ৮, ১৪২১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৯:৫০