শাহবাগ প্রজন্ম চত্বর সম্পর্কে শুরু থেকেই বিবিধ সমালোচনা হয়ে আসছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে- এটাকে আওয়ামীকরণ করা হয়েছে। আবার খোদ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, বর্ষীয়ান নেতা তোফায়েল আহমেদ, সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীদেরকে অপদস্থ করা হয়েছে। প্রজন্ম চত্বরে তাদের মূল্যায়ন করা হয়নি। অপরদিকে ছাত্র ইউনিয়ন থেকে বামপন্থী তথা নাস্তিকরাই যে এর নিয়ন্ত্রক তা খোলাখুলিভাবে প্রথম থেকেই প্রতিভাত হয়ে আসছে।
তবে একটা জিনিস স্পষ্ট হয়েছে যে, শুধু ধর্মব্যবসায়ীরাই ধর্মপ্রাণদের ব্যবহার করেনা নাস্তিকরাও ধর্মপ্রাণদের বিভ্রান্ত ও ব্যবহার করে। ‘ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি চায় এই ধর্মাবেগকেই নাস্তিকরা পুঞ্জীভূত করে ব্যবহার করছে। নাস্তিকদের দোসর মিডিয়াগুলো এটাকেই হাইলাইট করেছে। কিন্তু ধর্মপ্রাণদের ধর্মীয় অনুভূতিকে তারা প্রতিফলিত করেনি। মিডিয়া এখানে বিরাট কারচুপি করেছে।
মিডিয়া এদেশের মানুষকে চিনতে পারেনি। মিডিয়া কর্পোরেট চশমা পরে জনতাকে দেখে। কিন্তু জনতার অন্তরের খোঁজ-খবর রাখেনা। প্রসঙ্গত ’৭১-এ পাকিস্তানে ওআইসি সম্মেলনে যেতে বঙ্গবন্ধুকে যেতে নিষেধ করেছিল ক্যাবিনেটের প্রায় সবাই। সেখানে গেলে, পাকিস্তান এদেশের ত্রিশ লাখ লোককে শহীদ করেছে, চার লাখ মা-বোনের সম্ভ্রম লুণ্ঠন করেছে তার সাথে সংহতি প্রকাশ করা হবে, বন্ধু রাষ্ট্র ভারত বৈরী হবে- এ অনুযোগ তুলে ধরেছিল সবাই। জবাবে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, “যে দেশে মানুষ জমি বিক্রি করে হজ্জ করতে যায় সেদেশে দ্বীন ইসলাম উনাকে বাদ দিয়ে কিছু করা যায়না।” মিডিয়াকে এই চিরন্তন সত্য গুরুতরভাবে উপলব্ধি করতে হবে। পূর্বেই বলা হয়েছে একথা মিডিয়া হৃদয়ঙ্গম করতে না পারলেও মিডিয়া নিজেই তা প্রমাণ করেছে। মিডিয়া নিজেই উল্লেখ করেছে ‘রাজীবের জানাযায় লাখো জনতার ঢল।’ অর্থাৎ প্রতিভাত হয় প্রজন্ম চত্বরে যারা ছিল, তারা যে সমাবেশই করুক আর যাই করুক তাদের প্রায় ৯৯ ভাগই দ্বীন ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী। দ্বীন ইসলামী আচার- জানাযায় বিশ্বাসী ও আমলদার। নাস্তিকের সংখ্যা এখানে শুধু নগণ্য নয় অতি ক্ষুদ্র তথা বিপন্ন প্রজাতির মতো।
তাই কোন নাস্তিক একথা বলতে পারেনি যে, রাজীবের জানাযা হবেনা। কারণ রাজীব নাস্তিক ছিল নাস্তিক্যবাদের জয় হোক। (নাঊযুবিল্লাহ) উল্টো নাস্তিক রাজীবকে তিনবার জানাযার সম্মুখীন হতে হয়েছে। অর্থাৎ দ্বীন ইসলামই যে এদেশে নিরঙ্কুশ প্রাধান্যবিস্তারকারী সে কথাই প্রমাণিত হয়েছে। শুধু তাই নয় তাকে পবিত্র দ্বীন ইসলামী কায়দায় কফিনে ঢুকানো হয়েছে, দাফন করা হয়েছে। অর্থাৎ ৯৭ ভাগ মুসলমানের এদেশে মরেও মুসলমান নামধারী নাস্তিকের রক্ষা নেই।
দ্বীন ইসলাম বিদ্বেষী ব্লগাররা ৯৭ ভাগ অধিবাসী মুসলমানের ধর্মীয় অনুভূতিতে সর্বোচ্চ আঘাত দিবে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্পর্কে চরম-পরম কুরুচি, কুৎসা রটনা করে যাবে আর তারা প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার চাদরে আবৃত থাকবে এটা তো রাষ্ট্রধর্ম দ্বীন ইসলাম দেশের সাংবিধানিক কথা হতে পারেনা। তাদেরকে অবশ্যই ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতদানের জন্য গ্রেফতার করে আদালতে পাঠাতে হবে। অবিলম্বে দ্বীন ইসলাম বিরোধী সব ব্লগ বন্ধ করতে হবে এবং দ্বীন ইসলাম বিদ্বেষী ব্লগারদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।