আমার শরীরে এখনো গেঁয়ো অবিশ্বাস; এখনো চুল ঝাড়তেই
তিনটি সবুজ ফড়িং লেজ ঝুলিয়ে নামে। ডানাতে ঝোলানো
লাফানোর কৌশল আঁকা। সে মর্মন্তুদ শ্লোকে চোখ রেখে
তোমাকে জানাই সম্ভমে,
উড্ডয়ন বিদ্যা আমার জানা হয়ে আছে ঢের জন্ম আগে।
বল্কল খুলে খুলে তোমাকে দেখাতে পারি
ঢোঁড়া সাপেরা কয়বার বদলায় খোলস।
কতবার শিলা ঝরে ঝরে গেলে
আকাশ নির্ভার নীলগীতি গায় মহুয়ার বনে।
দেখো, আমার নখে বিঁধে আছে নলখাগড়ার শনশন।
একটু পা চালিয়েই এই এখুনি তুলে আনতে পারি সে বাদ্য
অকপট শৃঙ্খলায়। এই এখুনি আঙুলের মুদ্রায় অনায়াসে
ঝড় ভাঙা এক শালিকের হাহাকার নৃত্য একেঁ দিতে পারি
নিপুন ত্রস্ততায়।
পুরুষ্ট ধানী-জমিনের পারে
গতসনে জমিহারা কৃষকের কাতর নয়ন আমার স্মৃতিতে বনসাঁই।
এবং মাঠে মাঠে বেহুলারা বিষাদ গীতি রেখে গেলে
রাতভর কুড়িয়েছে যারা সেসব অশ্রু দানা থরে থরে;
আমি তাদেরই একজন।
তাই, এতসব গেয়োঁ অবিশ্বাস।
বাস্তু সাপেদের ঘরে তুমি যতবার ঘুমুতে যাবার আগে
দেখো নিয়েছো খাট তোষক আলমিরার দেরাজ সন্ত্রস্ত চোখে,
ততবার; ততবার আমি মনে মনে জপে গেছি,
হে সভ্যতা, একটা কলমীলতা আমাকে ধার দাও,
জড়িয়ে এক জন্ম কেঁদে কেঁদে ধলেশ্বরীর জলে ভেসে থাকি
জলপোকাদের সাথে।
কেননা, তুমি আমার শরীরে শীত গ্রীষ্মের সাথে সাথে
পুঁতে পুতেঁ দিচ্ছ যেসব মূর্খ শেকড়,
আমি তার মূলে কেবলি ঘুনপোকাদের অট্ট হাসি দেখি।।
১৯ নভেম্বর ২০১৩
ছবিসূত্র: ওয়ালকো.নেট
“Labbyrinth", 1941
by Salvador Dalí (Spanish, 1904-1989)
উৎসর্গঃ
এইসব কথা বিল্বপত্রে থাকে, তার শিরায়
উপশিরায়, খেয়াল-খুশীর ঋতুতে আঙুল রাঙিয়ে
তুমি যদি সেই সব শোনো; দ্যাখো
আমার হৃদপিন্ড তার ঐক্যতানে
কি মসৃণ এক পদক্ষেপে হাঁটে...
সকাল, সকাল রয়, আপনাকে এ পংক্তিকয় উৎসর্গ করতে চাই। সাহিত্য- শিল্প বিষয়ে আপনার উৎসাহ উদ্দীপনা আমাকে বিস্মিত করে। ও হ্যাঁ, সুসং দূর্গাপুর জায়গাটা আমার দেখার খুব ইচ্ছে। একদিন আপনার/আপনাদের সাথে খুব বেড়াবো...