ভেবেছি ধীরে ধীরে ফিরিয়ে দেবো
ছায়ারুপ যত তার
ক্ষত বিক্ষত বুকের দিকে মায়া হয়ে
হেঁটে যাবে বুকের জ্বালায় দগ্ধ স্নিগ্ধ গরবিনী
ভেতরে অন্য কারো ছায়া দেখে
কায়ার মধ্যে বিসর্জন দেয় ব্যর্থতা যত
রোদে পোড়া এক গাঙচিল
রোদের অক্ষরে লেখে
বুকের ভেতর কষ্ট পোষা সহজ না !
দু’চোখের পাতার ভেতর
ফেরারী বিশ্বাস অবিশ্বাসের কাছে
ধূসর বিকেলে মন থেকে মুছে যাক
অন্তহীন স্বপ্নের ছায়া অতলান্ত থেকে
খালি বুক হাত দিয়ে ডলতে ডলতে
বুকের নিশ্বাস ঠিক ঠিক হারায়
অতল অন্ধকারে !
ধমনীতে বাঁধা পরে রক্তের নদী
ঢেউয়ে ঢেউয়ে কুল ভাঙ্গে
ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে বলে যায়
যতোখানি তোমাকে চাই
ততোটাই সুদূর আঁধার প্রান্তে
ততোটাই আকাশ আকুল করে
ততোটাই চঞ্চল তমালবন
ততোটাই জোছনায় জাগা নিশি
ততোটাই বুকে সুখের নদী দুঃখ লুকিয়ে রাখে
ততোটাই স্মৃতির গুঞ্জন সর্বাঙ্গ ভর করে
ততোটাই জল পরে শিশির ঝড়ে
ততোটাই বিরহ বুকের কাছ ঘিরে বসত গড়ে
আহা ! বিরহের কত্ত রঙ
সুকঠিন বিচ্ছেদ গাঁথা
আকণ্ঠ উন্মাদ আমি বিক্ষত বুকের দিকে
হতবাক অন্তর বিরাগে
কাতর দুর্বল মগন ঘোরে ছুটে যাই
ভুলাবার মন্ত্র খানি অর্থহীন হয়ে পরে!
এ কেমন আত্মসমর্পণে আকুল-আকাঙ্ক্ষী মন
দাবাললের দারুন দাহ উপেক্ষা করে
সব সুখ দেয় বিসর্জন !
দূর আকাশের নেশায় মাতাল হয়ে
শরীর ভিজে যায় মন ভিজে যায়
ফেরাতে পারেনা সেই ছায়ারুপ তার
আকুল হয়ে প্রার্থনা করে-
সারা জীবন নয়ন যেন দেখে তোমায়
স্মৃতিরা সব ঘুম ভাঙ্গাবে তার অপেক্ষায়
বুকের দিকে মায়া হয়ে স্বার্থ হীন ভাবে
জ্বালায় দগ্ধ গরবিনী তার কাছেই যাবে ~~!!