টঙ্গীতে মহা সমারহে আরম্ভ হতে চলেছে বিদ'আতি মাউলানা (!!) ইলিয়াস মেওয়াতীর স্বপ্নে পাওয়া ইজতেমা যেটি বর্তমানে বিশ্ব ইজতেমা নামে বাংলাদেশে পরিচিত! এই ইজতেমাকে কোনো ইসলামী সম্মেলন বা দাওয়াতে তাবলীগ না বলে ধর্ম ব্যবসায়ীদের বাৎসরিক পিকনিক বলাই শ্রেয়। লাখো প্রতারণার এক কঠিন জাল হচ্ছে এই ছয় উছূলী তাবলীগ জামাত ও এদের এই বিশ্ব ইজতেমা। এই কথিত বিশ্ব ইজতেমার গ্যাড়াকলে অবলীলায় ধ্বংস করে দেয়া হচ্ছে মুসলমানদের ঈমান। সহজেই মুসলমানদের ঠেলে দেয়া হচ্ছে ইসলাম পরিপন্থী বিদ'আতের দিকে। নিস্তেজ করে দিচ্ছে বাতিলের বিরুদ্ধে তথা শিরক, বিদআতের বিরুদ্ধে মুসলমানদের রুখে দাড়ানোর ঈমানী জযবা।
এই তাবলীগ জামাতের প্রবর্তক হলো দেওবন্দ দলের এক কালের সদস্য ইলিয়াস মেওয়াতী, যে কিনা ল্যাংড়া ইলিয়াস নামেও তার দলে পরিচিত ছিল। ইতিহাস বলে, এই ইলিয়াস মেওয়াতী যখন তার চালু করা তাবলীগ জামাতের প্রচারে নামে তখন তার উস্তাদরাই প্রথম এই কার্যক্রমের বিরোধিতা করে। তবুও সে তদানীন্তন ব্রিটিশদের মদদে নামধাম ও দুনিয়াবী ফায়দার লোভে সেই সময়েই হাজার হাজার টাকা খরচ করে লোক ভাড়া করে এবং এদেরকে হুক্কা-বিড়ি খাইয়ে এই তাবলীগ জামাতের প্রচার করানো শুরু করে।
পবিত্র কোরআন ও সহিহ হাদীস দ্বারাও এই ইলিয়াসি তাবলীগের কোনো কাজের বৈধতা দেয়া সম্ভব নয়। এই তাবলীগ জামাত সম্পূর্ণরূপে একটি বিদ'আতি দল। টুঙ্গীর ইজতেমা যে একটি বিদআত ও নাজায়েয সমাবেশ তার বড় প্রমান এই সমাবেশের আখেরী মোনাজাত। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি, দুনিয়াতে এমন কোন বাপের ব্যাটা কিয়ামত পর্যন্ত জন্ম নেবে না, যে কিনা কোরআন বা হাদিসের সহিহ সনদের দ্বারা টুঙ্গীর এই ইজতেমা ও এর আখেরী মোনাজাতের বৈধতা দিতে পারে।
এই আখেরী মোনাজাতের উদ্দেশ্যই বা কি? সারা বছর নানান রকম গোনাহে লিপ্ত থেকে বছরে একবার ওই টঙ্গী ময়দানে গিয়ে হাত তুলে দুয়া করলেই বুঝি সব গোনাহ মাফ হয়ে যাবে? এটা নিঃসন্দেহে একটি অবান্তর চিন্তা!
তাছাড়া এই ইজতেমা সম্মেলনে কোরআন ও সহিহ সুন্নাহর আলোকে যতটা না দীন শিক্ষা দেয়া হয়, তারচেয়ে অধিক প্রচার করা হয় বিদআত! মনে রাখা ভালো যে বিদ'আতির ফরজ, নফল কোন ইবাদতই কবুল হবে না। অতএব, এই তথাকথিত বিশ্ব ইজতেমা নামক বিদআতি সম্মেলনটি যেকোনো প্রকৃত মুসলমানদেরই বর্জন করা বাঞ্চনীয়।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:২৬