প্রতি বছর বাংলাদেশসহ এই উপমহাদেশে মধ্য শাবানে শবে বরাত নামে একটি ইসলামপরিপন্থী, বিশেষত সুন্নাহ বিরোধী কাজ হয়ে থাকে যেটিকে বিদ'আত বলা হয়ে থাকে। বিদ'আত অর্থ সংযোজন অর্থাৎ যে কাজটি আল্লাহর নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোনদিন করেননি। আর এই সংযোজনের বিষয়ে প্রিয় নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কঠোরভাবে নিষেধ করে গেছেন। সুন্নতের বিপরীতই হলো বিদ'আত। আমাদের দুর্ভাগ্য যে এই উপমহাদেশের মুসলিম সমাজ বহু ধরনের বিদআতে অভ্যস্ত! অনেকগুলো বিদ'আতের মাঝে একটি হলো এই শবে বরাত পালন। অথচ শবে বরাত কিংবা লায়লাতুল বরাত বলে কোনো শব্দ কোরআন ও হাদিসে নেই। কোরআনে যা আছে সেটা হলো লায়লাতুল কদর। কিন্তু শবে বরাত বলে কিছু নেই। পৃথিবীর কোনো মুসলিম দেশে এই শবে বরাত পালন হয় না একমাত্র বাংলাদেশ ও পাকিস্তান ব্যতিত। ইসলাম সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান না থাকায় নিজেদের অজান্তেই এ দেশের মুসলমানরা নানানরকম বিদ'আত এমনকি শিরকের মত ভয়ংকর পাপে নিজেদের জড়িয়ে ফেলছে। এর বাইরে কিছু ভন্ড ধর্ম ব্যবসায়ী আলেম নামের জালেমরা তো আছেই সাধারণ মুসলমানদের বিভ্রান্ত করে তাদের আকীদাহ নষ্ট করতে। সে অনেক লম্বা কথা, আজ আপাতত শবে বরাত সম্পর্কিত বিষয়টিতেই আলোচনা সীমাবদ্ধ রাখি।
ইসলামে শবে বরাত বলে কিছুই নেই। আছে লাইলাতুন মিন নিসফি শা'বান। হ্যা, এই রাতের ফজিলত আছে কিন্তু এ রাতে করার কিছুই নেই। এই রাতের জন্যে, এই রাতের শানে বা এই রাত উদযাপনে কোন ধরনেরই কোন আমল নেই। কোন ব্যাক্তি অন্যান্য রাতে যা করে শুধু সেগুলোই চালু রাখবে। শুধু এই রাতের জন্য আলাদা কিছুই করা যাবে না। করলে তা নিঃসন্দেহে বিদ'আত হবে। কারণ, রাসুল নিজে কিছুই করেননি, বা করতে বলেননি।
শবে বরাত একটি বিদ'আত সুতরাং এটি পালন করা কিংবা এই রাতে নেকীর আশায় সালাত আদায় করা যাবে না। অনেকে ভাবতে পারেন সালাত যখন আদায় করছি সেটা খারাপ হয় কি করে? এ তো ভালো কাজ! হ্যা, আপাতদৃষ্টিতে আপনার কাছে এটা ভালো মনে হলেও যেহেতু এটা বিদ'আত তথা সংযোজন আর সংযোজন ইসলামে নিষেধ অতএব এ থেকে আমাদের বিরত থাকায় বাঞ্চনীয়। বিদ'আত বিদআত ই। এখানে ভালো বিদ'আত বা খারাপ বিদ'আত বলে কিছু নেই। কারণ সবরকম বিদ'আতই খারাপ ও ইসলামে অগ্রহনযোগ্য। তো চলুন এবার উদাহরণ দেয়া যাক শবে বরাতের নামে মধ্য শাবানে এদেশের মুসলিম সমাজে প্রচলিত কয়েকটি বিদআতের।
১. শবে বরাত উপলক্ষে ১৪ শাবান দিনে রোজা রাখা এবং ১৪ তারিখ দিবাগত রাত ১৫ শাবানে সর্বোচ্চ একশত রাকাত সালাত আদায় করা!
২. মৃতদের আত্মার পুনরাগমনে বিশ্বাস করা!
৩. হালুয়া, রুটি ও এধরনের বিভিন্ন খাবার তৈরী করা!
৪. অনেকে ছবি ও মূর্তি কৃত মিষ্টান্ন তৈরী করে থাকে।
৫. মিলাদ ও জিকিরের অনুষ্টান করা! (জেনে রাখা ভালো যে মিলাদ হলো আরেকটি বিদ'আত।)
৬. শবে বরাতকে উপলক্ষ বানিয়ে কবর জিয়ারত করা!
আসুন আমরা সকলে মধ্য শাবানে তথাকথিত শবে বরাতের নামে এই সকল বিদ'আতি ইবাদত বর্জন করে এবং কোরআন ও সহীহ হাদিসের আলোকে নিজেদের আকীদাহকে পরিশুদ্ধ করি। আল্লাহ আমাদের সেই তৌফিক দান করুন। আমীন।প্রতি বছর বাংলাদেশসহ এই উপমহাদেশে মধ্য শাবানে শবে বরাত নামে একটি ইসলামপরিপন্থী, বিশেষত সুন্নাহ বিরোধী কাজ হয়ে থাকে যেটিকে বিদ'আত বলা হয়ে থাকে। বিদ'আত অর্থ সংযোজন অর্থাৎ যে কাজটি আল্লাহর নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোনদিন করেননি। আর এই সংযোজনের বিষয়ে প্রিয় নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কঠোরভাবে নিষেধ করে গেছেন। সুন্নতের বিপরীতই হলো বিদ'আত। আমাদের দুর্ভাগ্য যে এই উপমহাদেশের মুসলিম সমাজ বহু ধরনের বিদআতে অভ্যস্ত! অনেকগুলো বিদ'আতের মাঝে একটি হলো এই শবে বরাত পালন। অথচ শবে বরাত কিংবা লায়লাতুল বরাত বলে কোনো শব্দ কোরআন ও হাদিসে নেই। কোরআনে যা আছে সেটা হলো লায়লাতুল কদর। কিন্তু শবে বরাত বলে কিছু নেই। পৃথিবীর কোনো মুসলিম দেশে এই শবে বরাত পালন হয় না একমাত্র বাংলাদেশ ও পাকিস্তান ব্যতিত। ইসলাম সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান না থাকায় নিজেদের অজান্তেই এ দেশের মুসলমানরা নানানরকম বিদ'আত এমনকি শিরকের মত ভয়ংকর পাপে নিজেদের জড়িয়ে ফেলছে। এর বাইরে কিছু ভন্ড ধর্ম ব্যবসায়ী আলেম নামের জালেমরা তো আছেই সাধারণ মুসলমানদের বিভ্রান্ত করে তাদের আকীদাহ নষ্ট করতে। সে অনেক লম্বা কথা, আজ আপাতত শবে বরাত সম্পর্কিত বিষয়টিতেই আলোচনা সীমাবদ্ধ রাখি।
আগেই বলেছি শবে বরাত একটি বিদ'আত সুতরাং এটি পালন করা কিংবা এই রাতে নেকীর আশায় সালাত আদায় করা যাবে না। অনেকে ভাবতে পারেন সালাত যখন আদায় করছি সেটা খারাপ হয় কি করে? এ তো ভালো কাজ! হ্যা, আপাতদৃষ্টিতে আপনার কাছে এটা ভালো মনে হলেও যেহেতু এটা বিদ'আত তথা সংযোজন আর সংযোজন ইসলামে নিষেধ অতএব এ থেকে আমাদের বিরত থাকায় বাঞ্চনীয়। বিদ'আত বিদআত ই। এখানে ভালো বিদ'আত বা খারাপ বিদ'আত বলে কিছু নেই। কারণ সবরকম বিদ'আতই খারাপ ও ইসলামে অগ্রহনযোগ্য। তো চলুন এবার উদাহরণ দেয়া যাক শবে বরাতের নামে মধ্য শাবানে এদেশের মুসলিম সমাজে প্রচলিত কয়েকটি বিদআতের।
১. শবে বরাত উপলক্ষে ১৪ শাবান দিনে রোজা রাখা এবং ১৪ তারিখ দিবাগত রাত ১৫ শাবানে সর্বোচ্চ একশত রাকাত সালাত আদায় করা!
২. মৃতদের আত্মার পুনরাগমনে বিশ্বাস করা!
৩. হালুয়া, রুটি ও এধরনের বিভিন্ন খাবার তৈরী করা!
৪. অনেকে ছবি ও মূর্তি কৃত মিষ্টান্ন তৈরী করে থাকে।
৫. মিলাদ ও জিকিরের অনুষ্টান করা! (জেনে রাখা ভালো যে মিলাদ হলো আরেকটি বিদ'আত।)
৬. শবে বরাতকে উপলক্ষ বানিয়ে কবর জিয়ারত করা!
আসুন আমরা সকলে মধ্য শাবানে তথাকথিত শবে বরাতের নামে এই সকল বিদ'আতি ইবাদত বর্জন করে এবং কোরআন ও সহীহ হাদিসের আলোকে নিজেদের আকীদাহকে পরিশুদ্ধ করি। আল্লাহ আমাদের সেই তৌফিক দান করুন। আমীন।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে মে, ২০১৬ রাত ৯:৫৫