সারা পৃথিবীজুড়ে খ্রিস্ট মিশনারীদের অপতৎপরতা চালু আছে। অপতৎপরতা বললাম কারণ তারা তাদের ধর্ম প্রচারের ক্ষেত্রে মিথ্যাচার, ভণ্ডামি, লোভ দেখানো, ভয় প্রদর্শনসহ অনেক ধরনের অসৎ পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকে। উপমহাদেশের অন্যান্য দেশসহ বাংলাদেশেও বহুদিন আগে থেকেই এই খ্রিস্ট মিশনারীরা সক্রিয়। বাংলাদেশে এদের বিচরণক্ষেত্র মূলত গ্রামাঞ্চল ও বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকা যেখানে লোকজন অজ্ঞতা এবং আর্থিক দৈন্যদশায় অভিগ্রস্ত। ভণ্ড মিশনারীরা এই বিষয়টাই কাজে লাগিয়ে থাকে। আমাদের দেশে মিশনারীরা "ঈসাই মুসলিম" নামে নিজেদের কার্যক্রম চালায় যা কিনা এদের দুই নম্বরির অন্যতম একটি উদাহরণ।
মিশনারীদের ঠেকাতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ আশা করে লাভ নেই। বরং দেশের ধর্মপ্রাণ জনগণ এবং বিভিন্ন ইসলামী দলগুলোকেই এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে হবে। দেশের যেসব স্থানে মিশনারীদের কার্যক্রম রয়েছে সেসব স্থান চিন্হিত করে সেখানে গিয়ে হিকমতের সাথে দীন ইসলাম প্রচার করতে হবে। সেখানকার অজ্ঞ মানুষগুলোকে কোরআন ও সুন্নাহর সঠিক জ্ঞান দান করতে হবে। তাদেরকে আর্থিকভাবে সহায়তা করতে হবে। এবং অবশ্যই মিশনারীদের মিথ্যাচার সম্পর্কে এই মানুষগুলোকে অবহিত করতে হবে। এই কাজ মোটেও কঠিন কিছু নয়।
এটা উল্লেখ করা জরুরী যে বিশ্বের উন্নত প্রভাবশালী দেশগুলোই এই খ্রিস্ট মিশনারীদের পৃষ্ঠপোষক। তাদের হাত অনেক বিস্তৃত। মিশনারীরা ইতিমধ্যেই ছলে, বলে, কৌশলে এ দেশের বহু অজ্ঞ, গরিব মুসলমানদেরকে ঈসাই মুসলিম তথা খ্রিস্টানে পরিনত করতে সক্ষম হয়েছে! করে যাচ্ছে। দেশের আলেম সমাজের উচিত মাজহাব মানা না মানা নিয়ে নিজেদের ভেতর ঝগড়া, দলাদলি এসব বাদ দিয়ে অবিলম্বে এই খ্রিস্ট মিশনারীদের অপতৎপরতা মোকাবেলায় করণীয় ঠিক করা। ইতিমধ্যেই অনেক দেরী হয়ে গেছে! বাংলাদেশে আর্থিকভাবে শক্তিশালী যেসব ইসলামী সংগঠন রয়েছে, তাদের এখানে বড় ধরনের ভুমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে বলে আমি মনে করি।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:১৬