শিয়া আকীদাহ আসলে কি? তারা কারা? তারা কি আদৌ ইসলাম ধর্মের অনুসারী নাকি ভিন্ন মাজহাবের এ নিয়ে অনেকের ভেতরই কৌতুহল রয়েছে। আছে বিতর্ক। আমাদের ভেতর অনেকেই না জেনে না বুঝে বলে থাকে শিয়ারাও মুসলমান আর এই শিয়া-সুন্নি বিভেদ নিতান্তই রাজনৈতিক। এটা মোটেও সত্য নয় এবং যারা এটা বলে তারা শিয়া কনসেপ্ট সম্পর্কে কোনোরকম পড়াশুনা না করেই এমনটা বলে থাকে।
প্রথমত, শিয়ারা হলো সেই গোত্র যারা সর্বক্ষেত্রে হযরত আলীকে (রাঃ) অনুসরণ করে। তাঁকে শিয়ারা আখেরী নবীর (সাল্লালাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম) নবুয়াতের উত্তরসুরী হিসেবে মনে করে! অথচ কোরআন মোতাবেক রাসুলে পাক মুহাম্মদই (সাল্লালাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম) আল্লাহর প্রেরিত শেষ নবী এবং রাসূল। তাঁর পরে আর কোনো নবী নেই। আর এই বিষয়টা মুসলমান হিসেবে বিশ্বাস করাটা আমাদের জন্যে ফরজ যা কিনা শিয়ারা অস্বীকার করেছে! একই কাজটি পরবর্তিতে এই উপমহাদেশের কাদিয়ানী গোষ্ঠীও করেছে গোলাম আহমেদকে দিয়ে। হাদীস কিতাবের আমিরুল মুমিনুন ইমাম বুখারী (রহঃ) এই শিয়াদের সম্পর্কে বলে গেছেন, “ এদের আকীদাহ এতই জঘন্য যে আমার দৃষ্টিতে একজন রাফেজী শিয়ার পেছনে নামাজ পড়া আর একজন ইহুদির পেছনে নামাজ পড়ার মাঝে কোন পার্থক্য নেই।”
এই পথভ্রষ্ট শিয়াদের ভেতরেই আবার অনেক ফিরকা ও মত আছে যেমন আলাভী, ইসমাইলি, জায়েদী, নুসাইরি (সিরিয়ার বর্তমান স্বৈরশাসক বাশার আল আসাদ এই ফিরকার অনুসারী)। এছাড়া আমাদের উপমহাদেশেও বোহরা, আগাখানি, ইমামিয়াসহ আরো বেশ কয়েকটি শিয়া ফিরকা আছে।
বর্তমানে পৃথিবীতে সবচেয়ে অধিক সংখ্যক শিয়া ইরানে বসবাস করে। যারা মূলত রাফেজি শিয়া। রাফেজি শিয়াদের একটি উল্লেখযোগ্য শিরকি ও কুফুরী আকীদাহ হলো তাদের ১২ ইমাম আল্লাহর সমান ক্ষমতাবান! (নাউযুবিল্লাহ মিন যালেক)। বর্তমানে কথিত ইসলামিক(!) রাষ্ট্র ইরানের ইমাম ও সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খোমিনেই বলেছে মহবিশ্বের প্রতিটি কণার উপরেই তাঁদের ১২ ইমামের ক্ষমতা রয়েছে। এখন আপনারাই বলুন, এইরকম জঘন্য আকীদাহর লোককে যদি মুশরিক বলা না হয় তাহলে হিন্দুদের মুশরিক বলার কোনো অধিকার আছে? শিয়া গোষ্ঠীর আরো বলে থাকে যে "কোরআন সম্পূর্ণ দোষত্রুটি মুক্ত নয়! কোরআনকে যদি কেউ কামেল বা পূর্ণাংগ মনে করে তবে সে কাফের!" কত বড় ভুল ও মিথ্যা কথা!
শিয়াদের সবচাইতে পবিত্র গ্রন্থ উসুলে কাফীরের ঈমান অধ্যায়ে এই মুনাফেকরা উল্লেখ করেছে মা আয়িশাহ (রাঃ) নাকি যিনা করেছিলেন। (নাউযুবিল্লাহি মিন যালেক)। মা আয়িশাহ (রাঃ) যে নির্দোষ ও সচ্চরিত্রের ছিলেন, এই সার্টিফিকেট স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা দিয়েছেন সুরা নূরে। কোরআনের স্পষ্ট আয়াতের যে বিরোধিতা করে সে সরাসরি কাফের হয়ে যায়। এছাড়াও এই শিয়া মুনাফেকরা বলে থাকে যে রাসুলের (সাল্লালাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম) এর মৃত্যুর পরে মাত্র ৩ জন সাহাবী ছাড়া বাকি সব সাহাবীরা কাফের হয়ে গিয়েছিলেন! (নাউযুবিল্লাহ)। এসব কথার রেফারেন্স শিয়াদের সবচেয়ে পবিত্র গ্রন্থ ‘উসুলে কাফীরে পাওয়া যায়।
শিয়ারা এও বিশ্বাস করে থাকে যে কবর, মাজারের পুজো, অলি আওলিয়াদের কাছে দুয়া করা, তাদের কাছে বিপদে সাহায্য চাওয়া যায়েজ! (নাউযুবিল্লাহ)। ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্থানে কবর মাজার পুজোর যেই শিরকি চর্চার প্রচলন চালু রয়েছে সেটা মূলত এই পারস্য ইরানের শিয়াদের কাছ থেকেই এসেছে। তাছাড়া কতিপয় মোঘল বাদশাহও এই উপমহাদেশে ইসলামের নামে এসব কবর, মাজার পুজো, পীর আওলিয়ায়ার পুজো আর হিন্দু ধর্মের সাথে ইসলামকে মিশিয়ে দীন-ই-ইলাহী নামক খিচুড়ী মার্কা ধর্ম প্রচারে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিলেন।
শিয়া মতবাদ অনুযায়ী কারবালার মর্যাদা পবিত্র কাবার চাইতে বেশি আর এই কারবালা তাওয়াফ
করলে দুই হজ্জের সমান নেকী! (নাউযুবিল্লাহ)। বর্তমানে শিয়াদের যারা আয়াতুল্লাহ, ইমাম, আলেম যেমন খোমেনি, সিস্তানি, তিজানি এরা পরিষ্কার কাফের কারণ তারা জেনে বুঝে কোরআনের কথাকে অস্বীকার করে। এরা আরবের তত্কালীন মাজুসী অর্থাৎ অগ্নিপূজারীদের মতোই অপবিত্র ও নিকৃষ্ট।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:২১