আমার খুব জানতে ইচ্ছে করে আবরার কে যারা খুন করেছে তাদের পরিবারের সদস্যদের মতামত। তারা কি বলতে চায়? তাদের অনুভূতি কি? তারা কি তাদের ছেলেদের আইনি সুরক্ষার জন্য দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে? তারা কি স্বগর্বে গর্ভবতী?
সাংবাদিকদের উচিত, খুনিদের পরিবারের সাক্ষাতকার নেয়া। তাদেরকে সবার সামন্যে পরিচয় করিয়ে দেয়া।
আর ছাত্রলীগকে কি বলবো, তবুও বলি - যদি সংগঠনকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারেন তবে পদত্যাগ করুন৷ ** লের বহিষ্কার আমাদের দরকার নাই। এই সব বহিষ্কার নাটক বাদ দেন। কিছু হলেই বহিষ্কার?
বহিষ্কার শব্দের এত বেশি ব্যবহার করছে - সব বহিস্কৃত মিলে দেখা যাবে একদিন বহিষ্কার লীগ গঠন করছে।
ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে কোন মানববন্ধন কিংবা প্রতিবাদ মিছিল হয়েছে? না হয়নি।
আর সরকার কে কি বলবো? মনস্টার তৈরি করে দায়সারা ভাব নিয়ে / বিএনপি জামায়াত দেখানো ছাড়া ত কিছু পারেন না।
বিশ্বজিৎ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত / সাজা প্রাপ্ত আসামীরা কোথায়? একটাও জেলে আছে? না নেই। ঢাবির আবু বক্কর হত্যা কান্ড করা ঘটিয়েছে?
জাবির জুবায়ের বা কুবির সাইফুলের হত্যাকান্ড। এদের প্রত্যেক হত্যাকান্ডের সাথে ছাত্রলীগ সরাসরি যুক্ত। কারো বিচারই হয়নি, হলেও সবাই মুক্ত। এমন হত্যাকারীরা যদি জেলের বাহিরে থাকে তবে পোলাপান ছাত্রলীগ করবে না কেন? তারা বুঝে গেছে, ছাত্রলীগ খুন করেও জেলের বাহিরে থাকতে পারে। তাদের পক্ষে স্বয়ং রাষ্ট্রপতিও আছে ক্ষমা নিয়ে। তবে ছাত্রলীগ হত্যা করবে না ত আপনি আমি করবো?
এইসকল হত্যা থামানোর জন্য ছাত্রলীগ / আওয়ামী লীগ কি উদ্দেগ্য নিছে? খোঁজ নিয়ে দেখুন, প্রতিটা ক্যাম্পাসের সবচেয়ে বাজে ছেলেটা / কিংবা বকে যাওয়া ছেলেটা / ডিপার্টমেন্ট সবচেয়ে পিছনের সারির ছেলেটা বা গুন্ডা, ইভটিজারা ছাত্রলীগের পদ পদবি নিয়ে বসে আছে। এইসব গুন্ডা, মাস্তান, টেন্ডারবাজরাই ছাত্রলীগের সাথে সংযুক্ত। তবে আপনি এদের থেকে ভালো কি আসা করবেন? আর যখনই এরা কিছু একটা করে, তখনই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ এদেরকে বহিষ্কার করে। শালার বহিষ্কার। গত ১০ বছরের শুধু বহিষ্কারের হিস্ট্রি দেখলেই বুঝতে পারবেন, ছাত্রলীগের কর্মকান্ডের প্রতিচ্ছবি। এরাই আবার বলবে, শিক্ষা, শান্তি, প্রগতি ছাত্রলীগের মুলনীতি। আমি বলবো, আগে নিজেরা শিক্ষা গ্রহণ কর।
মানুষকে ভালো বাসতে শেখ।
শুধু একটা পরামর্শ দিতি পারি, বাঁচতে চাইলে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ দের সংস্পর্শের বাহিরে থাকুন। মেয়ে বিয়ে দেবার আগে ভালো করে জিজ্ঞেস করুন সে কোন ছাত্রসংগঠনের। এদেরকে দেখতে মানুষ মনে হলেও আসলে এদের ভেতরে বাস করে এক একটা মনস্টার।
আর জনগন, খুনিরা জেলে আছে, সকালে তারা নাস্তাও করছে মাংসের ঝোল আর গরম গরম রুটি দিয়ে। তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হবে, তারপর হাইকোর্ট, সুপ্রিমকোর্ট এবং অবশেষে রাস্ট্রপতির ক্ষমা নিয়ে অচিরে তারা দেশ ত্যাগ করিবে।
কিছুদিন পর আবার অন্য কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকে খুন করবে, তারপর আন্দোলন - গ্রেফতার( আসামীদেরপুলিশ প্রটোকল )-রায়- রাষ্ট্রপতির ক্ষমা - দেশত্যাগ। চলতেই থাকবে।
অবশেষে ছবির মতো হ্যাপি এন্ডিং।