somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পরীদের গল্প

১৩ ই মে, ২০১৪ রাত ১:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আজ রাতটিও সেই রাতের মতোই মনে হচ্ছে। ঝড়ো হাওয়া,অবিরাম বরষন। তবে পার্থক্য এতটুকুই সেদিন হারাবার অনেক কিছুই ছিল আজ নেই। নিজের নামটাই বিলীন হয়ে গেছে নতুন অস্তিত্বর কাছে। রাজকন্যা থেকে সে আজ নিশিকন্যা। বাবার বড় আদরের মেয়ে ছিল পরী। কিন্তু এখন রাত হলেই তার নাম হয়ে যায় পুতুল। হ্যা। আসলেই সে পুতুল। জীবন,সমাজ তাকে নিয়ে খেলেছে নিষ্ঠুর খেলা।
সেই রাতেও এমন ঝড়-বৃষ্টি ছিল। কোচিং থেকে বাসায় ফিরছিলো পরী। পোড়োবাড়িটার কাছাকাছি আসতেই তিনজন অমানুষের একটা দল তাকে তুলে নিয়ে যায়। যখন হুশ ফিরলো তখন বিদ্ধস্ত অবস্থায় নিজেকে আবিষ্কার করলো পোড়োবাড়িটার মেঝেতে।
কোনমতে সে বাসায় ফিরলো। এর মধ্যে বাড়িতে তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়ে গেছে। বাবা বাইরে গেছেন তাকে খুঁজতে। সবকিছু জানার পর মা অঝোর ধারায় কাঁদতে লাগলেন।
সেদিনের পর থেকে সবাই যেন কেমন হয়ে গেল। এর মধ্যে তাদের বাসার মোবাইলে কয়েকবার ফোন আসছে। বিভিন্ন ভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
এতো টেনশন বাবা সইতে পারলেননা, হুট করে একদিন বাবাটা মারা গেলেন। পরী এবং তার ছোট দুই ভাইবোনকে নিয়ে তার মা অকুল পাথারে পড়লেন।
অভাব সইতে না পেরে পরী নামলো কাজের খোঁজে। পড়াশোনাতো আগেই বন্ধ হয়েছে। প্রথমেই সে গার্মেন্টসগুলীতে গেল।কোথাও সে চাকরি পেলনা। তিন চার দিন ঘোরার পর এক মহিলার সাথে তার দেখা হলো। চাকরির আশসাস দেখিয়ে তাকে পরদিন তার বাসায় আসতে বললো। ওই মহিলার বাসায় পরদিন ও গেলো। পরী জানতোনা তার জীবনে কি ঘটতে চলেছে। ওই মহিলা ছিল এক নামকরা পতিতালয় এর রাণি। সে পরীকে তার বাসায় আটকে ফেললো। সেদিন পরী আবারো বুঝতে পারলো তার শরীর তার কতবড় শত্রু! নারীত্ম তার অভিশাপ! ওখান থেকে সে ছাড়া পেলো রাত দশটায়।একটা সিএনজি ডেকে তাকে সেটাতে তুলে দেয়া হলো।আর তার হাতে কিছু টাকা গুজে দেয়া হলো।
এরপর কেটে গেল কিছুদিন।।।
এখনো কোথাও কাজ পায়নি পরী।
অভাবের অত্যাচার প্রতিনিয়ত কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে। অবশেষে পরী সিদ্ধান্ত নেয়। মনকে বোঝায় হারাবারতো আর কিছুই নেই।।।।
এখন পরী ওই মহিলার বাসার নিত্য মেহমান।।।
একজন পরী এভাবেই বিলীন হয়ে গেলো সমাজের অন্ধকার জগতে।
এমন হাজারো পরীর সপ্ন হারায় প্রতিনিয়ত, এমন হাজারো পরী ভেসে যায় কালের স্রোতে। কি দোষ পরীদের???
প্রশ্ন সময়ের কাছে,সভ্যতার কাছে,সমাজের কাছে।।।
প্রশ্ন, বিবেকের আদালতে।।।
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কমলার জয়ের ক্ষীণ ১টা আলোক রেখা দেখা যাচ্ছে।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:১৮



এই সপ্তাহের শুরুর দিকের জরীপে ৭টি স্যুইংষ্টেইটের ৫টাই ট্রাম্পের দিকে চলে গেছে; এখনো ট্রাম্পের দিকেই আছে; হিসেব মতো ট্রাম্প জয়ী হওয়ার কথা ছিলো। আজকে একটু পরিবর্তণ দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×