প্রিয় পেনফ্রেন্ড,
এখানকার এখনকার কথা আর কি বলব?
খুব খরতাপের দিন কাটাচ্ছি। পাশের দেশে হাজার খানেক মানুষ মারাও গেছে নাকি। আমাদের আবহাওয়া টোটালি কনফিউজড।
বিদ্যুতের কিছু উন্নতি হচ্ছে। রাস্তা, সেতু হচ্ছে। নেটের স্পীড বেড়েছে(যদিও আশা আরো বেশী ছিল)। হাসিনা এখন প্রাইমে আছে, প্ল্যানমাফিক চলছে সব। অন্যদিকে, খালেদা এদেশের আবহাওয়ার মতই কনফিউজড। শিবির আন্ডারগ্রাউন্ডে, ছাত্রলীগ নিজেরা মারামারি করে ছারখার হচ্ছে। তুমি জেনে অবাক হতে পার, ছাত্রলীগ-শিবির মারামারি এখন দেখায় যায় না, তারা লেনদেন করে, ভাতৃপ্রতিম। দুই মেয়র কথা দিয়ে মন জয় করে ফেলেছে, কাজ করাটাই বাকী।
জেনে খুশী হবে, খেলায় ভালো করছে বিডি ক্রিকেট টিম। ভারত আসছে সামনে। ফুটবলের কথা আপাতত থাক।
যদিও প্রযুক্তির আশীর্বাদে দেশ ধন্য হচ্ছে। আবার প্রযুক্তিরই অভিশাপ এদেশে একটা ঘুমন্ত প্রজন্ম তৈরি করছে। পুলাপাইন রাতভর মোবাইল টিপে, দিনভর ঝিমায়।
পত্রিকায় প্রতিদিন দুপুরে ছোট্ট এই দেশের কোনো না কোনো শহরে জবাই করে খুনের কথা পাই। পড়ে স্তম্ভিত হই না আর, অভিযোজিত হয়ে গেছি আমরা, এদেশের মানুষেরা। তবুও হয়ত একটা ভোঁতা নোংরা অনুভূতি হয় কারো কারো। সেই অভাগাদের মনে মানবতার এসেন্স রয়ে গেছে এখনো, সম্ভবত। আরো আছে ধর্ষণের খবর। কে কাকে কি করে, জেনে হতবাক হবে, সম্পর্কের বালাই নেই। আর কিছু বলতে রুচি দিচ্ছে না।
যথারীতি দেশে কিছু শখের লেখক, কলম হাতে নিয়ে বসে আছে হা করে। তাদের নাকি রাইটারস ব্লকে পেয়েছে। রাইটার হওয়ার আগে ব্লকে পাবে কি করে? তুমিই বল। এদের কে বোঝাবে? এরা তবুও সাদা পৃষ্ঠা হাতে বসে থাকে আর হা-হুতাশ করে। তুমি জানো, আমি তাদের একজন।
আমি আছি আগের মতই। প্রায়ই নস্টালজিয়া পেয়ে বসে। আচ্ছা, তুমি কি সেই "পুরোনো দিন অথবা রুপকথার গল্প" পড়েছ? নস্টালজিক হয়ে লিখেছিলাম। এর সিকুয়েল লিখব, একযুগ পর।
আর কি লিখব? এপিগ্রাম লিখে দিতে পারলে ভাল দেখাত। আমি পারি না। চিঠি শেষ হচ্ছে বুঝে নাও! তুমি জানো, আমি "ইতি" লিখি না। কারন আমার লেখা কমপ্লিট হয় না, অন্তত আমার কাছে। তাই তো আমি ".... " দিয়ে লিখি।
যায় হোক, শেষে বলি;
মানুষ খুব ভাল অবস্থায় সপ্তম স্বর্গে আছে বলে। তবে জেনো রেখো,সপ্তম নরক বলতেও কথার কথায় কিছু আছে। জীবনযুদ্ধে কিছু মানুষকে অল্প সময় সেখানেও থাকতে হয়। আর যারা থাকে তাদেরই হতভাগা বলে...