"মুক্তমনা" ব্লগটির নীতিমালা দেখলাম। কি অদ্ভুত ও প্রশ্নবিদ্ধ !
অন্ধ ধর্মবিশ্বাসীদের ব্লগ দেখেছি। এখন দেখলাম অন্ধ ধর্মবিদ্বেষীদের ব্লগ।
তথাকথিত প্রগতিশীল ও যুক্তিবাদী লেখার ব্যানারে ধর্মের ব্যবচ্ছেদ করার মুখ্য উদ্দেশ্য নিয়ে কোন ব্লগ সাইট পরিচালিত হতে পারে বলে আমার জানা ছিল না। আমরা সাম্প্রদায়িকতার দায়ে ব্লগ সাইট ব্যান হতে দেখেছি। কিন্তু এদের কি হবে? এদের ধর্মের প্রতি বিদ্বেষ কি এক প্রকার সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে একটি সম্প্রদায় ভিত্তিক বর্ণবাদ নয়, যেখানে একটি মহল পৃথিবীর সকল ধর্মের ব্যবচ্ছেদ করবে কট্টরভাবে ।
মুক্তমনা ব্লগের কিছু নীতি দেখা যাকঃ
১.১। মুক্তমনা বাংলা ব্লগের উদ্দেশ্য যে কোনো ধরনের প্রগতিশীল, বৈজ্ঞানিক ও যুক্তিবাদী চিন্তাধারার সাথে সম্পর্কযুক্ত রচনাকে প্রাধান্য দেয়া
১.৩। কোনো লেখা বা মন্তব্যের মধ্যে মুক্তমনার উদ্দেশ্যের পরিপন্থী কো্নো কিছুর আলামত পাওয়া গেলে, মুক্তমনা কর্তৃপক্ষ আপনার সদস্যপদ পুনর্বিবেচনা কিংবা বাতিল করার অধিকার রাখে; এ ব্যাপারে মুক্তমনার নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।
২.৬। মানবতাবিরোধী, বর্ণবাদী, লিঙ্গবৈষম্যবাদী, প্রোপাগান্ডামূলক, স্বাধীনতাবিরোধী কিংবা মৌলবাদী কোন লেখা মুক্তমনায় প্রকাশিত হবে না।
২.১৩। ধর্মীয় কিংবা রাজনৈতিক আদর্শ নিয়ে আলোচনা হতে পারে তবে এগুলোর একপাক্ষিক প্রচারণা উৎসাহিত করা হবে না।
১.১ থেকে বুঝি, ব্লগে যেসব ধর্ম বিদ্বেষী পোস্ট করা হয় সেগুলো কর্তৃপক্ষ প্রগতিশীল, বৈজ্ঞানিক ও যুক্তিবাদী চিন্তাধারার সাথে সম্পর্ক যুক্ত বলে ধরে নেয়। ১.৩ থেকে বুঝি, ব্লগের উদ্দেশ্যের বাইরে ধর্মের পক্ষে কথা বললে আপনার বিরুদ্ধে একশন নেওয়া হবে, কারন আপনি এই ক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক যুক্তি দেখাতে পারবেন না। ২.৬এ বর্ণবাদী বলতে এরা শুধু সাদা-কালো বুঝে, তাই ধর্মীয় বর্ণবাদ এদের চোখ এড়িয়ে যায়। লিঙ্গবৈষম্য হল, নারীদের সংযত থাকতে আপনি ব্লগে বলতে পারবেন না, সেটা বৈষম্য হবে। মৌলবাদ নিয়ে বললাম না। মৌলবাদীরা ধর্ম নিয়ে অকারন টানাহেঁচড়া করে আর এক গোষ্ঠীর নাস্তিকেরা অকারনে ধর্মের পেছনে লাগে। ২.১৩ এর মানে আপনি ধর্মের পক্ষে প্রচারণা করতে পারবেন না, ধর্মের বিরুদ্ধে পারবেন।
ধর্ম বিদ্বেষ কি পরিমানে এ ব্লগে বিরাজ করে তা দেখতে চাইলে এই ব্লগের হোমে সর্বাধিক পঠিত ১০ পোস্ট দেখতে পারেন।
উল্লেখ্য, এই ব্লগে ইসলামের পাশাপাশি হিন্দু, বৌদ্ধ ধর্মের বিরুদ্ধেও লেখা হয়।
আরেকটি ব্যাপার, এই ব্লগেই আসিফ মহিউদ্দিন হুমায়ূন আহমেদ-কে একজন পুস্তক ব্যবসায়ি হিসেবে অভিহিত করে যার রেফারেন্স হিসেবে সে যেসব যুক্তি উপস্থাপন করে সেগুলো হল, হুমায়ূন আহমেদ কখন রাজাকারদের পক্ষে বলেছেন এবং কখন হুমায়ুন আজাদের বিপক্ষে বলেছেন।
হুমায়ুন আহমেদঃ একজন পুস্তক ব্যবসায়ী পতিত বুদ্ধিজীবী!
এসব ব্লগার কে দেখে আমার মনে হয়, তারা নিজের চরকায় তেল দিতে ভুলে গেছে, তাই অপরের ধর্মের পেছনে দৌড়তে বহু সময় নষ্ট করতে পারে।
নাস্তিক রা সাধারনত অন্য ধর্মে নির্লিপ্ত হয়, কিন্তু একটা গোষ্ঠী নাস্তিক নাম ব্যবহার করে অন্য ধর্মের সাথে শত্রুতা করতে থাকে। এরা গতানুগতিক নাস্তিক নয়, মানসিক বিকার গ্রস্থ।
আর এই মানসিক বিকার গ্রস্থদের লালন করতেই এসব হলুদ-ব্লগিং।