আজকের পৃথিবী আর ১০০ বছর আগের পৃথিবীর ভেতর আকাশ-পাতাল ফারাক। এর পেছনে মুল কারন হল নিত্য নতুন আবিষ্কার। আশ্চর্যজনক হলেও সত্য যে, আজকের যেসব আবিষ্কার আমরা দেখছি তার প্রায় সবগুলোর উৎস হল কোরান। চলুন কিছু উদাহরন দেয়া যাক।
১। জগত সৃষ্টির বৈজ্ঞানিক তথ্য হিসেবে বলা হয়, “কোটি কোটি বছর আগে বিশ্বজগত একটি অখন্ড জড় বস্তু রূপে বিদ্যমান ছিল। পরে তার কেন্দ্রে একটি মহা বিস্ফোরণ ঘটে যাকে “BIG-BANG” বলা হয়। সেই মহা বিস্ফোরণের ফলে আমাদের সৌরজগৎ, ছায়াপথ, তারকারাজি ইত্যাদি সৃষ্টি হল এবং নিজ নিজ কক্ষপথে বিনা বাধায় ঘুরতে লাগলো।
কোরানে আল্লাহপাক বলেন, “ অবিশ্বাসীরা কি দেখে না যে, আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী পরস্পরে মিলিত ছিল। অতঃপর আমরা উভয়কে পৃথক করে দিলাম। (আম্বিয়াঃ ২১/৩০)
২। প্রানের উৎস কি? এ বিষয়ে বিজ্ঞানীরা বলেছে, পানি থেকেই প্রানীজগতের উদ্ভব।
আল্লাহপাক কোরানে বলেন, “ আমরা প্রাণবান সবকিছু সৃষ্টি করেছি পানি হতে। তবুও কি তারা বিশ্বাস স্থাপন করবে না? (আম্বিয়াঃ ২১/৩০- নুরঃ ২৪/৪৫) প্রশ্ন হল, পানি সৃষ্টি করলো কে আর তাতে প্রান এনে দিল কে?
৩। উদ্ভীদের জীবন আছে, একথা বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসু মাত্র সেদিন আবিষ্কার করলেন। অথচ
আল্লাহপাক কোরানে বলেছেন, “ নক্ষত্ররাজি ও উদ্ভিদরাজি আল্লাহ্কে সিজদা করে।“ (রহমানঃ ৫৫/৬- ইসরাঃ ১৭/৪৪- নূরঃ ২৪/৪১ ইত্যাদি)।
পশু-প্রানী, গাছপালা আল্লাহ্কে সিজদা করে, আমরা মানবজাতি বরই নিমকহারাম। অথচ আশরাফুল মাখলুকাত হিসেবে আল্লাহপাকের সবচেয়ে বেশি নিয়ামত আমরা গ্রহন করে থাকি! সৃষ্টিজগতে সব সৃষ্টি কেবল আমাদের উপকারের জন্য!
হে আল্লাহ! আমাদের ক্ষমা করুন। আমীন।।
YOU CAN VISIT MY BLOG:
https://www.shishir54.xyz
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৬