ইসলামে মাযহাব নিয়ে অনেক মাতামাতি। সারা পৃথিবী জুড়ে মুসলমানদের বিভেদ তৈরি করে রেখেছে এই মাযহাব। আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষ নিজেদের হানাফি মাযহাবের বলে পরিচয় দেয়। কেউ কি বলতে পারে আমাদের রাসুল (সাঃ) কোন মাযহাবের ছিলেন?
চলুন, গভীরে যাওয়া যাক। মাযহাব মানে দল বা পথ। এবার বলুন, ইসলামে কয়টি পথ? সাবধান, খুব হিসেব করে উত্তর দিবেন। আল্লাহর রাসুল (সাঃ) বলেছেন- হাশরের দিনে মুসলমানদের ৭৩টি দল হবে। ১টি বাদে সবকটি দল যাবে জাহান্নামে। সেই ১টি দল কোনটা? যে দলে রাসুল (সাঃ) এবং তাঁর সাহাবীরা ছিলেন।
খোলাফায়ে রাশেদিনের বহুদিন পর দুনিয়াতে চারজন খুব বড় আলেমের আগমন ঘটে। তাঁরা হলেন-
১। ইমাম আবু হানিফা
২। ইমাম মালেক
৩। ইমাম শাফী
৪। ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল
উনারা প্রত্যেকে ছিলেন অত্যন্ত উঁচুমানের আলেম। তাদের নামেই চার মাযহাব প্রচলিত। মজার ব্যাপার হচ্ছে, তাঁদের জীবদ্দশায় কিন্তু কোন মাযহাব চালু হয়নি। হয়েছে তাঁদের মৃত্যুর পর। তাঁদের কিছু পথভ্রষ্ট সাগরেদ এই চার মাযহাবের প্রণেতা। চার ইমাম জীবিত অবস্থায় রাসুল (সাঃ) এর পথ ব্যাতীত অন্য কিছুই অনুসরণ করেননি। তাঁদের সবাই একটি কথা বলে গেছেন- “আমার কোন কথা যদি রাসুলের (সাঃ) সহিহ হাদিসের বিরোধীতা করে তবে তা দেয়ালে ছুঁড়ে মের।“ যেখানে তাঁরা নিজেরাই রাসুলের (সাঃ) সহিহ হাদিস কে কোরানের পরে সবার উপরে স্থান দিয়েছেন, সেখানে আমরা কিছু বোকা মানুষ মাযহাব মাযহাব বলে গলায় রক্ত তুলে ফেলি।
৮০১ হিজরিতে কাবা শরীফের চারপাশে চার মোসাল্লা স্থাপিত হল। এরাই হল চার মাযহাব। সব দলই দাবী করে তাদের আকীদা ঠিক। আজান হয় একবার। জামাত হয় চারটা। এদের ভেতর তিন দল বুকে হাত বাঁধে আর একদল নিচে। বিরাট বিশৃঙ্খলা। (৮০১ হিজরি থেকে ১৩৪৫ হিজরি পর্যন্ত) ৫৪২ বছর কাবা গৃহে এই নিকৃষ্ট বেদাত চালু ছিল।
আধুনিক সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠাতা মালেক আব্দুল আজিজ (আল্লাহ উনাকে জান্নাতবাসী করুন) কাবা শরীফের চার পাশের চার মাযহাবী মোসাল্লা ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দিলেন। তারপর চার মাযহাবের আলেমগণকে ডাকালেন। বললেন, আপনারা কোরান-হাদিসের দলিল দিয়ে যদি প্রমাণ করতে পারেন ইসলামে চার মাযহাবের অনুমতি আছে তবে আমি আপনাদের পাথরের তৈরি যে চার মোসাল্লা ভেঙ্গে দিয়েছি তা সোনা দিয়ে গড়ে দিব। আজ পর্যন্ত কেউ প্রমাণ করতে পারেনি।
আল্লাহতায়ালা কোরানে বলেছেন, “তোমরা আমাকে মান্য কর, রাসুলের (সাঃ) আনুগত্য কর, তোমাদের আমল বিনষ্ট করোনা।“আল্লাহপাকের নিজে নির্ধারণ করে দিয়েছেন, মুসলমানের অনুসরনীয় ব্যক্তি একমাত্র রাসুল (সাঃ)। আবু হানিফা নন, মালেক নন, শাফী নন, হাম্বল নন। এমনকি ওমর (রাঃ) ও নন। (যার সম্পর্কে রাসুল (সাঃ) বলেছেন-“আমার পরে যদি কেউ নবী হত তবে সে হত ওমর।“)।
এর পরেও যদি কেউ নিজেকে মাযহাবী বলে পরিচয় দেয় তবে আমার কিছু বলার নেই। হে আল্লাহ্ তুমি সাক্ষী, আমি চেষ্টা করেছি, বাকীটা তোমার হাতে। হেদায়েতের মালিক একমাত্র তুমি। সবাইকে তুমি বোঝার তৌফিক দান কর। আমীন।
YOU CAN VISIT MY BLOG:
https://www.shishir54.xyz
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৭