
গতকালকে বাকশালের পুলিশ যখন স্বাধীনতার পরের সকল ইতিহাস, সৌজন্যতা ভেঙ্গে দিয়ে বর্তমান প্রধান বিরোধী দল, সর্বোচ্চ দেশ শাসনকারী বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা করে তখন হাত বাঁধা রুস্তম চাচা কেদেঁই চলছেন।
যারা বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নিয়মিত যান তারা অনেকেই হয়তো রুস্তম চাচাকে চিনেন। জিয়াউর রহমান খুব স্নেহ করতেন রুস্তম চাচাকে। খালেদা জিয়াও খুব স্নেহ করেন রুস্তম চাচাকে। তাই চাঁদপুর থেকে চলে আসেন। ৩০ বছর ধরে আগলে আছেন পার্টি অফিস।

গতকালকে যখন পুলিশ বিএনপির অফিসে হামলা করে তখন পুলিশ অফিসে ঢুকে রুস্তম চাচাকেও আটক করতে উদ্যত হয়। তখন উপস্থিত সাংবাদিকরা পুলিশকে বাঁধা দেয়। এতেই প্রমাণিত হয় রুস্তম চাচার মানবিক গুণাবলি। বিএনপির নিউজ কাভারেজ করতে আসা সাংবাদিকদের ফুট-ফরমাশ রুস্তম চাচা সহাস্য করে দেন।
পুলিশ রুস্তম চাচাকে আটক করতে না পেরে হাত বেঁধে দাঁড় করিয়ে রাখেন। রুস্তম চাচা বলেন, “তারা আমারেও আটক করতে চাইছিল। হাত বাইন্ধা রাখছিল, বলছে এখানে দাঁড়ায়া থাকো।”
এ দলটির সঙ্গে থেকে কি পেয়েছেন? জানতে চাইলে অবাক হন রুস্তম। ভালোবাসলে সেখান থেকে প্রাপ্তি থাকতে হবে বলে ভাবেন না তিনি। বলেন, “জীবনে কোন চাওয়া পাওয়া নেই। তাই পাওয়ার হিসেব করি নাই।”