: তুমি সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে যাবে।
: কেন! আমার তো সকালে কোন কাজ নেই। তাছাড়া এ শীতের সকালে মায়াবী কম্বলের পরশ ছেড়ে উঠতে ইচ্ছা করে না।
: তুমি ঘুমাও আর আমাকে সকালেই ক্লাস করতে যেতে হয়। শীতের তীব্রতায় দাঁতের সাথে দাঁত লেগে যায়। গায়ের শালটা আরো জড়িয়ে নিই। তারপরও শীত কমে না। রিকসা চালককে বলি ধীরে ধীরে চালাতে। রিকসা অলা বিরক্ত হয়ে গতি কমায়।
: এককাজ করি, শীতের এক সকালে দুইজনে রিকসা করে ঘুরতে বের হই।
: তোমার না কম্বলের মায়ার পরশ ছেড়ে উঠতে ইচ্ছা করে না?
: হা হা হা।
: হাসো কেন?
: শীতের সকালকে কি প্রশ্নমুক্ত রাখা যায় না?
: হুম অবশ্যই রাখা যায়। কিন্তু তুমিও তো প্রশ্ন করে বসছো। আচ্ছা তুমি ঘুমাও। আমি কলেজের কাছাকাছি চলে আসছি।
: আমি তো উঠে গিয়েছি।
: উঠতে হবে না, ঘুমাও।
: এখন আর ঘুম হবে না।
: তাহলে কি করবে?
: কিছু স্বপ্ন দেখবো। কল্পনা করবো। এমন শীতের সময় কল্পনা করার, আবেগী স্বপ্ন দেখতে অনেক ভাল লাগে।
: কি স্বপ্ন দেখবে?
: সেটা তো তোমাকে বলা যাবে না।
: প্লিজ বলো না।
: বলবো?
: হুম অবশ্যই।
: আপাতত ফোন রেখে ভাববো প্রচন্ড শীত পড়ছে। কুয়াশায় খুব কাছের গাছটিও দেখা যাচ্ছে না। এমন শীতে দুইজনে মিলে রিকসা চড়ছি। শীতের কারণে দাঁত কাঁপার কারণে কথাগুলো আটকে যাচ্ছে। তারপরও থেমে নাই তোমার কথা। আটকে যাওয়া কথাগুলো আরো বেশি মায়াবী লাগছে। তুমি এসময় একটা কাজ করলে। কাজটা বলা যাবে না।
: আমি ক্লাস করবো না।
: কেন আবার কি হলো?
: আমার ঘুরতে ইচ্ছা করছে।
...........................................