*জমিটি বন্যমুক্ত ও সমতল হতে হবে।
২।কতটুকু জায়গায় ঘরটা বানাবো তা ঠিক করি।
ধরি ৪০ফুট বাই ৩০ ফুট আয়তনের একটি ঘর বানাবো। প্ল্যান প্রস্তুত করি। ৩টি বেড রুম, ৩ টি বাথরুম, ১ টি ড্রয়িং রুম , ১টি ডাইনিং রুম ও একটি বারান্দা থাকবে এই ঘরে।
৩। প্ল্যান মোতাবেক ভিত্তি স্থাপনের জন্য ২ ফুট গভীরতায় মাটি খনন করি।
৪। খননকৃত জায়গায় ১০ ইঞ্চি প্রস্থ ও ৪ ফুট উচ্চতার গাথুনি দেই।
৫।এবার প্ল্যান মোতাবেক ৫ইঞ্চি প্রস্থের গাথুনি দেই ৩ ফুট উচ্চতা পর্যন্ত। কলামগুলো ১০ ইঞ্চি বাই ১০ইঞ্চি হবে।
৬। জানালা ও বাথরুমের ভেন্টিলেটর বাদ দিয়ে বাকি দেয়াল ৭ফুট উচ্চতা পর্যন্ত তৈরি করি।
৭। ৭ফুট উচ্চতার দেয়ালের মাথায় ৪ ইঞ্চি উচ্চতার লিনটেল ঢালাই দেই।
এবার গাথুনি সম্পন্ন করি।
ঘরের পিছনের অংশের উচ্চতা হবে ৯ ফুট এবং সামনের উচ্চতা হবে ১০ ফুট। তাহলে চাল ঢালু হবে। বৃষ্টির পানি দ্রুত নেমে যাবে।
৮। ফ্লোরে ইট বিছিয়ে ফ্লোর কমপ্লিট করি।
৯। দেওয়ালের উপর উভয় দিকে ৪ফুট দূরত্বে লোহার এলঙ্গেল বসাই।
১০। এবার ৯ ফুটি টিন এঙ্গের উপর বসিয়ে স্ক্রু দিয়ে আটকিয়ে দেই।
১১। বারান্দার উচ্চতা পছনে ৮ ফুট ও সামনে ৭ ফুট হবে।
১২।দরজা জানালা লাগাই।
১৩। ফার্নিচার স্থাপন করি এবং সুখে শান্তিতে বাস করি।
--------------------------------------------------------
*১নং ইট= ৮ টাকা প্রতি পিস ।
*বালু= ১৮ টাকা প্রতি ঘনফুট।
*রড= ৫৬ টাকা প্রতি কেজি।
*এঙ্গেল= ৫৮ টাকা প্রতি কেজি।
*সিমেন্ট= ৪৫০ টাকা প্রতি বস্তা।
*রাজমিস্ত্রি= ৫০০ টাকা প্রতি দিন।
*জোগালী= ৩৫০ টাকা প্রতি দিন।
--------------------------------------------------------
*নিয়মিত কিউরিং (পানি দেয়া) করতে হবে।
*টিনের চালের নিচে বাসের খলফা(চাটাই) দিতে হবে।
*বৃষ্টির পানি ধরে রাখা সহজ।
*৬'*৬*১২ মাপের সেপটিক ট্যাঙ্ক বানাতে হবে।
*এঙ্গেলের পরিবর্তে কাঠও ব্যবহার করা যেতে পারে।
ডিসক্লেইমারঃ আমি এই পোস্টটা দিতে চাচ্ছিলাম আরো ১০/১২ দিন আগে। কিন্তু ক্যাচালের কারনে পোস্ট কমপ্লিট করতে পারি নাই। এই পোস্টটাও অসম্পূর্ণ পোস্ট। মন মেজাজ বিক্ষিপ্ত থাকায় মনের মত করে পোস্টটি সাজাতে পারি নাই। আমি চেয়েছিলাম আরো ডিটেইলস দিতে। সাথে সম্পূর্ন খরচের বিবরন।
আফসোস!!!!