ফুলে ওঠা লাশ ভেসে আছি জলে-- এমত পঙ্ক অনুভূতি বিষ, কলম ডগায় নিয়ে বসে থাকা, শাদা শাদা পাতা, শাদা রয়ে যায়, পদ্মপাতায় বসে টলটল ধ্যান-- ধ্যান ও অস্থিরতা
টিলার পেছনে ধ্যানের প্রতিমা, সারি সারি জ্বলা শাল মহুয়ায় সূর্যের মতো-- লেখা আছে সব, ব্যাধিদের কথা। ব্যাধিতে ব্যাধিতে গোলকধাঁধায় পাক খায় মাথা, এতোটা মাতাল আর দিশেহারা আশ্রয় তার! জমাট পাথরে শায়িত রাত্রি ঘেমে নেয়ে উঠে, আচমন জ্বলে; অথচ দাঁড়াই ভিন্ন মুখের-- মুখোশ আড়ালে। উজানের রাত; বিবমিষা চোখ, চোখের পরতে খেলা করে নীল, লাল হলুদাভ বাতাবরণের ওপারে আকাশ নক্ষত্র কি আকাশ প্রদীপে-- ভুলো আনমনে তাকিয়ে শুধানো; ভুলে থাকো যারা, উত্তর দাও-- ‘‘কখনো কি কাঁদে জগতের নায়িকারা?”
টিলার পেছনে উদিত যাদের কবিতার হৃদ, গলা মুখে বুকে আরক্ত লালা, অবিনাশী জেদে রাত জেগে থাকে অহ-নিশি-জাগা লাল পানশালা! কেউ কি শুনেছে মাতালের গলে কোকিলের গান?
কত চিন্তিত, নিদ্রামগ্ন এই ভাসা লাশ-- জলের পঁচান কামড়ে ভাসানে ভেসে যায় দূরে, জীর্ণ জীবন নিষ্ক্রিয় দেখে। ভয় হয়। ভয়। মরে যাবো ঠিক, এই ভয় নয়। আরো একবার শ্বাসাঘাত তোড়, আসবে সকাল-- তার শিহরণ। কেঁপে কেঁপে ওঠা। ভাসিয়ে ভাসিয়ে উজান ভাসানে চলে টেনে টেনে দেহতরীগুণ।জানি অবশেষে, নিষ্ঠুর গ্রীবা দুলিয়ে দোলায় চলে যাবে শোভা; স্বপ্নে যেভাবে যায়, যেভাবে নিয়ত অভ্যাস গিয়ে।
কোন সে ধারালো ছুরির ফলায় মরণের শীত? কোন শুভক্ষণে নিজের তুলিতে আঁকা বুমেরাং মোর চিতাবাঘ এসে অতিশয় ক্রোধে পাঁজরে বসাবে থাবা?
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:১০