somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রেম-যৌনতা ও ভালোবাসা

৩০ শে এপ্রিল, ২০১২ সকাল ১১:১৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পর্ব-৪

আমাদের আজকের পর্বটি আয়োজন করা হয়েছে একটি স্থির সময়ে, আলোকের বেগে গতিশীল মহাকাশ যানে। যার পিছনের পর্দাটি মূলত মহাকাশযানের একটি সচ্চ কাঁচের দেওয়াল। নিয়মিত ম্যাটার-এন্টি ম্যাটারের সংঘর্ষে সৃষ্ট পাওয়ার থেকে আমরা ছুটে চলেছি।

আজকের অথিতিবৃন্দের সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি..........
আইনস্টাইনঃ নোবেল বিজয়ী পদার্থবিজ্ঞানী।
রবীন্দ্রনাথঃ এনার সাথে সকলেই একটু আধটু পরিচিত।
স্টীফেন হকিংঃ নোবেল বিজয়ী পদার্থবিজ্ঞানী, কেমিষ্ট ও মহাকাশ বিজ্ঞানী।

আমাদের যমরাজকে আজ একটু আটোসাটো মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ মুডে, চরম গাম্ভীর্যে দেখা যাবে এবং প্রতিটি শব্দের সাথে হু, হু করতে শোনা যাবে।

রবিঃ মানুষের রুচীবোধ কোথায় নেমে এসেছে দেখেছেন? রিকশা-বাস-ট্রাম-ট্রাক, গাড়ি, রেস্তরা, পার্ক যত্রতত্র কিস, ফোরপ্লে ও সেক্স করে বেড়াচ্ছে।
আইনস্টাইনঃ আসলে ছুটন্ত সময়ে, এটমিক প্রেমের মহত্ত্বই এই। সময় ও সুযোগের সর্বোত্তম ব্যবহার।
স্টীফেন হকিংসঃ ধরা যাক একটা ব্ল্যাকহোলে যদি সময়ের কাঁটা উল্টে দিয়ে আপনি সমগ্র বাৎসায়নের আসনসমূহ উল্টোতে থাকেন। অর্থ্যাৎ বিপরীতে ঠিক।
রবিঃ প্রশ্ন এই নয়, প্রশ্ন হল মানুষের চিরায়ত ভালোবাসার রূপটা নোংরামীতে ভরে যাচ্ছে। দীপকরা হয়ে যাচ্ছেন টিপক(???)। ক্যামেলিয়াকে নিয়ে লিখা হচ্ছে কমলার যৌবণরস। ভাবতে পারেন ভবিষ্যতে কি দেখতে পাবো ?
আইনস্টাইনঃ ঘটনার রূপ নয়, কামনার শব্দ নয়, সমস্তই একেকটি জরুরী কালপেন, শব্দের মহত্ত্বে নীতিবাগীশতা যে সমস্ত সময় গঠিত প্রলাপ তৈরী করে, তা ভ্রম মাত্র।
স্টীঃ বিভ্রান্ত হবেন না? একটি মাত্র রূপে এসে একক প্লানেটের দ্বন্দে, বিবেচনায় ভুল করবেন না।
রবিঃ মহত্ত্বম অন্ধকারাছন্ন যে সমস্ত ক্যাফেটেরীয়া, রেস্তরা, ঝোঁপ-ঝাড় বা পার্কে আসনে হেলান দিয়ে অথবা রিক্সায় বসে হুডটা টেনে দিলেন, কিংবা ডিস্কো-বান্দরে ভর করে ৪-চাকায় চেপে, অতঃপর অশ্লীল শব্দোৎসবে ভর করে ব্যক্তিত্ব হারালেন, এ দূষণের দায়ভার কে নিবে?
স্টীঃ প্রাগৈতিহাসিক রূচীবোধে স্কুল পালিয়ে যেতেই পারেন, তাই বলে একেকটি মহাবিস্ফোরনের পর, মহাবিশ্বের প্রসারতার সাথে আপনার ব্যস্ততাকে একত্রিত না করতে পারলে, নতুন আরেকটি মহাবিশ্বের জন্য সমন্বিত হবেন কিভাবে ?
আইস্টাইনঃ এইসব নিয়া চিন্তা কইরা বা কথা না বইলা একটা ফিশান ঘটাই, সব চুরমার কি বলেন?
রবিঃ তাতে আমার প্রেসটা যদি বন্ধ হইয়া যায়, মহৎ হইবার পারুম তো ? কিংবা ইতিহাসের পাতায় আমার নামটা থাকবো কি?
স্টীঃ একটু ধীরে সুস্থে বসুন, মাথা জ্যাম খায়া গেছে। দাড়ান, একজন সাইক্রিয়াটিস্টকে আসতে বলি।
লাল টকটকে টি-শার্ট, জীন্স আর সাদা কেডস্ েধীরে সুস্থে কালপেন করে আসছেন একজন সাইক্রিয়াটিস্ট, সুধি দর্শক ও পাঠকবৃন্দ, আমাদের ছেড়ে উঠবেন না, একটি বিজ্ঞাপন বিরতির পরই আমরা ফিরে আসছি..................।
(সময় কিন্তু, থেমেই আছে, পাঠক কিছু নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন না, সময় কিভাবে থেমে আছে। ব্যাখ্যা শুনুন অনুষ্ঠানের শেষের দিকে।)
সিগমুন্ড ফ্রয়েডঃ ধন্যবাদ এমন একটি প্রাণবন্ত আলোচনায় আসতে বলার জন্য। আপনাদের যুক্তিতর্ক উপভোগ্য কিনা এখনই বিশ্লেষণে যাব না, তার দায়ভার দর্শকের হাতে। যাই হোক, মানসিক ব্যালেন্স, ইমব্যালেন্স, রুচী-অরুচী এসব অপ্রাসঙ্গিকতা। মহাবিশ্বের গন্ডিটাতে না গিয়ে, কার্বন বেস্ড দু-পেয়ে হিউম্যান নিয়ে বলতে গেলে যদি বলি। মানুষের বিকাশের শুরুতে কাম-প্রেম সবই উন্মুক্ত ছিল। আধুনিক আই.টি ও টেলিকম টেকনোলজির কল্যানে অল্প কিছু দিনের মধ্যেই তাও উন্মুক্ত হয়ে যাবে। আপনার বেড-রুমের কার্যকলাপ অচিরেই ইউ-টিউভে লাইভ চলে আসবে, স্যাটেলাইট প্রযুক্তির মাধ্যমে। তাহলে, কোথায় গেল সেই নীতিবাগীশ তর্ক। বরঞ্চ সাইকোলজির ভাষায়, যারা অংশগ্রহণ না করে যারা দেখছেন, আলোচনা-সমালোচনা করছেন, তাদেরকেই বিকৃত মানসিকতা সম্পন্ন বলতে হবে। সুস্থ বিনোদনের কোন ব্যবস্থা নেই, যুবক-যুবতীর অন্তরঙ্গ মুহূর্ত কাটানোর কোন স্থান নেই, ধর্মের বেড়ী পড়িয়ে ফায়দা লুটছেন হারেমের বিলাসিতায়।
চলবে.....................
(* অনুষ্ঠান শেষে যমরাজ বিগ বেং থেকে শুরু করে চরম সংকোচনের কিছু স্থির ভিডিও ট্র্যাক নিয়ে বসে থাকবেন, যখন যেখানে প্রয়োজন ঘুরে বেড়াবেন এবং সময়কে কড়ে আঙ্গুল দেখাবেন, সেই সাথে গতি ও স্পেসকেও।)
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বেফাঁস মন্তব্য করায় সমালোচনার মুখে সমন্বয়ক হাসিবুল ইসলাম !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৩ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৩২



"মেট্রোরেলে আগুন না দিলে, পুলিশ না মারলে বিপ্লব সফল হতো না "- সাম্প্রতিক সময়ে ডিবিসি নিউজে দেয়া সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করে সমালোচনার শিকার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসিবুল... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমিত্ব বিসর্জন

লিখেছেন আজব লিংকন, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১:৪৮



আমি- আমি- আমি
আমিত্ব বিসর্জন দিতে চাই।
আমি বলতে তুমি; তুমি বলতে আমি।
তবুও, "আমরা" অথবা "আমাদের"
সমঅধিকার- ভালোবাসার জন্ম দেয়।

"সারভাইভাল অব দ্য ফিটেস্ট"
যেখানে লাখ লাখ শুক্রাণুকে পরাজিত করে
আমরা জীবনের দৌড়ে জন্ম... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ হঠাৎ মেহজাবীনের পিছে লাগছে কেন ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:৪১


স্বৈরচারী আওয়ামীলীগ এইবার অভিনেত্রী মেহজাবীনের পিছনে লাগছে। ৫ ই আগস্ট মেহজাবীন তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন ‘স্বাধীন’। সেই স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশট যুক্ত করে অভিনেত্রীকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ তার অফিসিয়াল ফেইসবুকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×