বিবেক!একটি শব্দ। হ্যাঁ আজকে আমাদের কাছে বিবেক শুধুমাত্র একটি শব্দই। এর যথার্থ প্রয়োগ আজ আমদের কাছে নেই। এই শব্দটি আজ শুধুই আমাদের মুখে মুখেই। আমাদের ভিতরের পশুটা বিবেক নামক শব্দটাকে কুড়েঁ কুড়েঁ খাচ্ছে। ভিতরের পশুটা তার রাজত্য কায়েম করে বিবেক নামক শব্দের কার্যকারিতাকে কোণঠাসা করে ফেলেছে। আমাদের আজকের সমাজের যেসব মানুষদের আমরা বিবেকবান বলে অয়াখ্যায়িত করি,শ্রদ্ধার আসনে বসাই,তাদের মধ্যে কতজন মানুষ ভিতরের দিক দিয়ে শতভাগ বিবেকবান,আর কতজন মানুষ বাইরের দিক দিয়ে শতভাগ বিবেকবান তা যদি সঠিক ভাবে বিচার করতে পারতাম,তাহলে অনেক মানুষকেই শ্রদ্ধার মত একটি উঁচু আসনে বসাতে পারতাম না। তবে হ্যাঁ কিছু মানুষ আছে যারা জানে এই মানুশগুলু শুধুমাত্র বাইরের দিক দিয়ে বিবেকবান এবং ভিতরের দিক দিয়ে গলিত পশু,তবুও তাদের শ্রদ্ধার আসনে বসায়। আমি তাদের বলব নিকৃষ্ট মানের স্বার্থপর। এই পৃথিবীর সবাই স্বার্থপর,কিন্তু এরা নিকৃষ্ট মানের স্বার্থপর। এদের জন্যই সমাজ আজকে কুলষিত। ধিক্কার এদের,ধিক্কার এদের জন্মকে।
বাংলায় একটি গান আছে-
"হায়রে কপাল মন্দ
চোখ থাকিতে অন্ধ"
প্রকৃত অর্থেই আমাদের সমাজের কপাল মন্দ। আমাদের সমাজের যে চক্ষুসমস্টি যা দিয়ে আমাদের সমাজের আলো দেখার কথা, সেই ছোখ আজ বন্ধ। ইচ্ছাকৃতভাবে শুধুমাত্র স্বার্থের কারণে,লোভ লালসার জন্য এরা আজ চোখ বন্ধ করে রেখেছে। চোখ বলতে আমি শারীরিক চোখ বোঝাচ্ছি না। তথাকথিত বিবেকবান মানুহষের বিবেকের চোখ। যা আজ বন্ধ, আঁধারে বদ্ধ একটি কূপ। আর এই অন্ধকারাচ্ছন্ন চোখের জন্যই সমাজ আজ প্রতি পদক্ষেপে হোঁচট খাচ্ছে।
আমাদের দেশের মানুষেরা প্রায়ই বলে থাকেন "জাতির বিবেকের কাছে আমার প্রশ্ন?কেন এটা হল?কেন সেটা হল?"ইত্যাদি ইত্যাদি। তাদের কাছে আমার প্রশ্ন হল যে জাতির বিবেককে সেই জাতির লোকেরা নিজ হাতে গলা টিপে হত্যা করেছে,সেই মৃত,সুপ্ত বিবেকের কাছে আপনি কি উত্তর পাবেন? না,না,না। সেই সুপ্ত বিবেক সুপ্ত অবস্থায় চুপ থাকবে। চুপ থেকে থেকে দেখবে জাতির ধবংস,আর মুষ্টিমেয় কিছু তথাকথিত বিবেকবান মানুষের স্বার্থ বুদ্ধিতা।
আমারা যদি শুধু এক্তু সচেতন হই এবং নিজের ভিতরের পশুটাকে মেরে বিবেককে জাগ্রত করি,এবং সেই সাথে সেই সব মানুষ যারা তথাকথিত বিবেকবান,যাদেরকে শ্রদ্ধার আসনে বসিয়েছি,তাদের সরিয়ে দিয়ে,সঠিক মানুষকে সঠিক সম্মান দেই তাহলেই সুন্দর একটি সমাজ হবে।
চাই শুধু প্রত্যেক মানুষের সুন্দর একটি বিবেক।