পূর্ণিমা দেখবো বলে বড্ড রাত জাগা নিশাচর হতে ইচ্ছা হয় ,
আমি কোন দার্শনিক বিজ্ঞানী বা নভোচারী না ।
বিজ্ঞানী চাঁদকে দেখে নিকট ভবিষ্যতের আবাস হিসেবে
কবি দেখে চাঁদকে তার ক্ষুদার ঝলসানো রুটি হিসাবে
চাঁদের মাঝে ব্যাকুল মন উদাসী প্রিয়া কবিতা ঝরায়
প্রিয়া চাঁদ কে দেখে তার প্রিয় মানুষের দূরত্ব হিসাবে ।
আমি কোন জ্যোতির্বিদ নই,চাঁদের হিসাবে দিন রাত দেখব ,
যে চাঁদ একটি উপগ্রহ পৃথিবীর প্রেমে মাতল হয়ে ঘুরে
আমি কোন প্রেমের আজীবন চাঁদ হয়ে প্রদক্ষিণ করি তারে ।
আমি পুরনো কব্যের মানুষ চাঁদ আমার স্বপ্নের এক স্বর্গ নগরী ,
চাঁদকে দেখি পুরনো প্রেমের সত্য সুন্দর আলোকিত মননে
আমি আকাশের দিকে তাকিয়ে দুরের চাঁদকে নিজের প্রেম ভাবী ।
মন এক আশ্চর্য শিহরণ বোধ করে দুরের চাঁদ কাছে ডাকে
আমি সেই এখনো আকাশ দেখতে ভুলে যায় নি।
এখনো যারা রোমাঞ্চ খোঁজে জোছনায়, পূর্ণিমায়;
নক্ষত্রখচিত কালো আকাশে চাঁদ তাদের প্রেমের কাব্য কথা ।
একবিংশ শতাব্দীর প্রেম চাঁদ তাদের কাছে মূল্যহীন
কিন্তু এখনো আমি কৃত্রিম আলোয় ডুবে যাই নি।
কৃত্রিম আলো আমাকে ভোলাতে পারে নি চাঁদের রুপ
আদিম সেই চন্দ্রালোকিত শিহরণের কথা
প্রতি পূর্ণিমায় তাই আমি সব আলো নিভিয়ে দিই।
আমি অপেক্ষা করি সেই রাত্রিটির,
জগৎকে ধুয়ে দেয়, স্নিগ্ধ পবিত্রতায়
প্রেম আলোয় আচ্ছন্ন করে গোটা সৃষ্টিকে ,
আমি ভালোবাসি চাঁদ, ভালোবাসি জোছনা।
ভালোবাসি স্নিগ্ধ কোমল তার একক অপেক্ষা নক্ষত্র বনে ।
আমি পূর্ণিমা দেখবো বলে বসে আছি।
ষষ্ঠী, সপ্তমী, অষ্টমীর শুক্লা দ্বাদশীর , পূর্ণতা পেতে।
কত সময়ের অপেক্ষা তার নিজেকে মেলে ধরতে
প্রতিটা জীবনের গল্প এমন করে ই পায় পুন্যতা ।
আজ পূর্ণিমা তার সৌন্দর্য, তার তীব্রতা -
অনেক অপেক্ষার পর এসেছে বলেই হয়তো ... ...
সবকিছু ভেসে যাচ্ছে অনুপম জোছনায়।
শীতল চাঁদের প্রতিবিম্ব দেখতে কেউ যেন ভুলে যেও
অতীতকে, মৃত্যুকে, ছোট ছোট বেদনাগুলোকে।
আমি আনন্দ নিয়ে তাকিয়ে আছি
আকাশের দিকে, মুগ্ধ দৃষ্টিতে।
প্রথম মানব বোধহয় প্রথম প্রেমে
এতটাই মমতা নিয়ে তাকিয়েছিলেন;
আমার জোছনা দেখা শেষ হয় না,
পূর্ণিমা এবং পূর্ণতার অনুভূতি নিয়ে আমি বসে থাকি।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৩:০৪