চৈত্রের দাবদাহ টানা দুই সপ্তাহ চলার পর অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টি। ১ মে সন্ধ্যায় ঢাকায় তীব্র ঝড়। বিল্ডিংগুলো যেন কাঁপিয়ে দিচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে কারেন্ট চলে গেল। ঘুট ঘুটে অন্ধকার হয়ে গেলা গোটা ফ্লাট। ফরিদভাই দ্রুত সব জানালা দরজা বন্ধ করে দিলেন। আমিও সহায়তা করলাম। তা না হলে ধুলোয় ফ্লোর কাপড় চোপড় ভরে যাবে। তারপরও অল্পতেই যা হলো তাতে রাতের ঘুম ভাল হলো না। কালবৈশাখি বাংলাদেশের সব স্থানে কমবেশি আঘাত হানে। বজ্রপাতে প্রতিবছর মারা যায় অন্তত ৪০-৫০ জন।
তবুও বৃষ্টির কারণে গরম কমে যাওয়ায় স্বস্তি ফিরে এসেছে। বাড়িতে দুই বছরের ছেলেটাও গরমে হাফিয়ে উঠেছিল। ওর মাথার চুল ফেলে দেয়া হয়েছে। মাথায় গরমে অত্যাধিক অ্যালার্জির কারণে এ অবস্থা। তবুর ছুটাছুটির কম নেই। সারা দিন তাকে ঠেকাতেই ওর মার দিন চলে যায়। সামনে ওর মাস্টার্স পরীক্ষা। পড়তে হবে। কিন্তু পড়তে বসলেই ছেলে দুনু খাওয়ার জন্য বার বার ডিস্টার্ব করে। কি আর করা দুদিক সামলিয়ে সবকিছু করতে হচ্ছে।
পুরো বিশ্বজুড়ে কালবৈশাখি ঝড় চলছে যেন। হত্যা আর হত্যা চলছে দেশেও। হত্যা আর দায় স্বীকারের মিছিল চলছে। যাদেরকে হত্যা করা হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার অভিযোগ তোলা হচ্ছে। সেটার সত্যতাও মিলছে। তবে হত্যার কালচার তো আর ইসলাম শেখায়নি। ইসলাম বরং ক্ষমার আদর্শ শিখিয়েছে। আবার শক্তি থাকলে প্রতিরোধ গড়ার কথাও বলেছে। শত্রুরা যদি হত্যার কৌশল নেয়, পাল্টা হত্যার কৌশল নিতে বলা হয়েছে।
জুলহাজ মান্নান ও তার সহযোগী খুন হলো গত কয়েকদিন আগে। এ নিয়ে পুরো বিশ্ব চলছে তোলপাড়। যুক্তরাষ্ট্র উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। কারণ সমকামী জুলহাজ ছিল ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। সমকামী বলেই হয়তো তার চাকরি দেয়া হয়েছিল এখন আমার মনো হচ্ছে। তবে আসলে কারা হত্যা করছে তা সবাই আন্দাজ করে নিচ্ছে আইএস কিংবা তাদের দোসরদের। আসলে কি তাই? না বার বার ইসু চাপা দেয়ার জন্য করা হচ্ছে? এ প্রশ্নের জবাব একেক জনের কাছে একেক রকম।
তবে যারা সমকামী তারা সুস্থ মস্তিস্কের অধিকারী কিনা- তা নিয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। এরা যদি পুরুষ হয় তাহলে পুরুষের সবগুণ এদের আছে বলে মনে হয় না। আর যদি নারী হয়- তাহলে নারীর গুণে এরা গুণান্বিত নয় বলে আমি মনে করি। নারী-পুরুষের চিরন্তন সম্পর্কের মধ্য দিয়েই স্বাভাবিকতা রয়েছে। এভাবেই বিশ্ব চলে আসছে। সমকাম নিশ্চয় অস্বাভাবিকতা। এটা যে কারোর কাছে গর্হিত হতে বাধ্য।
আমি যতদূর জানি, আদ কিংবা সামুদ জাতি সমকামীতায় লিপ্ত ছিল। তাদেরকে আল্লাহ মাটি চাপা দিয়ে হত্যা করেছিলেন। এ কাহিনী কুরআনে দেয়া আছে। বিষয়টি বড় পাপ না হলে কুরআনে বলা হলো কেন? তাদের শাস্তি তো পেতেই হবে। তাই বলে হত্যাই তাদেরকে করতে হবে এমন কোনো নির্দেশ কুরআনে নেই। (চলবে)
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা মে, ২০১৬ বিকাল ৫:০৫