থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার ছবিটি আমি দেখিনি। অনেকের কাছ থেকে কাহিনী শুনেছি। কিন্তু বুঝলাম না এই ছবিটির বিরুদ্ধে অনেকেই উঠে পড়ে লেগেছে কেন? আমাদের দেশে এর থেকে হাজারগুন খারাপ ছবি এখনও চলছে..... বাংলা ছবিতে অর্ধনগ্ন দৃশ্যতো কোন ব্যপারই না। ছবিতে একটি ধর্ষণ দৃশ্য নাই এমন ছবি কয়টি আছে? নায়িকার বুক পাছা ঝাকানুর দৃশ্য নাই এমন ছবি কয়টি আছে? পরকিয়া নাই এমন ছবি কয়টি আছে? নায়ক-নায়িকার বিবাহবহির্ভুত দৃশ্যের ইঙ্গিত নাই এমন ছবি কয়টি আছে? প্রত্যেকটি রোমান্টিক গানের দৃশ্যতেই তো নায়ক নায়িকার মাখামাখি দেখি। সেন্সর বোর্ড থেকে ছাড় পাওয়া কোন সিনেমার কোন ছবি যদি আমি এই পোষ্টে সাথে যুক্ত করতাম তাহলে আমাকে ব্যান করা হতো এমন ছবিও আমি দিতে পারব। সেই ঝুঁকিটি আপাতত নিলাম না।
ছবিটির ব্যপারে এই পর্যন্ত যা শুনেছি তাতে মনে হয়েছে আমি অনেক আর্ট ফ্লিমেও এর থেকে অনেক খারাপ দৃশ্য দেখেছি।
তাহলে কেন এই ছবির বিরুদ্ধে এই অপপ্রচার?
কেন জানি আমার মনে হচ্ছে এই ছবির বিরুদ্ধে একটি চক্র দলবদ্ধভাবে প্রচারনা চালাচ্ছে।
১. সেই চক্রটি হতে পারে ছবির প্রযোজক, পরিচালকের পক্ষের লোক, ছবির বিরুদ্ধে অশ্লীলতার প্রচার চালালে ছবির কাটতি বাড়বে.... এটাই নিয়ম। নিষিদ্ধের প্রতি সবার আকর্ষণ থাকে। নিষিদ্ধ সব কিছু হিট। যেমন তসলিমা নাসরীন।
২. অথবা চক্রটি হতে পারে ফারুকীর সাফল্যে হিংসায় জ্বলে পুড়ে মরছে এমন কোন চক্র।
যে যাই করুক, আখেরে কিন্ত ফারুকীরই লাভ।
ছবিটি দেখার আমার তেমন ইচ্ছে ছিল না। ছবিটির প্রচার কিংবা অপপ্রচার দেখে এখন সিদ্ধান্ত নিলাম ছবিটি দেখব। আমার মতো নিশ্চয় অনেকেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন?
তবে ছবিতে যদি অনৈতিক সম্পর্ককে উৎসহিত করা হয় ধিক্কার জানাই।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:৫৭